উনিশ বছর ধরে মেরামত হয়নি গ্রামীন সড়ক, তাই রাজ্য সরকারের উপর আস্থা হারিয়ে বিজেপি সাংসদের উপরই আস্থা রাখছেন গ্রামবাসীদের একাংশ
1 min readউনিশ বছর ধরে মেরামত হয়নি গ্রামীন সড়ক, তাই রাজ্য সরকারের উপর আস্থা হারিয়ে বিজেপি সাংসদের উপরই আস্থা রাখছেন গ্রামবাসীদের একাংশ
দেবব্রত মন্ডল , বাঁকুড়াঃ– প্রধানমন্ত্রী সড়ক যোজনার রাস্তা কবে ভেঙে গিয়েছে, সেই রাস্তার পিচ উঠে গিয়ে এখন দেখা যাচ্ছে বড় বড় পাথর ও বোল্ডারের।২০০০ সালে প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনা প্রকল্পে গঙ্গাজলঘাটির অমরকানন থেকে বাঁকুড়া ভায়া উখরাডিহি এই গ্রামীন সড়ক নির্মিত হয়।বছর চার পার হতে না হতেই সেই রাস্তার একাংশ খানাখন্দে পরিণত হতে শুরু করে।তার পর থেকে কেটে গেছে দেড় দশকেরও বেশি সময়।কালের সময়ের সাথে সাথে সেই রাস্তা আরো জরাজীর্ণে পরিণত হয়েছে।
অভিযোগ কিন্তু একবারের জন্যও মেরামতের প্রয়োজন বোধ করেনি সরকার। বিশেষ করে উখরাডিহি গ্রাম থেকে বাঁকুড়া যাবার প্রায় পাঁচ কিলোমিটার রাস্তা একেবারেই বেহাল হয়ে পড়েছে । এই রাস্তার উপর করনজোডা,ভক্তাবাঁধ,জামবেদিয়া,বনগ্রাম,কুখরাজোড় সহ নির্ভরশীল প্রায় চল্লিশটি গ্রামের মানুষ।
অভিযোগ তবুও মেরামতের উদ্যোগ নেই প্রশাসনের।গ্রামবাসীদের অভিযোগ বারংবার রাজ্য প্রশাসনের কাছে আবেদন নিবেদন করা সত্ত্বেও লাভের লাভ কিছুই হয়নি, মিলেছে আশ্বাসের পর আশ্বাস।তাই এবার রাজ্য প্রশাসনের উপর আস্থা হারিয়ে স্থানীয় বিজেপি সাংসদের উপরেই আস্থা রাখতে চলেছেন গ্রামবাসীদের একাংশ।
আজ সকালে স্থানীয় বিজেপি সংসদ সৌমিত্র খাঁ উখড়াডিহি স্কুলে নিজের সাংগঠনিক সভায় উপস্থিত হলে গ্রামবাসীদের একাংশ তার কাছে করজোড়ে এই রাস্তা নির্মাণের অনুরোধ জানান।গ্রামবাসীদের আবেদনে সাড়াও দেন সাংসদ, রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দেগে সাংসদের আসাস রাস্তা সংস্কার নিশ্চয়ই হবে তবে শুধুমাত্র আর কয়েকটা মাসের সময়ের অপেক্ষা ।
রাজ্যে বিজেপি সরকার ক্ষমতায় এলে দ্রুত সংস্কারের কাজ শুরু হবে।সাংসদের এই আশ্বাসকে তীব্রভাবে কটাক্ষ করেছে তৃণমূল, তৃণমূলের গঙ্গাজল ঘটির পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি নিমাই মাজি বলেছেন আজ বাংলার মূখ্য মন্ত্রী আজ সড়ক ব্যবস্থা এমন করে চেন জে সব জায়গা টা ঝা চকচোকেরাস্তা পাবেন, হয়ত বর্ষার কারণে খানা খন্দ হয়ে ছে, কিন্তু সেগুলো ও নবান্ন থেকে গত পরশুদিন 3 তারিখে অর্ডার দিয়েছেন যেখানে খানাখন্দ আছে সেগুলো রিপেয়ার করতে হবে, অলরেডি ওই রাস্তাটাআমাদের লিস্ট এর মধ্যে আছে, আর বিজেপি অনেক আশ্বাস দেয় ওরা বলেছিল প্রত্যেক বেকার কে চাকরি দেবে 15 লক্ষ টাকা একাউন্টে চলে আসবে, এগুলো সব ওদের, ভাঁওতাবাজি, আর আমাদের এলাকার যে বিজেপির সংসদ আছেন তিনি নিজের বউকেই আটকে রাখতে পারেন না দলকে কি সামলাবেন রাস্তা কিভাবে করাবেন, এইভাবে কটাক্ষ করেন।