নোংরা রাজনীতির খেলায় বিশবাঁও জলে তৈরি হওয়া নতুন কালিয়াগঞ্জ বাসস্ট্যান্ডের। সাধারণমানুষ বলেছেন এটা হচ্ছে টা কি।
1 min readনোংরা রাজনীতির খেলায় বিশবাঁও জলে তৈরি হওয়া নতুন কালিয়াগঞ্জ বাসস্ট্যান্ডের। সাধারণমানুষ বলেছেন এটা হচ্ছে টা কি ?
তনময় চক্রবর্তী রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী যখন মানুষের সমস্যার সমাধান করার জন্য দুয়ারে দুয়ারে সরকার এর পাশাপাশি পাড়ায় পাড়ায় সমাধান করার প্রকল্প নিয়ে মানুষের কাছে যাচ্ছে। ঠিক তখন উল্টো চিত্র ধরা পড়ছে কালিয়াগঞ্জ শহরে।সাধারণ মানুষের দীর্ঘদিনের চাহিদার কথা মাথায় রেখে কালিয়াগঞ্জ পৌরসভার প্রাক্তন পৌরপতি কার্তিক চন্দ্র পালের নেতৃত্বে যে আধুনিক মানের বাস স্ট্যান্ড তৈরি হয়েছে সেটি দীর্ঘদিন ধরে অবহেলায় পড়ে রয়েছে। সেই বাস স্ট্যান্ড উদ্বোধন আজ শাসকদলের নোংরা রাজনীতির চক্করে পড়ে বিশবাঁও জলে।কালিয়াগঞ্জ এর মানুষ ভীষণ ক্ষুব্ধ শাসকদলের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপরে । উল্লেখ্য কিছুদিন আগেও জানা গিয়েছিল বাস স্ট্যান্ড উদ্বোধন হবে শীঘ্রই। সেই মোতাবেক সেই বাসস্ট্যান্ডে তোর জোর করে প্যান্ডেল হয়েছিল।
আসার কথা ছিল উদ্বোধন করতে রাজ্যের তৎকালীন পরিবহন মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীর। কিন্তু হঠাৎ শাসক শিবির থেকে গেরুয়া শিবিরের শুভেন্দু অধিকারী চলে যাবার সঙ্গে সঙ্গে কালিয়াগঞ্জ এর প্রাক্তন পৌরপতি কার্তিক চন্দ্র পাল ও ঘাসফুল ছেড়ে পদ্মফুল শিবিরে যোগ দেয়। আর এখানেই বিপত্তি ঘটে দীর্ঘদিনের আধিনিক মানের বাস স্ট্যান্ড উদ্বোধন করার ক্ষেত্রে। কিন্তু তারপরও কেটে গেছে বহুদিন। কিন্তু এখনো সেই জট খুলনা বাস স্ট্যান্ড উদ্বোধন করার ক্ষেত্রে। উল্লেখ্য সাধারণ মানুষের প্রশ্ন দীর্ঘদিন ধরে কালিয়াগঞ্জ থানার সামনে যে অস্থায়ী বাস স্ট্যান্ড তৈরি হয়েছিল সেখান থেকেই এখনো যাত্রীসাধারণ কে বাস ধরতে যেতে হয় কনকনে ঠান্ডা মধ্যেও। যাত্রীদের দাঁড়িয়ে থাকার জন্য সেখানে কোনো শেড নেই। নেই সেখানে বসবাস জাগায়া। তবুও কষ্টের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে সাধারণ মানুষকে বাস ধরতে যেতে হয়। অথচ কোটি কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত কালিয়াগঞ্জ পৌরসভার প্রাক্তন পৌরপতি কার্তিক চন্দ্র পালের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় তৎকালীন প্রাক্তন পরিবহণমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীর পরিবহন দপ্তরে আর্থিক অনুকূলে যে আধুনিক মানের বাস স্ট্যান্ড সম্পূর্ণ তৈরি হয় সেটি অবহেলায় সেখানে পড়ে রয়েছে। সাধারন মানুষের প্রশ্ন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী কাছে যখন আপনারা বলছেন আপনাদের সমস্যা এবার আপনাদের পাড়ায় সমাধান হবে।আপনাদের দুয়ারে দুয়ারে আপনাদের সমস্যার সমাধান হবে। তাহলে কি এটা কোন সমস্যা নয় ? কেন আপনি কালিয়াগঞ্জ বাসির দীর্ঘদিনের একটি সমস্যা এখনো জিয়ে রাখলেন ? সম্প্রতি ইটাহারে একটি আধুনিক মানের বাস স্ট্যান্ড ভার্চুয়াল এর মাধ্যমে তো আপনি উদ্বোধন করেছিলেন । অথচ সেই সময় করতে পারলেন না কালিয়াগঞ্জ বাসস্ট্যান্ডের উদ্বোধন। । ফলে কালিয়াগঞ্জ বাসীর যে সমস্যা ছিল সেই সমস্যাই থেকে গেছে। অনেক সাধারণ মানুষ বলছেন কালিয়াগঞ্জে তো শাসকদলের বিধায়ক রয়েছেন তপন দেব সিংহ। কিন্তু তিনি তো বহু জায়গায় ফিতা কাটছেন তাহলে বাসস্ট্যান্ডের ফিতা কেন কাটতে পারছেন না ? নাকি সংকোচ বোধ করছেন ? অনেকে আবার বলছেন কালিয়াগঞ্জ এর বিধায়ক তো শুধু গ্রামের বিধায়ক। শহরের জন্য কি তার কোনো অবদান রয়েছে। যদি থাকত তাহলে কালিয়াগঞ্জ বাসির দীর্ঘদিনের এই সমস্যার সমাধান করে ফেলতে পারতেন অনেক আগেই। কিন্তু তা না করে তিনি এ সমস্যাও জিয়ে রাখলেন । অনেকেই বলছেন প্রাক্তন পৌরপতি কার্তিক চন্দ্র পালের সঙ্গে পূর্বে যেহেতু বিধায়কের ঠান্ডা লড়াই চলছিল আর সেই কার্তিক চন্দ্র পালের হাত দিয়েই যখন এই বাসস্ট্যান্ডের কাজ সম্পূর্ণ হয়েছে। সেহেতু তিনি এই বাস স্ট্যান্ড এর ব্যাপারে কোন নাক গলাবেন না। তবে যাই হোক না কেন শাসকদলের নোংরা রাজনীতির খেলায় কালিয়াগঞ্জ এর বাসস্ট্যান্ডের উদ্বোধন যে বিশবাঁও জলে সে ব্যাপারে নিঃসন্দেহে বলা যেতে পারে। কালিয়াগঞ্জ সাধারণ মানুষরা বলছেন এর জবাব তারা দিবেন ভোট বাক্সে। কারণ গণতন্ত্রের মহান উৎসবে জনতা জনার্দন ই শেষ কথা বলে। রাজনীতিবিদরা নন। ফলে কালিয়াগঞ্জ এর বাস স্ট্যান্ড নিয়ে কালিয়াগঞ্জ এ শাসক তৃণমূল দল অনেকটাই ব্যাকফুটে চলে গিয়েছে তা বলা যেতেই পারে।