৭ জানুয়ারি আসছেন অভিষেক, জোর প্রস্তুতি
1 min read৭ জানুয়ারি আসছেন অভিষেক, জোর প্রস্তুতি
আগামী ৭ জানুয়ারি দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় আসছেন অভিষেক বন্দোপাধ্যায়। তাঁর সফরকে ঘিরে জোর প্রস্তুতি চলছে তৃণমূল শিবিরে। বৃহস্পতিবার দুপুরে গঙ্গারামপুরে এই নিয়ে তৃণমূলের জেলা কমিটির একটি বৈঠকও হয়। বিধানসভা নির্বাচনের আগে নতুন বছরে জনসভা করে কর্মীদের উজ্জীবিত করাই এখন মূল লক্ষ্য তৃণমূলের রাজ্য নেতৃত্বের। পাশাপাশি, সম্প্রতি জেলায় দলের মধ্যেই যে কোন্দল দেখা দিয়েছে, তা নিয়ে জেলা সফরে এসে অভিষেকবাবু কি বার্তা দেন, সেদিকেই তাকিয়ে রয়েছে দলের স্থানীয় নেতৃত্ব। যদিও ওই কোন্দল মেটানো নিয়ে অভিষেকের সফরে কী আলোচনা হবে, তা নিয়ে জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব প্রকাশ্যে মুখ খুলতে চায়নি।তৃণমূলের জেলা সভাপতি গৌতম দাস বলেন, বিধানসভা নির্বাচনকে পাখির চোখ করে আগামী ৭ জানুয়ারি গঙ্গারামপুর স্টেডিয়ামে অভিষেক বন্দোপাধ্যায়ের জনসভা রয়েছে। বৃহস্পতিবার জেলা নেতৃত্বকে নিয়ে সেই কর্মসূচির আয়োজন নিয়ে বৈঠক করা হয়েছে। যাতে জনসভা সুষ্ঠুভাবে সফল করা যায়, তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। সেদিন গঙ্গারামপুর স্টেডিয়ামে এক লক্ষ মানুষের জমায়েত হবে।তৃণমূল নেতা তথা প্রাক্তন জেলা সভাপতি বিপ্লব মিত্র বলেন, ইতিমধ্যে আমি নিজে সভাস্থল পরিদর্শন করেছি। আমরা সকলে মিলে অভিষেকের জনসভা সফল করব। বিধানসভা নির্বাচনের আগে দলের দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার সংগঠনকে চাঙ্গা করতে উঠেপড়ে লেগেছে জেলা নেতৃত্ব। গত লোকসভা নির্বাচনে জেলার একমাত্র লোকসভা কেন্দ্রটি দখল করে নিয়েছে বিজেপি।
লোকসভা ভোটের পর প্রার্থী অর্পিতা ঘোষের সঙ্গে তৎকালীন জেলা সভাপতি বিপ্লব মিত্রের বিরোধ তুঙ্গে ওঠে। পদ হারাতে হয় বিপ্লববাবুকে। পরে জেলা পরিষদের একাধিক সদস্য ও ভাই প্রশান্ত মিত্রকে সঙ্গে নিয়ে বিজেপিতে যোগ দেন বিপ্লব। তারপর আবার একে একে সেসব সদস্য তৃণমূলেই ফিরে আসেন। বিপ্লববাবু নিজেও ভাই সহ তৃণমূলে ফেরেন। সম্প্রতি জেলার তিন নেতা-নেত্রী বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। দলের মধ্যে শুভেন্দু অধিকারীর অনুগামী আর কেউ রয়েছে কি না, আরও ভাঙন ধরবে কি না, সেদিকেও নজর রাখছে নেতৃত্ব। এদিকে, দলের মধ্যেই বালুরঘাট পুরসভার প্রশাসক বোর্ড সহ একাধিক ইস্যুতে মতবিরোধ তুঙ্গে উঠেছে। প্রসঙ্গত, বিপ্লববাবু তৃণমূলে ফিরে আসার পর শিলিগুড়িতে জেলা নেতৃত্বকে নিয়ে বৈঠক করেছিলেন অভিষেক।
মাসখানেক আগের সেই বৈঠকে তিনি কোন্দল মিটিয়ে চলার নির্দেশ দিয়েছিলেন। বিপ্লববাবুকে সঙ্গে নিয়েই দল পরিচালনার কথাও বলেছিলেন। এবার জেলায় এসে তিনি কি বার্তা দেন, সেদিকে তাই তাকিয়ে রয়েছেন সকলে। এদিকে, অভিষেকের সভার জন্য ইতিমধ্যেই গঙ্গারামপুর স্টেডিয়াম ঘুরে দেখেছেন পুলিস সুপার দেবর্ষি দত্ত ও স্থানীয় পুরসভার প্রশাসক প্রশান্ত মিত্র। বুধবার তাঁরা মাঠের পরিকাঠামো ও নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিষয় খতিয়ে দেখেন। প্রশান্তবাবু বলেন, সভায় প্রচুর মানুষের জমায়েত হবে। সেক্ষেত্রে সাধারণ মানুষকে কতগুলি গেট দিয়ে ঢুকতে দেওয়া হবে তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। পুলিস সুপার সমস্ত বিষয় দেখে রিপোর্ট তৈরি করবেন।