কাঁথির জনস্রোত থেকে শুভেন্দু বলেন, ‘হরে কৃষ্ণ হরে হরে, বিজেপি ঘরে ঘরে
1 min readকাঁথির জনস্রোত থেকে শুভেন্দু বলেন, ‘হরে কৃষ্ণ হরে হরে, বিজেপি ঘরে ঘরে
গদ্দার বলেছেন ফিরহাদ হাকিম, বলা হয়েছে মীরজাফর। কাঁথিই জবাব দেবে, এমনটা বলে পূর্ব মেদিনীপুর ছেড়েছেন তৃণমূলের নেতারা। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে পাল্টা মিছিলে জবাব দিলেন শুভেন্দু অধিকারী নিজেই। শুভেন্দুর হুঙ্কার, কাঁথিতে বিজেপিতে ঘরে ঘরে বিজেপি ঢুকবে। অন্তত ২০০ সিট পাবে বিজেপি।২১ বছর আগে যুবক কংগ্রেসের ছাত্র সংগঠনের হয়ে পথে নামতেন। তার পর লম্বা সময় এই শহর শুভেন্দুকে দেখে এসেছে তৃণমূলের পতাকা হাতেই। সেখান থেকে ১৮০ ডিগ্রি ঘুরে পদ্মাসনে থিতু হতেই শুভেন্দুকে ঘিরে তুমুল উৎসাহ দেখা গেল।
শুভেন্দুর মিছিলে গেরুয়া জনজোয়ার দেখল কাঁথি শহর।মেদিনীপুরের মাটিতে নিজেদের শক্তি প্রমাণ করতে এসেছে তৃণমূলের নেতার। দিন কয়েক আগে সভা করে গিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। সেই প্রসঙ্গে ট্যাবলো থেকে শুভেন্দু অধিকারী বললেন, “আমার ঘর বাংলা, আমাকে শুধু পূর্ব মেদিনীপুরে আটকে রাখা যাবে না। ওঁরা বারবার এখানে আসছে আমাকে পূর্ব মেদিনীপুরে আটকে রাখতে। কিন্তু রাজ্য জুড়ে প্রচার আটকানো যাবে না।”আগামী ২৭ ডিসেম্বর পশ্চিম মেদিনীপুরের দাঁতনে সভা করবেন শুভেন্দু অধিকারী। সৌগত রায়-ফিরহাদ হাকিমরা বলেছিলেন, “কাঁথি কারও গড় না।
শুভেন্দু প্রশ্নটা ছুঁড়তেই বলে দিলেন, ৯৮ এ দ্বিতীয় হয়েছিল তৃণমূল। প্রথম করেছিল অধিকারী পরিবার। আবার দ্বিতীয় হবে।” শুভেন্দু উবাচ, ‘অধিকারীদের আক্রমণ করলে অবিভক্ত মেদিনীপুরে হারিয়ে যাবে তৃণমূল।’বুধবারই তাঁর নিজের গড় কাঁথিতে সভা করেছিল তৃণমূল৷ সেই সভা থেকে তাঁকে তীব্র আক্রমণ করেছিলেন সৌগত রায় ও ফিরহাদ হাকিম৷ তার চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যেই কাঁথিতে নিজের শক্তির পরিচয় দিলেন শুভেন্দু অধিকারী৷ বিজেপি নেতার রোড শো এবং সভাকে কেন্দ্র করে এ দিন কাঁথিতে দেখা গেল জনজোয়ার৷ ভিড় দেখে শুভেন্দুর হঙ্কার, তৃণমূল চেষ্টা করলেও তাঁকে পূর্ব মেদিনীপুরে আটকে রাখতে পারবে না৷বিজেপি-তে যোগদানের পর এ দিন প্রথমবার নিজের জেলায় কোনও কর্মসূচিতে অংশ নিলেন শুভেন্দু অধিকারী৷ তার উপর এ দিনের সভা ছিল শুভেন্দুর নিজের শহর কাঁথিতে৷ স্বভাবতই এ দিন শুভেন্দুর রোড শো ও সভাকে ঘিরে রাজনৈতিক মহলের আগ্রহ ছিল তুঙ্গে৷শুভেন্দুর রোড শো-কে কেন্দ্র করে এ দিন জনস্রোত দেখা যায় কাঁথিতে৷ প্রায় চার কিলোমিটার পথে রোড শো করেন শুভেন্দু৷ কিন্তু মানুষের প্রবল ভিড়ে বার বার থমকে যায় তাঁর গাড়ি৷ আশেপাশের বাড়ির ছাদ থেকে শুভেন্দুকে লক্ষ্য করে পুষ্পবৃষ্টি করা হয়৷ জনতার বিপুুল সাড়া দেখে উৎসাহিত শুভেন্দু বলেন, ‘হরে কৃষ্ণ হরে হরে, বিজেপি ঘরে ঘরে৷একই সঙ্গে এ দিন পাল্টা সৌগত রায় এবং ফিরহাদ হাকিমকেও কটাক্ষ করেছেন শুভেন্দু অধিকারী৷ পাশাশি তিনি বলেন, ‘ওঁরা বার বার এখানে এসে চেষ্টা করছে যাতে আমি পূর্ব মেদিনীপুরে আটকে থাকি৷ কিন্তু লাভ হবে না৷ আমাকে এখানে আটকে রাখা যাবে না৷ আমি গোটা বাংলার৷’ শুভেন্দুর আরও দাবি, দলের অনুমতি পেলেই খুব শিগগিরই তিনি গোটা রাজ্য জুড়ে প্রচার শুরু করবেনএ দিন অমিত শাহের সুরে শুভেন্দুও দাবি করেছেন, আগামী বিধানসভা নির্বাচনে রাজ্যে ২০০-র বেশি আসন পাবে বিজেপি৷ দ্বিতীয় হবে তৃণমূল৷ আগামী ৭ জানুয়ারি নন্দীগ্রামে সভা করার কথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের৷ প্রত্যেক বছরই ওই দিনে নন্দীগ্রামে যান শুভেন্দু অধিকারী৷ এ দিন সেই প্রসঙ্গে শুভেন্দু বলেন, ‘নন্দীগ্রামটা ভারতবর্ষের মধ্যেই আর আমি বহিরাগত বলব না৷’