প্রথমবার এই প্রতিক্রিয়া শুভেন্দু-জিতেন্দ্র’র, তোপে শাসকদল
1 min readপ্রথমবার এই প্রতিক্রিয়া শুভেন্দু-জিতেন্দ্র’র, তোপে শাসকদল
গতকাল বুধবার বিধায়ক ও দলীয় সব পদ থেকে ইস্তফা দেওয়া ইস্তক মুখ খোলেননি শুভেন্দু অধিকারি। প্রায় ২৪ ঘণ্টা বাদে বৃহস্পতিবার একবারের জন্য এই প্রসঙ্গে প্রতিক্রিয়া জানালেন শুভেন্দু অধিকারি। এদিন নিমতৌড়িতে এক অনুষ্ঠানের ফাঁকে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসকে ব্যঙ্গ করে তিনি বলেন, ‘সারাদেশে পদত্যাগী বিধায়কদের বিধায়ক পদ খারিজ করতে ঝাঁপিয়ে পড়ে শাসক দল।
আর এখানে বিদ্রোহী বিধায়কের বিধায়ক পদ বাঁচাতে মরিয়া রাজ্যের শাসক দল। এ যেন পুরো উলটপুরাণ।’তবে গোটা বিষয়টি তিনি উপেক্ষা করছেন বলেই জানান শুভেন্দু। তাঁর দাবি, নৈতিকভাবে আমিই ঠিক। বিধানসভার অধ্যক্ষ বড়জোর আমার সই যাচাই করার জন্য ডাকতে পারেন আমায়। সে ক্ষেত্রে আমি যাব। উল্লেখ্য, তাঁর ইস্তফাপত্র সঠিকভাবে দেওয়া হয়নি বলে তা এখনও গ্রহণ করা যাবে না বলে এদিনই জানান বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই প্রেক্ষিতেই এই মন্তব্য শুভেন্দুর। এই মন্তব্যের মধ্য দিয়েই স্পষ্ট শুভেন্দুর সঙ্গে তৃণমূলের এক দীর্ঘ দুরত্ব রচিত হয়েছে। দু’পক্ষই এখন এই বিষয়টিকে ক্লোজড চ্যাপ্টার বলে ধরে নিয়েছে।
অন্যদিকে, এদিনই শুভেন্দুর পর দল ছেড়েছেন আসানসোলের প্রাক্তন মেয়র জিতেন্দ্র তিওয়ারি। তিনি দলীয় নেতৃত্বকে দুষে এই পদ ছেড়েছেন। তাঁর অভিযোগ, পুরপ্রশাসকের পদ ছাড়ার পরেই পাণ্ডবেশ্বরে তাঁর বিধায়ক কার্যালয় দখল করে নিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। এটা হয়েছে মূলত কলকাতার নেতাদের নির্দেশেই।
এই মন্তব্যের মধ্য দিয়ে তিনি ফিরহাদ হাকিমকেই দুষেছেন।তবে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠকে কাল তিনি যাবেন না বলেই জানান জিতেন্দ্র। তাঁর কথায়, পদ ছাড়ার পরেই এভাবে শক্তি দিয়ে পার্টি অফিস দখল করে নেওয়ার ঘটনা অত্যন্ত নিন্দনীয়। তাই কাল আর কথা বলার মতো পরিস্থিতি নেই। তাই দলের সব পদ ও প্রাথমিক সদস্যপদ ফিরিয়ে দেওয়ার এই সিদ্ধান্ত।
তবে তিনি স্বীকার করেছেন দলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই শেষ কথা। তিনি নির্দেশ যা দেবেন তা হবে, কিন্তু এভাবে পার্টি অফিস দখল করার রাজনীতি সমর্থন করা যায় না বলেই কালকের বৈঠকের আগে দলত্যাগ ও বৈঠকে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত বলেই জানান জিতেন্দ্র তিওয়ারি।