October 28, 2024

ঘন কুয়াশা কে উপেক্ষা করে রাতের বেলায় শহরের কাত্তিক ছুটে গেলেন রাধিকাপুর সীমান্তে মায়ের দর্শন করতে।

1 min read

ঘন কুয়াশা কে উপেক্ষা করে রাতের বেলায় শহরের কাত্তিক ছুটে গেলেন রাধিকাপুর সীমান্তে মায়ের দর্শন করতে।

তনময় চক্রবর্তী। কালিয়াগঞ্জ থানার কালী বাড়ির পুজো তে ভোগ দিয়েই ছুটলেন শহরের কার্তিক গ্রামে মায়ের দর্শন করতে। একদিকে ঘন কুয়াশা অপরদিকে কনকনে ঠান্ডা তবুও কুছ পরোয়া নেহি মাকে দর্শন করতেই হবে। এই জেদ নিয়ে গাড়ি নিয়ে ছুটলেন আজ রাতে কালিয়াগঞ্জ থেকে প্রায় ১৫  কিলোমিটার দূরে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে রেল স্টেশনের পাশে একটি কালি পুজোতে। অবশেষে মায়ের দর্শন পেয়ে শহরের কার্তিক ভীষণ খুশি। এই কার্তিক সেই কার্তিক যিনি গত তিন বছরে কালিয়াগঞ্জ শহরের অনুন্নয়নের তকমা ঘুচিয়ে দিয়ে উন্নয়নের তকমায় ফিরিয়ে দিয়েছে।

আর যার সুনাম ইতিমধ্যে শহর ছাড়িয়ে গ্রামে মানুষের মধ্যেও স্থান করে নিয়েছে। আজ  তাই সুদূর কালিয়াগঞ্জ থেকে গ্রামের মানুষের  টানে  ঘন কুয়াশা কে উপেক্ষা করে যখন শহরের কার্তিক পৌছলেন রাধিকাপুর  এ তখন উৎসাহিত সেই কালীমন্দিরের উপস্থিত স্থানীয় মানুষরা তাকে দেখতে এগিয়ে আসে তার সামনে।

শুধু তাই নয় শহরের কার্তিকের সঙ্গে গ্রামের মলিন বাবু, নারায়ন বাবু, শ্যাম বাবু সহ আরো অনেকে সেলফি ও  তুলে রাখলেন। পাশাপাশি

তিনি কালী মন্দিরে প্রবেশ করার পর রাধিকাপুর রেল স্টেশনের জিআরপির পক্ষ থেকে তাকে সংবর্ধনা  দেওয়া  হয় ফুলের স্তবক দিয়ে। মায়ের দর্শন করার পর।পূজা কমিটির অনুরোধে সেখানে সবার সাথে মায়ের প্রসাদ ও তিনি গ্রহণ করেন।

আর সেই সময় দেখা যায় অনেক কচিকাচা থেকে শুরু করে স্থানীয় মানুষদের সামনে এসে তার সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করতে এবং শেষে একটি করে গ্রুপ ছবি ও তুলতে। প্রায় এক ঘন্টা তিনি কাটান সেই সীমান্তসংলগ্ন রাধিকাপুর গ্রামে সেখানকার মানুষদের সঙ্গে। আর নিমিষের মধ্যে দেখা যায় সকলের সাথে তার এমন ভাব বিনিময় হয়ে যায় যেন মনে হচ্ছিল যে কোন আত্মীয়র বাড়িতে তিনি এসেছেন।

সেখানকার নাগরিকরা তাকে আবারো তাদের গ্রামে আসার অনুরোধ করেন।সবমিলিয়ে আজ ঘন কুয়াশা কে উপেক্ষা করে কালিয়াগঞ্জ পৌরসভার প্রশাসক কার্তিক চন্দ্র পালের রাধিকাপুর সফর ছিল একটু অন্যরকম। এক সাক্ষাৎকারে প্রশাসক কার্তিক চন্দ্র পাল বলেন, তিনি কালিয়াগঞ্জ এর সন্তান। কালিয়াগঞ্জ শহর এবং গ্রামকে তিনি ভীষণ ভালোবাসেন। গ্রামের মানুষের টানে তার সব সময় ইচ্ছে করে গ্রামেগঞ্জে ঘুরে বেড়াতে আর সেখানকার মানুষদের সাথে কথা বলতে। আজ সে রকমই রাধিকাপুর এর মানুষের টানে কালী মায়ের দর্শন করতে তিনি এসেছেন এই রাতের বেলায় মায়ের মন্দিরে।তিনি বলেন কালিয়াগঞ্জই তার জন্মস্থান। এখান থেকেই তার বড় হয়ে ওঠা।এদিন পূজা প্রাঙ্গণে উপস্থিত ছিলেন  ডালখোলা জিআরপি থানার ওসি চন্দন রায়, রাধিকাপুর জিআরপি ইনচার্জ দীপেন রসোইল , বিশিষ্ট আইনজীবী সুজিত সরকার সহ  বিশিষ্টজনেরা । উল্লেখ্য ১৯৪৭ সালে দেশভাগের বহু আগে উনিশ শতকের শুরুতে ব্রিটিশ শাসনকালে কালিয়াগঞ্জের রাধিকাপুর রেলস্টেশনে এই রক্ষা কালীমাতার পূজো শুরু হয়েছিল।  

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *