October 28, 2024

কার্তিক মাসে কার্তিক গৃহে গৃহে পূজিত হতে চলেছে কিন্তু কালিয়াগঞ্জের কার্তিক ?

1 min read

কার্তিক মাসে কার্তিক গৃহে গৃহে পূজিত হতে চলেছে কিন্তু কালিয়াগঞ্জের কার্তিক ?

জয়ন্ত বোস, কালিয়াগঞ্জ, উঃ দিনাজপুর।কার্তিক পূজা হিন্দুদের একটি পূজা। কার্তিক হলো হিন্দু যুদ্ধ দেবতা। তিনি দেবাদিদেব মহাদেব ও দশভূজা মা দূর্গার সন্তান। কার্তিক বৈদিক দেবতা নন, তিনি পৌরাণিক দেবতা। প্রাচীন ভারতে কার্তিক পূজা যেমন পূজিত হয়ে এসেছে ঠিক আজকেও কার্তিক পূজার প্রচলন ঘড়ে ঘড়ে। বিশেষ করে বাঙালির বারো মাসে তেরো পার্বণ যখন লেগেই থাকে। কার্তিক সংক্রান্তির দিনে কার্তিক পূজার সাড়ম্বরে আয়োজন বিশেষ ভাবে দেখা যায় পশ্চিমবঙ্গের হুগলী জেলায় সেই সাথে পশ্চিমবঙ্গের সর্বত্র।

কেউ তাকে স্কন্দ বলে, কেউ বলে মরুগন আবার কেউ বলে সুব্রক্ষ্মণ। তিনি আসলে দেব সেনাপতি , যুদ্ধের দেবতা।দেবালোকে যেখানেই যুদ্ধ হয় সেখানেই কার্তিকের ডাক পরে। যুদ্ধের দেবতা বলে নাকি তার ছয়টি মাথা। চারিদিক থেকে তার লক্ষ্য অবিচল। পাঁচটি ইন্দ্রিয় অর্থাৎ চোখ, কান, নাক, জিহ্বা ও ত্বক ছাড়াও একাগ্র চিত্তে তিনি যুদ্ধ করেন। তবে ভারতীয় মতানুযায়ী বিশেষ করে স্পেশালি বাঙালিদের মতানুযায়ী কার্তিক ঠাকুরকে সন্তান রুপ বলে মনে করা হয়।

আর এই কার্তিক মাসেই যখন বাঙালির ঘড়ে ঘড়ে কার্তিক পূজিত হতে চলেছেন ঠিক এমন অবস্থায় কালিয়াগঞ্জের কার্তিক কালিয়াগঞ্জ বাসীর কোথায় আছেন জনগনের চর্চিত সেই আলোচনাই এই প্রতিবেদনে ঠাঁই পেয়েছে। কালিয়াগঞ্জের কার্তিক বযবসায়ী কালী পালের পুত্র যিনি যুদ্ধে পারদর্শী না হয়েও কালিয়াগঞ্জ পৌর এলাকার উন্নয়নমুখী যুদ্ধে সামিল হয়েছেন রাজনৈতিক আঙ্গিনায় পা রেখে। প্রথমে কংগ্রেস ঘরানায়, অতঃপর তৃণমূল কংগ্রেস নামক রাজনৈতিক প্লাটফর্মে পা রেখে কালিয়াগঞ্জ পৌর এলাকার উন্নয়নের আমূল পরিবর্তন ঘটাতে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের উন্নয়নের সাথে নিজেকে যুক্ত করেছেন। উদ্যোগ নিতে তো কাউকে এগিয়ে আসতে হবে সেই সৎ সাহস করে দেখাচ্ছেন কালিয়াগঞ্জের কার্তিক।নিন্দুক বা সমালোচকরা সবসময় নিন্দা ও সমালোচনা করবেই কিন্তু এর মধ্যেই আলোচনার বিষয় সমূহ থাকা দরকার। হোক গঠনমূলক সমালোচনা তবেই তো কালিয়াগঞ্জের কার্তিক নিজেকে রেকটিফায়েড করতে সক্ষম হবে। অনুন্নত কালিয়াগঞ্জ পৌর এলাকার উন্নয়নের খোলনলচা পাল্টে দিতে সময় সাপেক্ষের ব্যাপার, তবুও ৪ বছরের মধ্যে যে কাজগুলো নিজের পরিকল্পনা নিয়ে রাজ্য সরকারের সহযোগিতায় এবং আর্থিক আনুকূল্যে প্রাক্তন পৌরপতির তকমা এবং বর্তমান পৌর প্রশাসক হয়ে কার্তিক করে চলেছে সেটা সামগ্রিক কালিয়াগঞ্জ শহরের উন্নয়নের স্বার্থে। এমনকি রাজনৈতিক প্লাটফর্মে প্রাক্তন শহর তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি থাকা অবস্থায় নিজের প্রচেষ্টায় টিনের শেড দেওয়া দীর্ঘদিনের তৃণমূল কংগ্রেস কার্যালয় কে দেখার মতো নব সজ্জায় পাকা বিল্ডিং এ রুপ দিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের নেতৃত্বদের সহ কর্মীদের মান বাড়িয়ে দিয়েছেন যা আজ পর্যন্ত কালিয়াগঞ্জের কোনো স্তরের তৃণমূল কংগ্রেসের নেতৃত্বদের এগিয়ে আসতে দেখা যায় নি। একদিকে শহরের উন্নয়ন অন্যদিকে পার্টি অফিসের উন্নয়ন করতে গিয়ে তিনি আভ্যন্তরীণ হোঁচট যেমন খাচ্ছেন তেমনি কালিয়াগঞ্জ বাসীর ঘড়ে ঘড়ে তিনি কার্তিক মাসের মহাদেব পুত্র কার্তিকের মতো কি বিরাজিত হতে পারছেন কিনা এই নিয়েই চর্চা। বিভিন্ন ভাবে বিভিন্ন স্তরের উন্নয়নে নিজেকে সঁপে দিয়েছেন তবুও এই চর্চা কি আগামী দিনের জন্য ফলপ্রসূ। কালিয়াগঞ্জ শহর ছোট্ট পৌর শহর। সকলে সকলের প্রায় পরিচিত। অশিক্ষিত থেকে শিক্ষিত, দরিদ্র থেকে বড়লোক, ব্যবসায়ী থেকে চাকুরীজীবী প্রায় সকলেই একবাক্যে স্বীকার করছেন কালিয়াগঞ্জের উন্নয়নের সোপান তৈরীর সাহস ও এগিয়ে আসার মানসিকতা কিন্তু কালিয়াগঞ্জের কার্তিক করে দেখাতে সক্ষম। কিন্তু তাদের মধ্যে অধিকাংশই মত প্রকাশ করেছেন পয়সা ওয়ালা ব্যবসায়ী ঘড়ে জন্ম নেওয়া কালিয়াগঞ্জের কার্তিকের একটা বড় আত্ম অহংকার সর্বদাই তার বডি ল্যাঙ্গুয়েজ কে প্রভাবিত করে চলেছে যার বহিঃপ্রকাশ কালিয়াগঞ্জ পৌর এলাকার জনগনের কোমল হৃদয়কে করাঘাত করছে। এত উন্নয়নের মাঝেও কালিয়াগঞ্জের কার্তিকের এই বডি ল্যাঙ্গুয়েজ মনে করিয়ে দিচ্ছে এক সময়ের কালিয়াগঞ্জ পৌরসভার পৌরপতি মুখে হাসি বিহীন কর্কশ অশোক ঘোষ কে। সেই বডি ল্যাঙ্গুয়েজ পরবর্তীতে কালিয়াগঞ্জ পৌর এলাকার বাসিন্দাদের মন জয় করে নিয়েছিল প্রয়াত প্রাক্তন পৌরপতি অরুন দে সরকার যিনি সকলের কাছে শঙ্কর দা নামেই পরিচিত ছিলেন। আত্ম গরিমা , আত্ম অহংকার , অর্থের ক্যারিশমা মানুষ কিন্তু অন্তরের অন্তঃস্থল থেকে ঘৃনা করে, পছন্দ করে না। পছন্দ করে বিনয়ী , নম্রতা, মিশুকে স্বভাব এমনকি মানুষের মন কে জয় করে নেবার কৌশলকে। বহুল ভাবে চর্চিত কালিয়াগঞ্জ পৌর এলাকার বিভিন্ন ওয়ার্ডের বিভিন্ন স্তরের মানুষের কাছে জানা গেল দশমীর দিনে কালিয়াগঞ্জ পৌর নিরঞ্জন ঘাটে যখন এক এক করে প্রতীমা নিরঞ্জন হচ্ছে তখন সর্বদাই দেখা গেল হাতে মোবাইল নিয়ে কথা বলতেই ব্যস্ত পৌর প্রশাসক কালিয়াগঞ্জের কার্তিক কে‌। ঐ ঘাটে আগ বাড়িয়ে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখেই সকল দর্শনার্থীদের সাথে তিনি যদি বিজয়ার শুভেচ্ছা বিনিময় করতেন তাহলে তিনি তো মানুষের হৃদয়ের অন্তঃস্থলে জায়গা করে নিতে পারতেন। চর্চিত ব্যাক্তিদের এই চর্চা কতখানি হৃদয়ঙ্গম তাতো আগামী দিন বলবে। তবে কালিয়াগঞ্জের সংস্কৃতি ধারায় আন্তরিক আতিথেয়তা, ভদ্রতা , নম্রতা, ঔদ্ধত্য হীন সাবলীলতা এবং মৃদু হাসিতে সকলকে আপন করে নেওয়ার একটা ধারা যে সকলের রক্তে বহমান সেটা কিন্তু অনস্বীকার্য। মহাদেব পুত্র পৌরাণিক কার্তিক যুদ্ধে পারদর্শী ছিলেন তবুও ঘড়ে ঘড়ে পূজিত হয়ে আসছেন কিন্তু কলিযুগের কালিয়াগঞ্জের কার্তিক অনুন্নয়নের চাদর সরিয়ে উন্নয়নের লক্ষ্যের যুদ্ধে পারদর্শী হলেও কালিয়াগঞ্জ বাসীর ঘড়ে ঘড়ে , কালিয়াগঞ্জ বাসীর হৃদয়ের অন্তঃস্থলে জায়গা করে নিতে পারবেন বা পেরেছেন কিনা সেই উত্তর জনগনের কাছে। কিন্তু সকল স্তরের জনগনের বহুল আলোচিত ও চর্চিত বক্তব্য গুলো এই প্রতিবেদনের ভাষা। তবে মানুষের হৃদয় কে জয় করে নেওয়ার কৌশলগত যুদ্ধে জয়ী হতে পারবেন কালিয়াগঞ্জের কার্তিক এই বিষয়ে অনেকেই নিশ্চিত তবে এই যুদ্ধের ঢাল কিন্তু আন্তরিকতার ছোঁয়া।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *