October 27, 2024

কালিয়াগঞ্জে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব চরম আকার ধারণ করেছে। তৃণমূলের সভায়  বিধায়ক তপন দেব সিংহের মন্তব্য কে  ঘিরে তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মীদের মধ্যেই ক্ষোভ তৈরি  হল 

1 min read

কালিয়াগঞ্জে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব চরম আকার ধারণ করেছে। তৃণমূলের সভায়  বিধায়ক তপন দেব সিংহের মন্তব্য কে  ঘিরে তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মীদের মধ্যেই ক্ষোভ তৈরি  হল 

তন্ময় চক্রবর্তী আজ কালিয়াগঞ্জে তৃণমূল কংগ্রেসের ব্লক ও শহর সম্মেলনের মঞ্চে  কালিয়াগঞ্জ এর বিধায়ক তপন দেব সিংহ তার বক্তব্যে গোষ্ঠী কোন্দল এর  ইঙ্গিত দিলেন কালিয়াগঞ্জ এ  । তিনি বলেন দলে থেকে কেউ দলের বিরোধিতা করতে পারবেন না।আর কেউ কোনো ব্যক্তিগত কাজ করছেন না যে  উন্নয়নের  হচ্ছে সব রাজ্য সরকারের উদ্যোগে।

এই বক্তব্য যখন তিনি দিতে থাকলেন মঞ্চে তখন বেশ কিছু তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মীদের দেখা গেল কানাঘুষা করতে এবং বলতে এই ধরনের মঞ্চে এ ধরনের বক্তব্য না দিলেও দিতে পারতেন তিনি। এখানে কোন নেতা এমন বিরোধিতা করছে ?এবং কোন নেতা বা তার নিজের নামে বলছে যে তার উদ্যোগে সব উন্নয়নমূলক কাজ হচ্ছে। তাহলে কি তিনি বলতে চাচ্ছেন কালিয়াগঞ্জ এর প্রশাসক কার্তিক চন্দ্র পাল যেভাবে একের পর এক কালিয়াগঞ্জ শহরে রাজ্য সরকারের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে উন্নয়নমূলক কাজ করে চলছেন তাতে তিনি হিংসার বশবর্তী হয়ে এই ধরনের মন্তব্য করলেন। অন্য কোন নেতা তো এই মঞ্চে এমন কোনো বক্তব্য দিলেন না। তিনি হঠাৎ এমন বক্তব্য দিতে গেলেন কেন। যখন তিনি মঞ্চে এ ধরনের বক্তব্য রাখলেন তখন এক পাশে বসে ছিলেন কালিয়াগঞ্জ এর প্রাক্তন শহর তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি তথা বর্তমান পৌরসভার প্রশাসক কার্তিক চন্দ্র পাল।  স্বভাবতই অনেকের মনে প্রশ্ন প্রশাসককে সামনে পেয়ে নেতা-মন্ত্রীদের সামনে হয়তোবা আজ নিজের চাপা ক্ষোভ উগরে দিলেন বিধায়ক । যা অনেক তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মীরা ভেতর থেকে মেনে নিতে পারেননি। একদিকে যখন তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি বলছেন কালিয়াগঞ্জে কোন গোষ্ঠী কোন্দল নেই কোনো নেতাদের মধ্যে মতবিরোধ নেই তখন খোদ বিধায়কের মুখে অন্য সুর। এটা কিসের ইঙ্গিত।সামনে বিধান সভার বিধানসভার নির্বাচন আসছে। এই সময় সকল নেতাদের ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে । আর বিধায়ক সেটা না করে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব আরো উস্কে দিলেন। অর্থাৎ বিধায়ক আজ যেটা করলেন কার্যত অনেকটা দল বিরোধী কাজ। দলের অনেক কর্মীরা  আজ তার বক্তব্যে প্রচণ্ড ক্ষুব্ধ। এটা কি গোষ্ঠী কোন্দল এর ইঙ্গিত নয়। অনেকে বলছেন বিধায়ক নিজে যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন সাধারণ মানুষকে তা আজ অব্দি একটিও পালন করতে পারেননি যখন তখন অন্যেরা যখন কাজ করছে সেই সময় হিংসার বশবর্তী হয়ে এই ধরনের মন্তব্য করাটা  কখনই উচিত নয়।এটাতে দলের কর্মীদের মধ্যে ফাটল ধরাতে পারে এ নিয়ে কোন সন্দেহ নেই। এদিন তপন দেব সিংহ বলেন দলে থেকে দলের বিরোধিতা করা যাবে না। দলের যেই   নেতাই  হোক।  সবার ক্ষেত্রে এই আইন প্রযোজ্য। দলে থাকলে দলের মতন করে কাজ করতে হবে। আর কেউ যদি বলে নিজেই কাজ করছেন সব উন্নয়নমূলক কাজ। তাহলে সে ভুল বার্তা দিচ্ছে না সাধারণ মানুষকে। কারন সব কাজ হচ্ছে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে রাজ্য সরকারের সহযোগিতায়। কার্যত তিনি এদিন যে  হুঁশিয়ারি দিলেন প্রকারন্তরে কালিয়াগঞ্জে প্রশাসক কার্তিক চন্দ্র পাল কে তা কিন্তু সকলের  বুঝতে কোন অসুবিধা হয়নি। তবে এই বার্তা বিধায়কের দলের মধ্যে কতটা আগামী দিনে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব মাথাচাড়া দিয়ে উঠে তা এখন লাখ টাকার প্রশ্ন।আর গোষ্ঠী কোন্দল বিধায়কের মন্তব্যের জেরে যদি বেড়ে যায় আর তাতে যদি আগামী বিধানসভা নির্বাচনে কালিয়াগঞ্জে দলের ফলাফল খারাপ হয় সে ক্ষেত্রে তার দায়ভার কি বিধায়ক নিবেন এ প্রশ্নও ঘোরাফেরা করছে কর্মীদের মুখে মুখে।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *