জমিদারি প্রথা বর্তমানে না থাকলেও নিয়ম নিষ্টার সাথে দুর্গা পূজার আয়োজন এবার ও হবে ইটাহার চুড়ামনের জমিদার বাড়ির
1 min readজমিদারি প্রথা বর্তমানে না থাকলেও নিয়ম নিষ্টার সাথে দুর্গা পূজার আয়োজন এবার ও হবে ইটাহার চুড়ামনের জমিদার বাড়ির
শশাঙ্ক সরকার ইটাহার : জমিদারি প্রথা বর্তমানে না থাকলেও নিয়ম নিষ্টার সাথে দুর্গা পূজার আয়োজন করে চলেছেন ইটাহার চুড়ামনের তৎকালীন জমিদার মোহনী মোহন রায় চৌধুরীর বংশধর। উল্লেখ্য তৎকালীন ইটাহার থানার চুড়ামনের জমিদার মোহনী মোহন রায় চৌধুরীর আমলে জমিদারি অট্টালিকাতে ধুমধাম করে মা দুর্গার পূজার আয়োজন করা হত। মূলত মহানন্দা নদীর ধারেই এই রাজ্য বিস্তার লাভ করে কারন এই নদী দিয়ে ব্যবসা বানিজ্যের আমদানি রপ্তানি হত।
এই রাজবংশের পূজাকে কেন্দ্র করে আগে মহিষ বলি সহ যাত্রা পালা আসর সহ বিশাল মেলা বসত। কিন্তু বর্তমানে বলি বন্ধ করেছেন বংশধরেরা। তবে ধীরে ধীরে জমিদারী প্রথা শেষের দিকে ও জমিদার না থাকার কারনে পূজার আয়োজনো কিন্তু নিয়ম নিষ্টার সাথে দুর্গা পূজার আয়োজন করে চলেছেন ,মোহনী মোহন রায় চৌধুরীর বংশধর চৌদ্দ পুরুষ ধরে তার বংশধর পূজার আয়োজন করে চলেছে, তবে জমিদারের সেই অট্টালিকা নেই সবি ভেঙ্গে গুরে জঙ্গলের আকার ধারণ করেছে। বর্তমানে কালের অপেক্ষেয় জঙ্গলের ফাঁক দিয়েই উঁকি দিচ্ছে জমিদারির ধংশাবশেষ।
নেই জমিদারি তবে দীর্ঘ দিন যাবৎ ধরে ভাঙ্গা ফুটো মন্দিরে দুর্গা পূজার আয়োজন করা হলেও গত বছর ধরে মায়ের নতুন মন্ডব তৈরী করেছে রায় চৌধুরীর বংশধর কৌশিক রায় চৌধুরী। কর্ম ব্যাস্ততায় কৌশিক রাজ্যের বাইরে থাকলেও মাঝে মধ্যে বারিতে না আসলেও বছরে বারির পূজার আগে বারিতে প্রতিবছর আসেন। এই পূজার সময় বংশ ধরের আত্মিয়রা যারা বাইরে থাকে সবাই বাড়ি ফিরে পূজোর কাজে হাত লাগান। রায় চৌধুরীর বংশধর কৌশিক রায় চৌধুরী বলেন, বর্তমানে জমিদারি নেই তবে নিয়ম নিষ্টার সাথে পূজার আয়োজন করা হয়।
আগেে ধূমধাম করে পূজার আয়োজন করা হত। যাত্রা পালা,মহিষ বলি সহ বিরাট মেলা বসত তবে এখন আর সেসব না থাকলেও দশমীতে ছোট আকারে মেলা বসে, শিব মন্দিরের পাশে মুসলিম সম্পদায়ের কোন ব্যাক্তিকে দিয়ে পির বাবার নিশানা এখনো লাগানো হয়।
তবে জমিদারের বংশধরের আত্বীয় স্বজন কর্মসূত্রে বাইরে থাকলেও পূজার সময়ে সকলে আসে। বর্তমানে আমরাই বসবাস করি। গ্রামের বাসিন্দারা সব ধরনের সহযোগিতার হাত বারিয়ে দেয় । তবে আগের জমিদারি রীতি মতন ধুমধাম করে পূজার আয়োজন না হলেও এখন আনন্দ সহিত নিয়ম নিষ্টার সাথে জমিদারি দুর্গা পূজার আয়োজন করা হয়ে থাকে।
এবারো সেই মতো পূজার আয়োজন চলছে, তবে করোনা মোকাবিলায় হয়তো মেলা হবে না, তবে আমরা সরকারী নিয়ম অনুযায়ী পূজার আয়োজন করে চলেছি, এলাকার বাসিন্দা শুভাশীষ সরকার ও বলেন ছোট বেলা থেকেই দেখে আসছি জমিদারি পূজা, তবে এখনও নিয়ম নিষ্টার সাথে আয়োজন করা হয়
এই পূজার ঐতিহ্য হলো সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বন্ধন কেননা এখনো সেই মুসলিম সম্পদায়ের কোন ব্যাক্তিকে দিয়ে দশমী দিন দুর্গা মন্দিরের পাশে শিব মন্দিরের ধারে পির বাবার নিশানা লাগানো হয় যা পূর্ব পুরুষদের আমল থেকে হয়ে আসছে।