October 27, 2024

পুজোর আগেই শহরের উপকণ্ঠে উচ্চ বাতিস্তম্ভে আলো জ্বালাবে কালিয়াগঞ্জ পৌরসভা। খুশি নাগরিকরা

1 min read

পুজোর আগেই শহরের উপকণ্ঠে উচ্চ বাতিস্তম্ভে আলো জ্বালাবে কালিয়াগঞ্জ পৌরসভা। খুশি নাগরিকরা

তনময় চক্রবর্তী কালিয়াগঞ্জ বাসীর জন্য আবারো সুসংবাদ এনে দিল কালিয়াগঞ্জ পৌরসভা। এবার শহরের উপকণ্ঠে বসতে চলছে ডিভাইডারের মাঝখান দিয়ে উচ্চ বাতিস্তম্ভে ঝলমলে উজ্জ্বল আলো। যার কাজ ইতিমধ্যে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় শুরু হয়ে গিয়েছে। সূত্রের খবর এই কাজ পুজোর আগেই শেষ হয়ে যাবে।

যার ফলে শহরবাসী পুজোর মধ্যেই হয়তো ঝলমলে আলোয় কালিয়াগঞ্জ শহরকে দেখতে পাবে। আর যার তৎপরতায় এই কাজ হতে চলছে তিনি হলেন কালিয়াগঞ্জ পৌরসভার প্রসাশক কার্তিক চন্দ্র পাল। গ্রীন সিটি মিশন এর অর্থে এই প্রকল্পের কাজ ইতিমধ্যে শুরু হয়ে গিয়েছে।

ফলে খুশি শহরের নাগরিকরা।প্রতিশ্রুতি কে কিভাবে বাস্তবায়ন করতে হয় তা কালিয়াগঞ্জ পৌরসভার  প্রশাসক কার্তিক চন্দ্র পালের কাছ থেকে শেখা দরকার অনেকেরই। একের পর এক উন্নয়নমূলক কাজ করে ৩০ বছর পিছিয়ে পড়া শহরকে যিনি নিঃশব্দে এগিয়ে চলছেন তার নাম কার্তিক চন্দ্র পাল।

 

যার হাত ধরে একদিকে যেমন তৈরি হয়ে গিয়েছে শহরের প্রাণকেন্দ্র বিবেকানন্দ মোড়ে  অত্যাধুনিক মানের বাস স্ট্যান্ড , শিশু উদ্যান তেমনি তৈরি হচ্ছে দ্রুত গতিতে বিনোদন পার্ক, স্টেডিয়াম থেকে শুরু করে শ্মশান ঘাট ও কবরস্থানের উন্নয়ন।শুধু তাই নয় ঢেলে সাজানো হচ্ছে দীর্ঘদিনের কালিয়াগঞ্জ বাঁশির সমস্যা জল নিষ্কাশন এর জন্য আধুনিক মানের ড্রেনের ব্যবস্থা। যা আগামী বছরের মধ্যে সম্পূর্ণ হয়ে যাবে বলে পৌরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে।

একের পরে এক জনমুখী জনকল্যাণে কার্তিক চন্দ্র পাল যে উদ্যোগ শহরবাসীর স্বার্থে নিচ্ছে প্রতিনিয়ত তা একদিকে যেমন শহরের বহু মানুষকে খুশি করেছেন তিনি। তেমনই তার এই জনকল্যাণমুখী কাজ অনেকের কাছে ঈর্ষার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ১৯৮৭ সালে যে গঞ্জ মহীরুহে শহরের তকমা পেয়েছিল গুটিগুটি পায়ে , সেই শহর এখন এগিয়ে যাচ্ছে। তবে মাঝখানে শহরের উন্নয়ন থমকে ছিল যার সৌজন্যে সেই বামফ্রন্ট সরকার।

যার কালা জাদুর খপ্পরে পড়ে কংগ্রেস পরিচালিত পৌরসভা বরাবর বঞ্চিত হয়ে গিয়েছিল আর পাঁচটা পৌরসভার থেকে বাড়তি কিছু আদায় করার ক্ষেত্রে শহরবাসীর জন্য। তার জন্যই নাকি কালিয়াগঞ্জ শহরে তেমন উন্নয়নমূলক কাজ হয়নি বলে কংগ্রেসের নেতারা বলছেন।

বর্তমানে রাজ্যের মা মাটি মানুষের সরকারের মুখ্যমন্ত্রীর আশীর্বাদ নিয়ে যে কালিয়াগঞ্জ পৌরসভা যার নেতৃত্ব দিয়েছিলেন কার্তিক চন্দ্র পাল পৌরপতি হিসেবে যেদিন থেকে সেদিন থেকেই কালিয়াগঞ্জ শহরের পিছিয়ে পড়া তকমা আস্তে আস্তে মুছে যেতে থাকে। তরুণ তুর্কি প্রাক্তন পৌরপতি তথা বর্তমান প্রশাসন পৌরসভার কার্তিক চন্দ্র পাল যেভাবে যে তৎপরতা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আশীর্বাদ নিয়ে একের পর এক শহরের উন্নয়নে যেভাবে কাজ করে চলছে তা এক নজিরবিহীন।

তবে তার এই কাজে যোগ্য  সহযোগিতা করেছেন সেই মা মাটি মানুষের সরকারের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেমন  তেমন ই  মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী থেকে  অরূপ বিশ্বাস, রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় সহ আরো বেশ কয়েকজন মন্ত্রীরা। তাদের মানবিক সহযোগিতা নিয়ে পৌর প্রশাসক কালিয়াগঞ্জ শহরের যেভাবে উন্নয়নের এক্সপ্রেসের গতিকে বাড়িয়ে দিয়েছেন তা সাধারণ মানুষ রাস্তাঘাটে বেরোলে দেখতে পাচ্ছেন।অনেক কাজ সম্পূর্ণ হয়ে গিয়েছে ,অনেক কাজ দ্রুত গতিতে চলছে , আবার অনেক কাজ হতে চলছে। সম্প্রতি টাউনহলের জায়গাও পৌরসভা পেয়ে গিয়েছে। সেখানেও টাউনহলের কাজ খুব শিগ্রই হতে চলছে বলে প্রশাসক কার্তিক চন্দ্র পাল জানান। বলা যেতে পারে বহুদিনের কালিয়াগঞ্জ বাসীর স্বপ্ন অবশেষে পূরণ হতে চলছে তরুণ তুর্কি প্রাক্তন পৌরপতি তথা বর্তমান পৌরসভার প্রশাসক কার্তিক চন্দ্র পালের হাত দিয়ে। আজ থেকে কয়েক বছর আগেও কালিয়াগঞ্জ শহরের বিভিন্ন রাস্তা ঘাট গুলোর অবস্থা যা ছিল তা রাস্তার না বললেই ভাল হত। কিন্তু আজ শহরের সর্বত্র রাস্তা যেমন বড় হয়েছে তেমনি রাস্তার চেহারাও আমূল বদলে গিয়েছে। শহরবাসীরা এখন স্বাচ্ছন্দে এদিক ওদিক যেতে পারছে আর তাদের নাজেহাল হতে হচ্ছে না। অপরদিকে কয়েক বছর আগেও শহরের আলোর ব্যবস্থা খুব একটা ছিল না । গুটিকয়েক কিছু স্ট্রীট লাইট ছিল। আর আজ অলিতে-গলিতে শুধু স্ট্রিটলাইট নয় উচ্চ বাতিস্তম্ভ আলোর ঝলকানি দিচ্ছে বহু দূর দূরান্ত পর্যন্ত। যা শহরকে এবং শহরবাসীকে অনেকটাই স্বাচ্ছন্দে ফিরিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছে পৌর প্রশাসক। জল নিষ্কাশন এর জন্য শুরু হয়েছে হাইড্রেন এর   কাজ। সেটাও চলছে দ্রুত গতিতে। তবে এই কাজ এখনো সম্পূর্ণ হয়নি।পৌরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে এই কাজ ও আগামী বছরের মধ্যে সম্পূর্ণ হয়ে যাবে।অর্থাৎ বলা যেতেই পারে আগামী বছর আর বর্ষার সময় সাধারণ মানুষকে নাজেহাল হতে আর হবেনা।শুধু তাই নয় শহরের উপকণ্ঠে যে রাস্তার কাজ শুরু হয়েছে পূর্ত দফতরের উদ্যোগে সেটাও কিন্তু শহরের মানকে অনেকটাই শ্রীবৃদ্ধি ঘটিয়েছে। এরই পাশাপাশি এবার আরেকটি নতুন পালক যুক্ত হতে চলছে সেটি হল শহরের উপকণ্ঠে অর্থাৎ রাজ্য সড়ক টেন এ তে যে রাস্তার কাজ সম্প্রসারণ এর কাজ শুরু হয়েছে সেখানেই এবার মাঝখান দিয়ে  ডিভাইডারের মধ্যে বসতে চলছে  উচ্চ বাতিস্তম্ভের উজ্জ্বল আলোর ঝলকানি। যা সম্ভবত পুজোর মধ্যেই শহরবাসীরা অনুভব করতে পারবেন। পৌর প্রশাসক কার্তিক চন্দ্র পাল বলেন, এতগুলো তিনি যে কাজ হাতে নিয়েছেন এবং কাজ করছেন তা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর আশীর্বাদ না থাকলে করতে পারতেন না। পাশাপাশি বিভাগীয় বিভিন্ন দপ্তরের মন্ত্রী যেমন শুভেন্দু অধিকারী, অরূপ বিশ্বাস,এবং রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর এই জনকল্যাণমুখী কাজ করার ক্ষেত্রে তারা দুই হাত ধরে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন। তাই রাজ্য সরকারের মুখ্যমন্ত্রী এবং বিভাগীয় মন্ত্রীদের তিনি ধন্যবাদ যেমন জানান তেমনি কালিয়াগঞ্জ এর সাধারন মানুষ এবং ব্যবসায়ী দের ও তিনি ধন্যবাদ জানান কারণ তারা যেভাবে উন্নয়নমূলক কাজে সহযোগিতা করেছেন তা পৌরসভা চির কৃতজ্ঞ থাকবে তাদের কাছে। সবশেষে পৌর প্রশাসক বলেন করোনা আবহে মানুষের যখন মন খারাপ ঠিক তখন পুজোর মুখে শহরকে আলোয় আলোময় করে তুলে শহরবাসীর মুখে একটু হাসি ফুটাতে চান। আর যার কাজ চলছে এখন দ্রুত গতিতে । 

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *