” এক মাঘে শীত যায়না, পরের বছর আবার ভোট “
1 min read” এক মাঘে শীত যায়না, পরের বছর আবার ভোট “
” এক মাঘে শীত যায়না, পরের বছর আবার ভোট ” এমনই হুশিয়ারির স্লোগান নিয়ে মৃত ভোট কর্মী রাজকুমার রায়ের পরিবারকে দ্রুত ক্ষতিপূরণ দেওয়ার দাবিতে উত্তর দিনাজপুর জেলাশাসকের কার্যালয়ের সামনে অবস্থান বিক্ষোভ করল হাইস্কুলের শিক্ষকেরা। পরে তারা অতিরিক্ত জেলাশাসকের কাছে ভোটকর্মীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং মৃত ভোট কর্মী রাজকুমার রায়ের পরিবারকে দ্রুত ক্ষতিপূরণ দেওয়ার দাবিতে স্মারকলিপি প্রদান করেন।
২০১৮ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনে ইটাহার ব্লকের একটি স্কুলে প্রিসাইডিং অফিসার হিসেবে কাজ করছিলেন করনদিঘীর রহতপুর হাইস্কুলের শিক্ষক রাজকুমার রায়। ভোট চলাকালীনই তিনি বুথ থেকে নিখোঁজ হয়ে যান। পরদিন সকালে রায়গঞ্জ থানার বামুনগাঁ এলাকায় রেললাইনের ধারে তাঁর ক্ষতবিক্ষত মৃতদেহ উদ্ধার হয়। স্কুল শিক্ষক প্রিসাইডিং অফিসারের ভোট চলাকালীন এই রহস্যজনক মৃত্যুর ঘটনায় তোলপাড় হয়ে ওঠে রাজ্যের কাকদ্বীপ থেকে কোচবিহার। রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে মৃত ভোটকর্মী রাজকুমার রায়ের স্ত্রীকে জেলাশাসকের অফিসে চাকুরি দেওয়া এবং পেনশন দেওয়া হলেও ভোট চলাকালীন ভোটকর্মীর মৃত্যুর ঘটনায় আজ পর্যন্ত একটি টাকাও ক্ষতিপূরণ দেয়নি রাজ্য নির্বাচন কমিশন। মৃত ভোটকর্মী রাজকুমার রায়ের হত্যার বিচার চেয়ে উত্তর দিনাজপুর জেলার স্কুল শিক্ষকেরা ” রাজকুমার রায়ের হত্যার বিচার চাই ” নামে একটি অরাজনৈতিক মঞ্চও তৈরি করে আন্দোলনে নামে। উত্তর দিনাজপুর জেলা প্রশাসনের কাছে বার বার দরবার করেও দুবছর চার মাস অতিক্রান্ত হলেও আজ পর্যন্ত একটি টাকাও ক্ষতিপূরণ পাওয়া যায়নি। আন্দোলনকারী শিক্ষক সইদুল ইসলাম অভিযোগ করে বলেন, উত্তর দিনাজপুর জেলা প্রশাসনের চুড়ান্ত গাফিলতি ও অনীহার কারনে এই ক্ষতিপূরণ মিলছেনা। আমরা আর টি আইয়ের মাধ্যমে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের কাছ থেকে জানতে পেরেছি উত্তর দিনাজপুর জেলা প্রশাসন আজ পর্যন্ত রাজকুমার রায়ের নির্বাচনের কাজে গিয়ে মৃত্যুর রিপোর্ট রাজ্য নির্বাচন কমিশনের কাছে পাঠায়নি। অবিলম্বে মৃত ভোটকর্মী রাজকুমার রায়ের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার দাবিতে এবং ভোট কর্মীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবিতে আমরা আবার আন্দোলনে নেমেছি। অনতিবিলম্বে মৃত ভোটকর্মী রাজকুমার রায়ের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ না দিলে বৃহত্তর আন্দোলনে নামার হুমকি দিয়েছেন জেলার স্কুল শিক্ষকেরা। তাঁদের হুশিয়ারি ” এক মাঘে শীত যায়না, পরের বছর আবার ভোট “।