October 27, 2024

তৃণমূল কংগ্রেস পরিচালিত পৌরবোর্ড কতৃক কালিয়াগঞ্জে পৌর উন্নয়নের পাশে তৃণমূল কংগ্রেসের সাংগঠনিক উন্নয়নের ইতিকথা।

1 min read

তৃণমূল কংগ্রেস পরিচালিত পৌরবোর্ড কতৃক কালিয়াগঞ্জে পৌর উন্নয়নের পাশে তৃণমূল কংগ্রেসের সাংগঠনিক উন্নয়নের ইতিকথা।

জয়ন্ত বোস, কালিয়াগঞ্জ।উত্তর দিনাজপুর জেলার কালিয়াগঞ্জ বিধানসভার অন্তর্গত কালিয়াগঞ্জ নামক জায়গা টির কিছু অংশ ১৯৮৭ সালে কালিয়াগঞ্জ পৌর শহরের অন্তর্ভুক্ত হয়। এই পৌর শহরের সীমানা উত্তরে ভান্ডার গ্রাম পঞ্চায়েত, দক্ষিণে তরঙ্গপুর গ্রাম, পূর্বে ধনকৈল গ্রাম এবং পশ্চিমে মহাদেবপুর ও বাঘন গ্রাম।

কালিয়াগঞ্জ পৌর এলাকাটি ১১.৬৭ বর্গ কিলোমিটার জুড়ে অবস্থিত। এটি ব্রিটিশ আমলের গঞ্জ ছিল তবে ১৯৮৭ সালে পৌর এলাকার তকমায় কালিয়াগঞ্জ শহরের পথচলা শুরু। ২০বছর ধরে কালিয়াগঞ্জ পৌর বোর্ড কংগ্রেস পরিচালিত পৌর বোর্ড থাকায় তদানীন্তন বামফ্রন্ট সরকারের আমলে এবং ২০ বছরের মধ্যে ৪ বছর মা মাটি মানুষের সরকারের আমলে সেভাবে কালিয়াগঞ্জ পৌর এলাকার উন্নয়ন হতে পারে নি অর্থাৎ তদানীন্তন কংগ্রেস পরিচালিত পৌর বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রয়াত অরুন দে সরকারের নেতৃত্বে কালিয়াগঞ্জ পৌর এলাকার সার্বিক উন্নয়ন স্তব্ধ হয়ে ছিল। গত ২০১৫ সালে কালিয়াগঞ্জ পৌর নির্বাচনে অরুন দে সরকারের নেতৃত্বে কালিয়াগঞ্জ পৌর বোর্ড কংগ্রেস পরিচালিত পৌর বোর্ড গঠন হয়েছিল ১৭ টি ওয়ার্ডের মধ্যে ১৬ টি ওয়ার্ডে জয়ী হয়ে।

এই ১৬ টি ওয়ার্ডের মধ্যে ৮ নং ওয়ার্ডের কংগ্রেস কাউন্সিলর হয়ে নির্বাচনে জয়ী হয়ে আসেন কার্তিক চন্দ্র পাল যিনি প্রয়াত ২০ বছরের কালিয়াগঞ্জ পৌর পতি অরুন দে সরকারের সম্পর্কে জামাই ছিলেন। কিন্তু রাজনৈতিক কালের ধারায় ২০১৬ সালে কালিয়াগঞ্জ পৌরসভায় এক পট পরিবর্তন ঘটে যায়। সেই সময়ে কাউন্সিলর তথা উপ পৌরপতি কার্তিক চন্দ্র পালের নেতৃত্বে ১২-১৩ জন কাউন্সিলর রাজনৈতিক প্লাটফর্ম পরিবর্তন করে তৃণমূল কংগ্রেস দলে চলে আসেন এবং কার্তিক চন্দ্র পাল নতুন করে কালিয়াগঞ্জ পৌরসভার তৃণমূল কংগ্রেস পরিচালিত পৌর বোর্ড গঠন করেন এবং তিনি নতুন করে পৌরপতির চেয়ারে আসন গ্রহন করেন। দীর্ঘদিনের পৌরপতি অরুণ দে সরকার পরবর্তীতে প্রয়াত হন বিভিন্ন ধরনের অসুখে আক্রান্ত হয়ে এবং পারিবারিক সুত্রে জানা যায় এক মানসিক যন্ত্রনা নিয়েই তার প্রয়াত হওয়া। শুরু হয় কালিয়াগঞ্জ পৌরসভার নতুন অধ্যায়। কালিয়াগঞ্জ পৌর সভার নতুন তরুন তুর্কী পৌরপতি কার্তিক চন্দ্র পাল নতুন উদ্দ্যমে শুরু করেন কালিয়াগঞ্জ পৌর এলাকার উন্নয়নের রুপরেখা এবং এই রুপরেখার চিত্রপটে কালিয়াগঞ্জ এলাকার তৃণমূল কংগ্রেসের অনেক নেতার সহযোগিতায় ও পশ্চিমবঙ্গ সরকারের বিভিন্ন দপ্তরের মন্ত্রনালয়ের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় শুরু হয় কালিয়াগঞ্জ পৌর এলাকার বিভিন্ন ধরনের সার্বিক উন্নয়নের কাজ। নতুন পথে নতুন ভাবে কালিয়াগঞ্জ পৌর এলাকার উন্নয়নের সার্বিক চিত্র ফুটতে শুরু করে সকলের সহযোগিতায় এবং এই সহযোগিতায় হাত বাড়িয়ে দেয় কালিয়াগঞ্জ পৌর এলাকার পৌর বাসিন্দারা। বিগত চার বছর ধরে কালিয়াগঞ্জে তৃণমূল কংগ্রেসের বিভিন্ন মিটিং মিছিলে ও সাংগঠনিক আলোচনায় সকল নেতৃত্বের ভাষনে প্রথম আওয়াজ টাই উঠে এসেছে কালিয়াগঞ্জের উন্নয়নের কথা তার সাথে কার্তিক চন্দ্র পালের নেতৃত্বে পৌর বোর্ডের প্রশংসার কথা। এই বিগত চার বছরের মধ্যে পটপরিবর্তন ঘটে কালিয়াগঞ্জ শহর তৃণমূল কংগ্রেসের সাংগঠনিক ক্রিয়াকলাপ। তিন বছর আগে কালিয়াগঞ্জ শহর তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি ছিলেন জয়ন্ত সাহা। সেই সময়ে উঃ দিনাজপুর জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি ছিলেন অমল আচার্য এবং জেলার পর্যবেক্ষক ছিলেন মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী। জয়ন্ত সাহা সভাপতি হন কালিয়াগঞ্জ পৌর সভার কংগ্রেস পরিচালিত পৌর বোর্ডের প্রাক্তন উপ পৌরপতি যিনি পরবর্তী কালে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করেছিলেন সেই কমল কুমার ঘোষের জায়গায়। কিন্তু রাজনৈতিক দাবার চালে জয়ন্ত সাহার জায়গায় কালিয়াগঞ্জ শহর ও ব্লকের তথাকথিত নেতৃবৃন্দের সহযোগিতায় কালিয়াগঞ্জ শহর তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতির পদে আসন গ্রহন করেন কার্তিক চন্দ্র পাল। সেইদিন কালিয়াগঞ্জ শহর তৃণমূল কংগ্রেসের পার্টি অফিসে কালিয়াগঞ্জ পৌর সভার তরুন তুর্কী পৌরপতি কার্তিক চন্দ্র পাল কে শহর তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি হিসেবে পেয়ে আনন্দে উদ্বেলিত হয়ে পরতে দেখা যায় তামাম তৃণমূল কংগ্রেসের নেতৃত্ব দের। পুষ্পস্তবক, ফুলের মালা নিয়ে কে কার আগে শহর তৃণমূল কংগ্রেসের নতুন সভাপতি কার্তিক চন্দ্র পাল কে বরণ করবেন সেই কম্পিটিশন। শুরু হয় পৌরপতি কার্তিক চন্দ্র পালের ২য় ইনিংস। একাধারে পৌরপতি হয়ে পৌর উন্নয়নের রুপরেখা তৈরী করা অন্যদিকে কালিয়াগঞ্জ শহর তৃণমূল কংগ্রেসের সাংগঠনিক রুপরেখা তৈরী করার কাজ। চলতে থাকে কার্তিক চন্দ্র পালের ডুয়েট অ্যাকশন। কিন্তু ঐ যে রাজনৈতিক দাবার চালে রাজাকে কিস্তি দিয়ে ফেললেন কালিয়াগঞ্জের ঐ তথাকথিত তৃণমূল কংগ্রেসের নেতৃত্বরা। একের পর এক কিস্তির চালে কার্তিক চন্দ্র পাল পারলেন না চেক সামলাতে, আর পারলেন না বলেই গত ২৬ সেপ্টেম্বর কালিয়াগঞ্জ শহর তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতির চেয়ার থেকে ছিটকে গেলেন কার্তিক চন্দ্র পাল। নতুন সভাপতি হলেন কমল কুমার ঘোষ যিনি কালিয়াগঞ্জ পৌর এলাকার ৮ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা তথা প্রাক্তন উপ পৌরপতি তথা প্রাক্তন শহর তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি তথা বিগত ২০১৫ পৌর নির্বাচনে কার্তিক চন্দ্র পালের বিরুদ্ধে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী। কি এমন পরিস্থিতি তৈরি হলো যে স্থানীয় নেতৃবৃন্দ, বিধায়ক, জেলা নেতৃবৃন্দ এবং রাজ্য নেতৃত্ব সাংগঠনিক ক্ষেত্রে কার্তিক চন্দ্র পালের উপর আর ভরসা রাখতে পারলেন না। এই প্রতিবেদনের প্রতিবেদক একটু সুলুক সন্ধানে গিয়ে জনগন এবং তৃণমূল কংগ্রেসের নেতৃত্ব ও কর্মীদের দ্বারা পোস্টমর্টেম রিপোর্ট নিয়ে প্রতিবেদন আকারে প্রকাশ করলেন। কালিয়াগঞ্জ পৌর শহরের উন্নয়নের খাতে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর বিভিন্ন মন্ত্রণালয় থেকে প্রচুর টাকা দিয়েছেন এবং একের পর এক উন্নয়ন শুরু হয়েছে। এত উন্নয়নের মাঝে নতুন করে কালিয়াগঞ্জ বিধানসভার উপনির্বাচনে যদি তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী কে জিতিয়ে আনা যায় তাহলে কালিয়াগঞ্জ শহর ও ব্লক স্তরে পশ্চিমবঙ্গের মা মাটি মানুষের সরকার উন্নয়নের জন্য আরো আর্থিক প্যাকেজ ঘোষণা করবে এই আশায় এলাকার মানুষ দুইহাত তুলে আশীর্বাদ করেছিল তপন দেব সিংহ কে এবং কালিয়াগঞ্জে প্রথম তৃণমূল কংগ্রেসের বিধায়ক হন তপন দেব সিংহ। কিন্তু বিগত পঞ্চায়েত নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমা করা নিয়ে বিরোধীদের যেভাবে হেনস্থা করা হয়েছিল সেই দৃশ্য কালিয়াগঞ্জ শহরের মানুষ লক্ষ্য করেছিলেন। এই পোস্ট মর্টেম রিপোর্ট বলছে সেই দিনটায় বিভিন্ন বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর মনোনয়নপত্র জমা করা ঘটনায় তৃণমূল কংগ্রেসের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন কালিয়াগঞ্জ শহর তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি কার্তিক চন্দ্র পাল। কালিয়াগঞ্জ শহরের মানুষ চিরকাল শান্তিপ্রিয়। এই ধরনের রাজনৈতিক কার্যকলাপ কালিয়াগঞ্জ নামক শহরের কৃষ্টি কালচারে ছিল না। কিন্তু এই দৃষ্টিভঙ্গিতে প্রশ্ন থেকেই যায় কালিয়াগঞ্জ শহর ও ব্লকের তৃণমূল কংগ্রেসের নেতৃত্ব কি একজন ছিলেন যিনি কার্তিক চন্দ্র পাল ? বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো কে মনোনয়নপত্র জমা না দেওয়ার যে রাজনৈতিক কৌশল ও পরিকল্পনা গৃহিত হয়েছিল সেখানে তৃণমূল কংগ্রেসের অন্যান্য তাবড় তাবড় নেতৃত্বের সায় ছিল না কি? বুথ স্তর থেকে সাংগঠনিক শক্তি মিটিং মিছিল ছাড়া মনঃপুত লোকেদের বুথ ও ওয়ার্ডের সভাপতি করে দেওয়াতে নাকি বুথ লেভেল থেকে সংগঠনের ক্ষতির বড় কারণ। পোস্ট মর্টেম রিপোর্ট বলছে কার্তিক চন্দ্র পাল তরুণ তুর্কি হয়ে যে উদ্দ্যমে কাজ করার ক্ষমতা রাখেন তা যেমন প্রশংসনীয় ঠিক তেমনি তার রুঢ় ব্যবহার, মানুষ কে হেয় মনে করা, মানুষের কথা কে পাত্তা না দেওয়া অর্থাৎ তিনি নিজেই যেটা বোঝেন আর অন্য কেউ সেটা বোঝেন না, সকল স্তরের মানুষ কে প্রকৃত অর্থে সম্মান না করা ইত্যাদি এই আচরন গুলো নাকি পরবর্তীতে দলীয় নেতৃত্বদের আঘাত হানতে শুরু করেছিল এবং এতে নাকি তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতি মানুষের বিরুপ প্রতিক্রিয়া তৈরী হতে শুরু করেছিল। ১৭ টি ওয়ার্ডের বিভিন্ন মানুষের এই ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র মানসিক আঘাতগুলি এমনকি স্থানীয় তৃণমূল কংগ্রেসের নেতৃত্বদের কাছে এই আঘাতগুলো গুরুতর ভাবে বিশাল আকার ধারন করে। এক সের দুধে এক ফোঁটা চোনাই যথেষ্ঠ তবে এখানে অনেক সের সের দুধের মধ্যে এক নয় কয়েক ফোঁটা চোনা পরে যাওয়াতেই এই শহর তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতির পদ থেকে ছিটকে যাওয়াই নাকি এই কারণগুলো। তবে বিদায়ী কালিয়াগঞ্জ শহর তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি কার্তিক চন্দ্র পালের বিরুদ্ধে এই সকল অভিযোগ গুলো আদৌ তার আক্ষরিক যথার্থতা আছে কিনা এই নিয়েও সন্দেহ প্রকাশ করেছেন কালিয়াগঞ্জ শহর তৃণমূল কংগ্রেসের অনেক কর্মীরা। তারা এটাও বলছেন ২০১৯ সালে লোকসভা নির্বাচনের সময় কালিয়াগঞ্জ শহর ও ব্লক স্তরে তৃণমূল কংগ্রেসের ভোটব্যাঙ্কে বিশাল ধস নেমেছিল এবং এর জন্য নাকি সাংগঠনিক দূর্বলতাই দায়ী। যদি এই দূর্বলতার জন্য তৎকালীন কালিয়াগঞ্জ ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি দধিমোহন দেবশর্মা কে সভাপতির চেয়ার থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল তাহলে সেই সময় শহর তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি কার্তিক চন্দ্র পাল কে রেখে দেওয়া হয়েছিল কেন, তার যথার্থ উত্তর কোথায়। আবার কার্তিক চন্দ্র পালের সভাপতিত্বে বিগত বিধানসভার উপ নির্বাচনে কালিয়াগঞ্জ শহর থেকে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী তপন দেব সিংহ বিরোধী রাজনৈতিক দলের প্রার্থীর চেয়ে অনেক বেশি ভোট পেয়েছিলেন। তাদের পোস্ট মর্টেম রিপোর্ট বলছে কার্তিক চন্দ্র পালের বাহ্যিক রুপ যতটাই শক্ত তার আভ্যন্তরীণ ততটাই নরম। তা না হলে বিভিন্ন ওয়ার্ডের গরীব মানুষদের তাদের অভাব অভিযোগের পাশে যেভাবে তাকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেখা গেছে তা এককথায় অসাধারণ। বাহিরে একদিকে কালিয়াগঞ্জ পৌর এলাকার উন্নয়নের রুপরেখা সেখানে সাংগঠনিক উন্নয়নের রুপরেখা আদৌ কি তৈরী হয়েছিল নাকি হয় নি, নাকি অন্য কোনো আভ্যন্তরীণ কারনে কালিয়াগঞ্জ শহর তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি পদ থেকে ছিটকে যেতে হলো এই বিষয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের লোকাল, জেলা ও রাজ্য নেতৃত্বরা সঠিক বিশ্লেষণ করে বলতে পারবেন কারণ এটাতো পার্টির আভ্যন্তরীণ সাংগঠনিক ক্রিয়াকলাপ তবে কালিয়াগঞ্জ শহর ও ব্লকের বিভিন্ন স্তরের মানুষের মধ্যে গুঞ্জনের আওয়াজ এটাতো লবির ধাক্কা। কার্তিক চন্দ্র পাল নাকি লবির চালে কুপোকাত হয়েছেন। কেন এই লবি, কিসের স্বার্থে এই লবি এই নিয়েও হাজারো প্রশ্ন উঠে এসেছে। এই প্রশ্নের উত্তর উঠে এসেছে পৌরপতি হিসেবে কার্তিক চন্দ্র পালের নেতৃত্বে কালিয়াগঞ্জ পৌর এলাকার যে উন্নয়ন এবং এই উন্নয়নের কারীগর হিসেবে কার্তিক চন্দ্র পালের ক্যারিশমা প্রতি ইর্ষান্বিত হয়েই কার্তিক চন্দ্র পালের বিরুদ্ধে এই দাবার চাল কালিয়াগঞ্জের তথাকথিত তৃণমূল কংগ্রেসের নেতৃত্বদের। অনেকেই বলাবলি করছেন একই থালে একটা সময়ে দাদাভাইয়ের সম্পর্কে কার্তিক চন্দ্র পালের সাথে কালিয়াগঞ্জের তৃণমূল কংগ্রেসের তথাকথিত নেতৃবৃন্দরা খাবার খেতেন হঠাৎ কি হলো সেই থালা কার্তিক চন্দ্র পালের কাছ থেকে সরিয়ে নেওয়া হলো। তবে কালিয়াগঞ্জ পৌর এলাকার ৮ নং ওয়ার্ড ইতিমধ্যেই হটলাইনে। প্রাক্তন কালিয়াগঞ্জ শহর তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি কার্তিক চন্দ্র পাল এবং বর্তমান নবনিযুক্ত কালিয়াগঞ্জ শহর তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি কমল কুমার ঘোষ দুইজনেই ৮ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা। কার্তিক চন্দ্র পাল প্রাক্তন পৌরপতি তথা বর্তমান পৌর প্রশাসক হয়ে যেমন পৌর নাগরিক দের পৌর পরিষেবায় মগ্ন থাকবেন ঠিক তদ্রুপ ঐ একই ওয়ার্ডের বাসিন্দা বর্তমান কালিয়াগঞ্জ শহর তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি কমল কুমার ঘোষের সাংগঠনিক শ্রীবৃদ্ধির এই দুই যুগলবন্দীর পারফরমেন্স আগামী দিনে কালিয়াগঞ্জ পৌর শহরের তৃণমূল কংগ্রেসের ১৭ টি ওয়ার্ডে কেমন শক্তিশালী হয়ে উঠতে পারে সেটাই দেখবার বিষয়। ২০২১ বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেসের ভোটব্যাঙ্ক সেই উত্তর দিবে বলে অনেকে মনে করছেন। আর এই উত্তরের উপর নির্ভর করবে আগামী দিনে কালিয়াগঞ্জ পৌরসভার নির্বাচনে কে কোথায় দাঁড়িয়ে থাকবে ও নির্বাচনের ফলাফল।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *