টানা বর্ষণের ফলে জলমগ্ন কালিয়াগঞ্জ এর বিভিন্ন ওয়ার্ড। জমা জল সরাতে প্রশাষক কার্তিক চন্দ্র পাল প্রাক্তন কমিশনার অমিত দেব গুপ্ত কে সাথে নিয়ে তৎপরতা দেখাচ্ছেন যুদ্ধকালীন ভিত্তিতে।
1 min readটানা বর্ষণের ফলে জলমগ্ন কালিয়াগঞ্জ এর বিভিন্ন ওয়ার্ড। জমা জল সরাতে প্রশাষক কার্তিক চন্দ্র পাল প্রাক্তন কমিশনার অমিত দেব গুপ্ত কে সাথে নিয়ে তৎপরতা দেখাচ্ছেন যুদ্ধকালীন ভিত্তিতে
তনময় চক্রবর্তী প্রকৃতির কাছে আজ ও মানুষ অসহায়। আর তাই আচমকা বিপদ মানুষের সাময়িক ছন্দপতন ঘটে কখনো কখনো । এমনটাই ঘটে গেল আজ। সকালের দিকে ঘন কালো আকাশে যখন বৃষ্টি শুরু হল তখন তার তৎপরতা ছিল প্রচন্ড গতিতে। একটানা প্রায় এক ঘণ্টার বৃষ্টি যেন তছনছ করে দিল কালিয়াগঞ্জ শহরের কয়েকটি ওয়ার্ড কে। শহরের বহু জায়গায় যেমন এক হাঁটু জল জমে গেছে তেমনি বহু বাড়িতেও জল জমে গিয়েছে।
এমন অবস্থায় দাঁড়িয়ে কালিয়াগঞ্জ পৌরসভার পৌর প্রশাষক কার্তিক চন্দ্র পাল তাঁর সহযোদ্ধা সাত নম্বর ওয়ার্ডের প্রাক্তন কমিশনার অমিত দেব গুপ্ত সহ পৌরসভার বিভিন্ন বিভাগের কর্মীদের সাথে নিয়ে আজ রাস্তায় নেমে পরলেন মানুষের পাশে দাঁড়াতে । যেখানে জল জমে গিয়েছে শহরে সেখানেই তাদের দেখা পাওয়া গেল।
আর তৎক্ষণাৎ পৌরসভার সাফাই কর্মীদের মারফত জমা জল সরানোর প্রক্রিয়া শুরুর নির্দেশ দিলেন । এমন ভাবেই দেখা গেল কালিয়াগঞ্জ শহরের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের প্রাক্তন কমিশনার অমিত দেব গুপ্ত কে সাথে নিয়ে সাত নম্বর ওয়ার্ডের যে সমস্ত জায়গায় জল জমে গিয়েছে সেই জল সরানোর প্রক্রিয়া শুরু করতে ।
শুধু তাই নয় জমা জল কে সরাতে পৌরসভার পৌর প্রশাসক ব্যবহার করলেন পৌরসভার জেসিবি কে। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় রাস্তা কেটে সেখানে হিম পাইপ বসিয়ে অভিনব কায়দায় ৭ ও ৮ নম্বর ওয়ার্ডের যে সমস্ত জায়গায় জল জমে গিয়েছে সেই জমা জল কে বের করার জন্য।
এই কাজে অবশ্যই তারিফ করার মতন কালিয়াগঞ্জ পৌরসভার সাফাই কর্মীদের তৎপরতায়।তাদের নিরলস প্রচেষ্টায় আজ অসম্ভব কাজ সম্ভব হয়ে উঠল। ধীরে ধীরে সাত নম্বর ওয়ার্ড ও আট নম্বর ওয়ার্ডের জমা জল গুপ্তপাড়া মোড় দিয়ে যেতে লাগল শ্রীমতি নদীতে।
এদিকে ৭ নম্বর ওয়ার্ড এর পাশাপাশি ৯ নম্বর ওয়ার্ডে গিয়েও দেখা যায় যে জায়গা গুলোতে প্রচুর জল জমে গিয়েছে সেখান থেকে সেই জমা জল বের করার জন্য যুদ্ধকালীন তৎপরতায় কাজ করতে।সেখানেও দেখা গেল পৌরসভার সাফাই কর্মীদের তৎপরতা চোখে পড়ার মতো ।
জমা জল গুলোকে সরানোর প্রক্রিয়ায়। অবশ্য সেখানে প্রচন্ড জলকে উপেক্ষা করে স্বয়ং প্রশাসক এক হাটু জলে দাঁড়িয়ে সেই কাজ গুলি কেমন ভাবে করতে হবে তার নির্দেশ দিলেন সেখানে দাঁড়িয়ে ই। পৌর প্রশাসক এর উদ্যোগে খুশি জলবন্দি এলাকার মানুষরা।
তাদের বক্তব্য আজ এতটাই বৃষ্টি হয়েছে শহরে যে এই জল আটকানোর ক্ষমতা কারো নেই। তাই বৃষ্টি থামার পর যে উদ্যোগ পৌরসভার নিয়েছে তা প্রশংসার যোগ্য। কালিয়াগঞ্জ পৌরসভা র প্রশাষক কার্তিক চন্দ্র পাল বলেন, আজ প্রকৃতির কাছে আমরা হেরে গিয়েছি। মানুষ খুব বিপদের রয়েছে।
এই মুহূর্তে তাদের পাশে থাকাই আমাদের কর্তব্য। তিনি বলেন শহরের কমবেশি প্রত্যেকটি ওয়ার্ড এই জল জমে গিয়েছে তবুও তার মধ্যে কিছু ওয়ার্ড বেশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
তিনি বলেন আট নম্বর ওয়ার্ড ও সাত নম্বর ওয়ার্ডের বেশকিছু মানুষ জলবন্দি হয়ে আছেন তাই গুপ্তপাড়া মরে রাস্তা কেটে সেই জল গুলোকে শ্রীমতি নদীতে ফেলানোর একটা চেষ্টা চলছে।
তিনি বলেন১৫ ,১৬, ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের কিছু মানুষ ত্রাণ শিবিরে আশ্রয় নিয়েছে । পাশাপাশি আট নম্বর ওয়ার্ডের কিছু মানুষকে ত্রাণশিবিরে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
প্রাক্তন কমিশনার অমিত দেবগুপ্ত কে সাথে নিয়ে সাত নম্বর ওয়ার্ডের যে সমস্ত জায়গায় জল জমে গিয়েছে সেই জল সরানোর প্রক্রিয়া আজ এই ভাবেই করলেন তারা অন্যদিকে কালিয়াগঞ্জ পৌরসভা সাত নম্বর ওয়ার্ডের কমিশনার অমিত দেব গুপ্ত জানান , আজ সকালে ভারী বর্ষণের ফলে সাত নম্বর ওয়ার্ডের পালপাড়ার বাসিন্দাদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
এই দুর্ভোগ মোকাবেলায় তিনি প্রশাসক কার্তিক চন্দ্র পালের সহযোগিতা নিয়ে জমা জল কে কিভাবে সরিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করা যায় তার প্রচেষ্টা নিয়েছেন যুদ্ধকালীন তৎপরতায়।
তিনি বলেন ওয়ার্ডের পালপাড়া ও তুরি পাড়া,খাল পাড়ার জমা জল গুলো যাতে শ্রীমতি নদীতে যেতে পারে তার জন্য গুপ্তপাড়া মোরে রাস্তা কেটে জল বের করার প্রচেষ্টা নেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন যেভাবে বৃষ্টি হচ্ছে তার চিন্তার বাইরে।