October 25, 2024

মৌসম ভবন জানাল বর্ষা এখনও থাকছে , চলবে দাপট নিয়েই

1 min read

মৌসম ভবন জানাল বর্ষা এখনও থাকছে , চলবে দাপট নিয়েই

৩০ সেপ্টেম্বর ভারত থেকে আনুষ্ঠানিক বিদায় নেওয়ার কথা ছিল বর্ষার। কিন্তু তা এখনই হচ্ছে না। এমনটাই জানাচ্ছে কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দফতর। সৌজন্যে উত্তর-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে নতুন করে নিম্নচাপ অক্ষরেখা। নয়া সৃষ্ট নিম্নচাপ অক্ষরেখার জেরেই পূর্ব ও উত্তর-পূর্ব ভারত থেকে আপাতত পাততাড়ি গোটাচ্ছে না বর্ষা। মৌসম ভবন সূত্রে এমনটাই খবর মিলছে। জাতীয় আবহাওয়া দফতর।

গত এপ্রিল মাসের পূর্বাভাসে উত্তর-পশ্চিম ভারত থেকে ১৭ সেপ্টেম্বর এবং সমগ্র দেশ থেকে ১৫ অক্টোবর বর্ষা বিদায় নেওয়ার পূর্বাভাস করেছিল কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দফতর। গত বছর পর্যন্ত এই দুই দিন নির্দিষ্ট ছিল ১ সেপ্টেম্বর এবং ১৫ অক্টোবর। ১৯৬১ থেকে ২০১৯ সালের আবহাওয়া সংক্রান্ত নথি বিচার করে এই দিনগুলি ঘোষণা করা হয়। তবে গতবছরও আনুষ্ঠানিক ঘোষণায় ১ সেপ্টেম্বর বলা হলেও আদতে উত্তর-পশ্চিম ভারত থেকে ৯ অক্টোবর বিদায় নিতে শুরু করে বর্ষা। এক সপ্তাহ পরে ১৭ অক্টোবর শেষ হয় সেই প্রক্রিয়া।হাওয়া অফিস আগেই জানিয়েছিল বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হওয়া নিম্নচাপ রেখা আরও পশ্চিম ও উত্তর-পশ্চিম অভিমুখে সরে যাবে। এর জেরে গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ, ওডিশার উপকূলবর্তী অঞ্চল, ঝাড়খণ্ড এবং বিহারের একাংশে ভারী বৃষ্টির আশঙ্কা থাকবে। ঠিক সেটাই হয়েছে বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত উত্তর ২৪ পরগণার বাগাতিতে ১২.০ মিলিমিটার, ব্যরাকপুরে ১৭.৪ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে, ক্যানিংয়ে ২৬.৬ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে, কাঁথিতে ১৫.০ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে, দিঘায় ০.৮ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে, ডায়মন্ড হারবারে ৩৬.৪ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে, হলদিয়ায় ৬৪.২ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে।বঙ্গোপসাগর থেকে জোরালো জলকণাপূর্ণ বাতাস ভেসে আসায় সেপ্টেম্বরের ২১ থেকে ২৩ তারিখ পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গে হিমালয়ের পাদদেশ এবং উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলির বিস্তীর্ণ অঞ্চলজুড়ে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা ছিল। এই পূর্বাভাসও মিলেছে। দেখা গিয়েছে ভারী বৃষ্টি হচ্ছে উত্তরবঙ্গে। বৃহস্পতিবার রেকর্ড অনুযায়ী দেখা যাচ্ছে কোচবিহারে ১১৬.৬ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। দার্জিলিঙে ৩২.০ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। জলপাইগুড়িতে ১৩৬.৬ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। শিলিগুড়িতে ৬০.৬ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। কালিম্পঙে ৩৭.০ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। শুধুমাত্র মালদহে বৃষ্টি হয়নি। এমন ভারী বৃষ্টি চলবে শনিবার পর্যন্ত। এর জেরে উত্তরবঙ্গের পার্বত্য এলাকায় ধস ও নিচু এলাকা প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। বুধবারের রেকর্ড কোচবিহারে ৯০.৩ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়। দার্জিলিঙে ১০৪.২ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়। জলপাইগুড়িতে ১৮০.২ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়। মালদহে ৫৫.০ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়। শিলিগুড়িতে ১৭৮.০ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়। কালিম্পঙে ৪৯.০ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়। এ ছাড়া বৃষ্টির সম্ভাবনা ছিল অন্ধ্রপ্রদেশ, ইয়ানাম, রায়লসীমা ও তেলেঙ্গানার অংশ বিশেষে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *