October 27, 2024

উচ্চমাধ্যমিক হতে পারে জুনে, আগামী বছর ফেব্রুয়ারিতে মাধ্যমিক

1 min read

উচ্চমাধ্যমিক হতে পারে জুনে, আগামী বছর ফেব্রুয়ারিতে মাধ্যমিক

করোনার আবহে পিছিয়ে যাচ্ছে আগামী বছরের উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা। মার্চের বদলে উচ্চমাধ্যমিক হতে পারে জুনে। তবে ফেব্রুয়ারিতেই মাধ্যমিক পরীক্ষা হলে সিলেবাসে কাটছাঁট করা হতে পারে। যদিও শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। সিলেবাসে কাটছাঁটের ব্যাপারে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আগে রিপোর্ট জমা পড়ুক।করোনা পরিস্থিতিতে প্রায় ৬ মাস স্কুল বন্ধ। রাজ্যে কবে স্কুল খুলবে তার নিশ্চয়তা নেই। তাই আগামী বছরের পরীক্ষা নিয়ে সরকারি স্তরে শুরু হয়েছে আলোচনা। ২০২১ সালে যারা মাধ্যমিক দেবে,তাদের কয়েক মাস ক্লাস হয়েছে।

কিন্তু আগামী বছর যারা উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থী দেবে তাদের একদিনও ক্লাস হয়নি।সাধারণত প্রতিবছর মাধ্যমিক শুরু হয় ফেব্রুয়ারি মাসে। আর উচ্চমাধ্যমিক শুরু হয় মার্চ থেকে। আগামী বছর মাধ্যমিক যদি একই সময় করা হয়,সেক্ষেত্রে ৩০-৪০ শতাংশ সিলেবাস কাটছাঁট করা হতে পারে। সূত্রের খবর,অক্টোবরের শুরুতেই সিলেবাস কমিটির এই সংক্রান্ত সুপারিশ জমা পড়তে পারে সরকারের কাছে।এদিকে পয়লা সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হয়েছে আনলক ৪.০ পর্যায়। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের পক্ষ থেকে বিশেষ গাইড লাইন ঘোষণা করা হয়েছে নতুন করে। সেখানে বলা হয়েছে সেপ্টেম্বর মাস জুড়েও বন্ধ থাকবে স্কুল ও কলেজ।স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক জানিয়েছিল করোনা পরিস্থিতি এখনও স্বাভাবিক নয়। এখনই পড়ুয়াদের স্কুল, কলেজ বা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাঠাতে চাইছেন না অভিভাবকরা। সেই কথা মাথায় রেখেই এই সিদ্ধান্ত বলে জানা গিয়েছিল।৩০শে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় বা অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা হবে না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। এই পর্যায়ে খোলা যাবে না কোনও কোচিং সেন্টারও। তবে কোনও স্কুল বা কলেজ বা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ৫০ শতাংশ কর্মী ও শিক্ষক শিক্ষিকাদের নিয়ে কাজ করতে পারে। তবে অনলাইন ক্লাস বা টেলি কাউন্সেলিং যেমন চলছিল, তেমনই চলবে।কনটেনমেন্ট জোনের বাইরের এলাকায় নবম শ্রেণী থেকে দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত পড়ুয়ারা প্রয়োজনের ভিত্তিতে তাদে স্কুলে যেতে পারবে। তবে এজন্য স্কুলের অনুমতি ও শিক্ষক শিক্ষিকাদের তত্ত্বাবধানে থাকতে হবে তাদের। এজন্য থাকতে হবে ওই পড়ুয়ার বাবা-মা বা অভিভাবকের সম্মতিপত্র।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *