কালিয়াগঞ্জ শহরের উত্তর চিড়াইলপারা জলের তলে, পৌরসভার আশ্রয় শিবিরে ৩৫ টি পরিবার , জলমগ্ন এলাকা পরিদর্শন করলেন প্রশাসক কার্তিক চন্দ্র পাল।
1 min readকালিয়াগঞ্জ শহরের উত্তর চিড়াইল পারা জলের তলে, পৌরসভার আশ্রয় শিবিরে ৩৫ টি পরিবার , জলমগ্ন এলাকা পরিদর্শন করলেন প্রশাসক কার্তিক চন্দ্র পাল।
তনময় চক্রবর্তী টানা কয়েক দিনের বৃষ্টির ফলে নাজেহাল কালিয়াগঞ্জে বাসিন্দারা। তবে শহরের কোন জায়গায় তেমন জল না জমলেও পৌরসভার ১৬ নং নম্বর ওয়ার্ডের উত্তর চিড়াইল পারা বাসিন্দাদের কিন্তু ত্রাহি ত্রাহি রব।
কারণ এখানে এতটাই পরিমাণে জল জমেছে যে সেখানকার পঁয়ত্রিশটি পরিবারকে আশ্রয় নিতে হয়েছে পৌরসভার ত্রাণ শিবিরে। আজ সেই জলমগ্ন এলাকা পরিদর্শন করলেন কালিয়াগঞ্জ পৌরসভার প্রশাসক কার্তিক চন্দ্র পাল।
তিনি এক হাঁটু জল কে উপেক্ষা করে চলে গিয়েছিলেন যে সমস্ত বাড়ি জলের তলায় আছে তা দেখতে। শুধু তাই নয় সেখানকার বাসিন্দাদের সাথে কথা বলে তাদের সমস্যা দ্রুত সমাধান করার প্রতিশ্রুতি ও দেন। যদিওবা এই উত্তর চিড়াইল পারার যে সমস্ত এলাকা গুলি জলমগ্ন হয়ে পড়েছে সে সমস্ত এলাকা গুলি বরাবরই একটু বৃষ্টিতেই জল জমে যায় কারণ সে সমস্ত এলাকা গুলি নিচু এলাকা ।
প্রশাসকে দেখা যায় এদিন একদিকে যেমন জমা জল কে উপেক্ষা করে সে সমস্ত এলাকা পরিদর্শন করতে পাশাপাশি তাকে দেখা যায় আবার আশ্রয়শিবিরে যারা বসবাস করছে তাদের ওখানে গিয়ে ও তাদের সাথে কথা বলতে ,তাদের যাতে কোনো সমস্যা না হয় সে ব্যাপারে ও । পৌরসভার কর্মীদেরকে তিনি নিয়ে যান সাথে করে।
তিনি সেখানেই তাদের বলেন আপনাদের যেমন নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হবে তেমনি আপনাদের কোন ত্রাণের অসুবিধা হবে না। ফলে খুশি আশ্রয় শিবিরে অংশ নেওয়া জলমগ্ন এলাকার বাসিন্দারা। এরপর এক সাক্ষাৎকারে পৌর প্রশাসক কার্তিক চন্দ্র পাল বলেন, পুজোর আগেই যাতে এখান থেকে জল সরিয়ে ফেলার ব্যবস্থা করা যায় তার জন্য পৌরসভা তৎপরতার সাথে কাজ করবে। তিনি বলেন উত্তর চিড়াইল পারার এই জায়গায় একটু বৃষ্টি হলেই জল জমে যায়। এবারে এই প্রথম পরপর দুইবার জল জমে গেল এখানে।
এর আগেও জল জমে গিয়েছিল তারপরে জল যখন নেমে যায় তখন সবাই আবার বাড়ি ফিরে গিয়েছিল। কিন্তু পুনরায় সেই সমস্যা আবার। গত পাঁচ দিন ধরে একনাগাড়ে বৃষ্টি হওয়ার ফলে এই সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। এখানকার মানুষদের পৌরসভার তরফ থেকে ত্রাণশিবিরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তিনি বলেন যাতে পুজোর আগেই এই জল নেমে যায় তার জন্য তারা যুদ্ধকালীন তৎপরতায় কাজ করবে। প্রয়োজনে তারা সেচ দপ্তরের সাথে কথা বলে কিভাবে এখানকার জমা জল কে নামানো যায় তার জন্য তারা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে। তিনি আরো বলেন কালিয়াগঞ্জ শহরে এখন আর তেমনভাবে কোথাও জল জমে না। মূলত যেটা হয় একনাগাড়ে বৃষ্টির ফলে জল জমে যায়। অতিরিক্ত বৃষ্টি হলেই এই সমস্যাটা হয়। কিছু কিছু পাড়া যেমন ১৬ নম্বর ওয়ার্ড এর এই পাড়া যেমন রয়েছে তেমনি ১৭ নং ও ১৫ ওয়ার্ডের একটি অংশ এবং ২ নম্বর ওয়ার্ড ও ১ নম্বর ওয়ার্ডের কেস কোম্পানির গলি সেই সমস্ত জায়গাগুলোতে একনাগাড়ে বৃষ্টির ফলে জল জমে গেছে। এছাড়াও কিছু নতুন সমস্যা তৈরি হয়েছে যেটা আগামী দিনে থাকবে না। সেটা হল নতুন ড্রেন হচ্ছে বলে সেই ড্রেনগুলোর মুখগুলো বন্ধ থাকার জন্য জল গুলো ঠিকমতো যেতে পারছে না। সেই ড্রেন গুলো সম্পূর্ণ হয়ে গেলে কিছুটা কমবে এই সমস্যা। কিন্তু উত্তর চিড়াইল পারা এই জায়গাটা এতটাই নিচু যে জমা জল কমার কোন লক্ষনই নেই। সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে মারোয়ারি পট্টি তে পূর্ত দপ্তরের. জায়গার উপর একটি কালভার্ট তৈরি করা হবে আগামী দিনে যাতে এখানকার জল গুলো আগামী দিনে সে দিক দিয়ে বেশি করে বেরোতে পারে। তিনি বলেন এখন যেই জায়গায় উত্তর চিড়াইল পারায় জল জমেছে সেগুলো মূলত আগে ছিল নয়নজুলি। সেই সব জায়গায় সাধারণ মানুষরা জায়গা কিনেএখন তাদের মাথা গোঁজার ঠাঁই করেছে। সেই জায়গাগুলো আগামীতে কি করা যায় সে নিয়ে নতুন করে ভাবনা চিন্তা করে তার যাতে স্থায়ী সমাধান করা যায় তার চেষ্টা করবেন। পৌর প্রশাসক কার্তিক চন্দ্র পাল বলেন কালিয়াগঞ্জ পৌরসভার যে কমিউনিটি হল রয়েছে সেখানে এবং একটি স্কুলে ত্রাণশিবির খোলা হয়েছে যেখানে আশ্রয় নিয়েছে প্রায় ৩৫ টি পরিবার। সেই সমস্ত নাগরিকদের জন্য পৌরসভার পক্ষ থেকে চাল,ডাল, তেল, লবণ যেমন দেওয়া হছে তাদের খাদ্য সামগ্রী জন্য ,তেমনি তাদের শরীর যাতে ভালো থাকে তার জন্য পৌরসভার স্বাস্থ্য দফতরের কর্মীরা নিয়মিত এসে তাদের শারীরিক পরীক্ষা করছেন।