October 27, 2024

পুরসভার দায়িত্বে প্রশাসক, পরিষেবা না পেয়ে পাড়ায় পাড়ায় সই সংগ্রহ শুরু করলেন বর্ধমানের মহিলারা

1 min read

পুরসভার দায়িত্বে প্রশাসক, পরিষেবা না পেয়ে পাড়ায় পাড়ায় সই সংগ্রহ শুরু করলেন  মহিলারা

পুর পরিষেবার হাল ফেরাতে এবার বাড়ি বাড়ি ঘুরে সই সংগ্রহ অভিযান শুরু করলেন বর্ধমান পুরসভার ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের মহিলারা। তাঁদের অভিযোগ, পুরসভার পরিষেবার হাল একেবারে বেহাল। তাই বাধ্য হয়েই পথে নামতে হল তাঁদের। বছর দু’য়েক আগে বর্ধমান পুরসভার মেয়াদ উর্ত্তীণ হয়ে গেছে। তারপর আর নির্বাচন হয়নি।

এখন পুরসভার দায়িত্বে রয়েছেন প্রশাসক। প্রশাসকের দায়িত্ব সামলাচ্ছেন বর্ধমান উত্তরের মহকুমার শাসক পুষ্পেন্দু সরকার। নির্বাচিত বোর্ড না থাকায় পুর পরিষেবা মিলছে না বলে অভিযোগ বাসিন্দাদের। বারবার পুরসভায় জানিয়েও আলো-রাস্তা-জল, কোনও কিছুর অভাবই মিটছে না বলে জানিয়েছেন তাঁরা। পুরসভার ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের অন্তর্গত বাহির সর্বমঙ্গলা পাড়ার মানুষজন চরম সমস্যার মধ্যে বসবাস করছেন। একই অবস্থা নজরুলপল্লী এলাকাতেও। স্থানীয়দের অভিযোগ, বাম জামানাতে ওই এলাকায় কোনও কাজ হয়নি। এলাকায় দেখাই যেত না সিপিএমের কাউন্সিলরকে। পরিবর্তনের পরেও তাঁদের কপালে শিকে ছেড়েনি। এলাকায় জীবনধারণের ন্যুনতম সুযোগ সুবিধা মিলছে না বলে অভিযোগ করেন তাঁরা। এলাকার বাসিন্দা মনিকা পারভিন বলেন, ”গত দু’বছর ধরে রাস্তা বেহাল। খানাখন্দে ভরা। রাস্তায় আলোর কোনও ব্যবস্থা নেই। তাই প্রতিদিনই ছোট বড় পথ দুর্ঘটনার লেগেই আছে। দেখার কেউ নেই।” আরেক বাসিন্দা আমিনা বিবি বলেন, ”পানীয় জলের জন্য দু’বছর আগে রাস্তা খুঁড়ে পাইপ বসানো হয়। তারপরেও পানীয় জলেরও কোনও ব্যবস্থা হয়নি। পাশাপাশি রাস্তা মেরামতের কাজও হয়নি। নিয়মিত ড্রেন পরিষ্কার করা হয় না। মশার প্রকোপ বাড়ছে। সামান্য বৃষ্টি হলেই ড্রেনের জল উপচে বাড়িতে ডুকে যায়। গোটা বর্ষাই এই সমস্যায় ভুগছেন ২৭ ওয়ার্ডের মানুষজন।”এলাকার বাসিন্দা রেহেনা বেগম বলেন, ”আগে সপ্তাহে দু’দিন করে নোংরা, আবর্জনা পরিষ্কার হতো। এখন সপ্তাহে একদিনও লোক আসে না। ফলে ভ্যাটে আবর্জনার পাহাড় জমছে। দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে গোটা এলাকায়। ড্রেনে মশার বংশ বৃদ্ধি হচ্ছে। ডেঙ্গির ভয়ে আমরা আতঙ্কিত।” তাই ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা মনিকা পারভিন, আমিনা বিবিরা জোটবদ্ধ হয়ে পাড়ায় পাড়ায়, বাড়ি বাড়ি গিয়ে সই সংগ্রহ করছেন। সই সংগ্রহ করে সমস্যা ও অভিযোগের বিষয়টি পুরসভায় জানাবেন। এই বিষয়ে পুরসভার প্রশাসক বর্ধমান উত্তরের মহকুমা শাসক পুষ্পেন্দু সরকার বলেন, ”ওয়ার্ডে কাজ হচ্ছে না, এরকম অভিযোগ আমার কাছে নেই। বরং আগের থেকে এখন কাজ ভালো হচ্ছে বলেই তো শুনেছি।” বছরখানেক আগে বর্ধমান পুরসভার প্রাক্তন কাউন্সিলরদের একাংশ বেহাল পুর পরিষেবা নিয়ে সরব হয়েছিলেন। তাঁরা প্রশাসকের কাছে লিখিত ভাবে সমস্যার কথাও জানিয়েছিলেন। সাধারণ মানুষ বলছেন পুরবোর্ড না থাকাতে পুরসভার নজর নেই ওয়ার্ডগুলিতে।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *