October 26, 2024

কালিয়াগঞ্জ এর রানিং বুলেট ক্লাব এর মাঠ এখন ঠিকাদারদের স্বর্গরাজ্য।ক্রিয়া চর্চা থেকে বঞ্চিত হয়ে ক্ষুদ্র খেলোয়াড়রা

1 min read

কালিয়াগঞ্জ এর রানিং বুলেট ক্লাব এর মাঠ এখন ঠিকাদারদের স্বর্গরাজ্য।ক্রিয়া চর্চা থেকে বঞ্চিত হয়ে ক্ষুদ্র খেলোয়াড়রা

তনময় চক্রবর্তী করোনা আবহের মধ্যে এক দুঃসংবাদ উত্তর দিনাজপুর জেলার কালিয়াগঞ্জ এর ক্রিয়া প্রেমী মানুষদের জন্য। ধীরে ধীরে সবুজ খেলার মাঠ হয়ে উঠেছে কালিয়াগঞ্জ এর ঠিকাদারদের মালপত্র রাখার আখড়া। যার ফলে আর সেই মাঠ এ নেই সবুজের বাহার আছে শুধু বালি,ইট,পাথরের সমাহার।ফলে  মাঠ থেকে হারিয়ে যেতে বসেছে বাঙ্গালীদের সেরা খেলা ফুটবল, ক্রিকেট।  হ্যা এমনই রকম একটি মাঠ ইতিমধ্যে হয়ে গিয়েছে কালিয়াগঞ্জ এর হাসপাতাল পাড়ার রানিং বুলেট ক্লাবের মাঠ।

যেখানে দেখা যাচ্ছে মাঠের চারদিকে শুধু ইট, পাথর ,বালিতেই ভরে গিয়েছে। অথচ এই মাঠটি কালিয়াগঞ্জ এর ক্রিয়া প্রেমী মানুষদের কাছে অত্যন্ত প্রিয় মাঠ ছিল খেলাধুলা চর্চার ক্ষেত্রে। শুধু তাই নয় এই মাঠেই বিভিন্ন ধরনের খেলাধুলা প্রতিবছরই হয়। যেমন ক্রিকেট টুর্নামেন্ট, তেমনি ফুটবল টুর্নামেন্ট । এর পাশাপাশি বাৎসরিক বিভিন্ন স্কুলের যে ক্রিয়া প্রতিযোগিতা গুলো হয় সেগুলোর মধ্যে অনেক খেলাই এই মাঠে হয়। এছাড়া একটা সময় এই মাঠেই ক্রিকেটের কোচিং ক্যাম্প চলছিল।

কিন্তু আজ আর সেই কোচিং ক্যাম্প নেই এখানে। এর পাশাপাশি অনেক খেলোয়ার রয়েছেন কিংবা প্রাত ভ্রমণকারীরা তারাও অনেকে কিছুদিন আগে অবধিও এই মাঠে এসে শরীর চর্চা করতেন নিয়মিত কিন্তু আজ সবকিছুই যেন হারিয়ে গিয়েছে ঠিকাদারদের খামখেয়ালীপনার জন্য। অনেক ক্রীড়ামোদী মানুষকেই বলতে শোনা গেল ,এই মাঠ কি তাহলে এখন ঠিকাদারদের বিভিন্ন ধরনের মাল রাখার মালখানা হয়ে গিয়েছে। কারণ মাঠের চারিদিকের অবস্থা যেমন রয়েছে তাতে এই মাটিকে আর খেলার মাঠ বলা যাবে না কোনভাবেই। অবিলম্বে এ ব্যাপারে প্রশাসনের উচিত একটা দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নেওয়া। যাতে এই মাঠের খেলার পরিবেশ আগের মতো ফিরিয়ে দেওয়া যায়। নচেৎ খেলাধুলা চর্চার ক্ষেত্রে অনেকটাই পিছিয়ে পড়বে কালিয়াগঞ্জ এর বিভিন্ন ক্ষেত্রে খেলোয়াড়রা। ঠিকাদারদের উচিত অবিলম্বে খেলোয়াড়দের স্বার্থের কথা চিন্তা করে তাদের প্রয়োজনীয় ইট, বালি, পাথর গুলিকে এই মাঠ থেকে সরিয়ে নিয়ে গিয়ে অন্য জায়গায় স্থানান্তরিত করে  দেওয়া । বর্তমানে এই রানিং বুলেট ক্লাবের মাঠ টির বেশিরভাগ অংশই ঠিকাদাররা দখল করে রেখেছে। ফলে খেলোয়াড়রা তারা নিয়মিত ভাবে এখানে এসে তারা যেমন প্র্যাকটিস করতে পারছে না তেমনি অনেক প্রাতঃভ্রমণ কারিরাও তারা সকালবেলা এই মাঠে এসে হাঁটাচলা করতে পারছেনা কারণ একটাই যেখানে সেখানে পড়ে রয়েছে পাথরকুচি ,বড় বড় পাথর এবং বালি। ফলের মাঠের সেই সবুজের সমাহার আজ হারিয়ে যেতে বসেছে হাসপাতাল পাড়া মাঠ থেকে।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *