হাতি চলছে বাজারে, কুত্তা ভুকে হাজারে।
1 min readহাতি চলছে বাজারে, কুত্তা ভুকে হাজারে।
নিজস্ব প্রতিনিধি, কালিয়াগঞ্জ।এক হাতি চলছে বাজারের মধ্যে দিয়ে তখন হাতিকে দেখে বেশ কতকগুলো কুকুর মনে করলো হাতি কেন আমাদের জায়গায় আসবে, কেন আমাদের রাস্তায় চলছে। এ নিশ্চয়ই আমাদের অস্তিত্ব কে দুমড়ে মুছড়ে দিতেই এসেছে। তা ছাড়া ওর বড় শরীরটা কি করে সহ্য করা যাবে? এর জন্যেই তারা অনবরত ঘেউ, ঘেউ করতে থাকে।
হাতি কিন্তু কুকুরদের ঘেউ ঘেউ শব্দের কর্ণপাত না করেই এগিয়ে যেতে থাকে। তবুও কুকুরগুলো হাতির পেছন পেছন ঘেউ ঘেউ করতে থাকে। হাতি কোনরকম বিচলিত না হয়ে চলতেই থাকে। এমন পরিস্থিতিতে দেখা যায় রাস্তার পাশে মানুষের পরিত্যাক্ত মল যেগুলো পরে থাকে সেগুলো ভক্ষণ করে ঘেউ ঘেউ শব্দের মাত্রা আরো বাড়িয়ে দেয়। তবে ঐ নোংরা পরিত্যক্ত মল ভক্ষণ করে রাস্তার পরিবেশ কে পরিষ্কার করে বই কি। এজন্যেই তো রাস্তার কুকুর নামেই আখ্যায়িত। হিতোপদেশ সাধুরা যখন হিমালয়ে নির্জনে বসে ধ্যান করেন তখন তাদের বিরুদ্ধে কেউ কিছু বলেন না। কিন্তু জগতে ভগবানের মহিমা প্রচারের জন্য সাধুরা যখন বের হোন তখন অনেক মানুষ সাধুদের নিন্দা চর্চা শুরু করেন। কারন সাধুদের বিশেষত্ব দেখে তাদের বড়ই অসহ্য বোধ হয়। তারা হিংসায় অধীর হয়ে পরে। বিরক্ত হয়ে তারা বলতে থাকে ” আমরা আচার করি বা অনাচার করি, সাধুরা কেন আমাদের জায়গায় আসবে ? ” তাই তারা সাধুদের নিয়ে নানারকম কুৎসা বা রটনা করতে থাকেন। কিন্ত সাধুরা কিন্তু নিজেদের কাজেই অবিচল থেকে কাজ করে যান। ঐ হাতিও ঠিক তাই নিজে অবিচল থেকে চলতে থাকে আর পিছন পিছন অবিচল থেকে বাজারের কুত্তা ঘেউ ঘেউ করতেই থাকে। এটাই বাজারের কুকুরের জন্মগত অভ্যাস।