October 26, 2024

এখন থেকে মন্দিরে থাকবেন প্রভু রাম ,এত বছর তাঁবুতে কাটিয়েছেন : প্রধানমন্ত্রী

1 min read

এখন থেকে মন্দিরে থাকবেন প্রভু রাম ,এত বছর তাঁবুতে কাটিয়েছেন : প্রধানমন্ত্রী

অযোধ্যা: অযোধ্যার অনুষ্ঠানে এসে  “জয় সিয়া রাম” স্লোগান তোলেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, “বহুবছর ধরে তাঁবুতে থাকতে হয়েছে রামলালাকে। আজ থেকে উনি এই মহামন্দিরে থাকবেন। রামভক্তদের তৈরি করা এই মন্দিরই রাম জন্মভূমিকে উন্মুক্ত করল।” প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, “রাম সবার, রাম সবার মধ্যেই। প্রত্যেক জায়গায় ভিন্ন অবতারে প্রভু রামকে খুঁজে পাওয়া যাবে। প্রত্যেক চরিত্র রামের সঙ্গে সমার্থক। যাকে আমরা এককথায় ভারত বলি।” ১৯৯০ সালে রামমন্দির আন্দোলনের অন্যতম উদ্যোক্তা ছিলেন নরেন্দ্র মোদি। তিন দশক পর মন্দির নির্মাণের প্রথম ইট পুঁতলেন তিনি।

অংশ নিলেন ভূমিপুজোয়। এই আচার শেষ হতেই অনুষ্ঠানস্থলে ভারত মাতা কি জয় আর হর হর মহাদেব স্লোগান ওঠে। বেজে ওঠে শ্লোক আর ভজনএদিন অযোধ্যায় নেমে তিনি হনুমানগঢ়হি মন্দির পরিদর্শন করেন প্রধানমন্ত্রী। দশ মিনিট ওখানে ছিলেন তিনি। সেখান থেকেই যান ভূমিপুজোর অনুষ্ঠানে। উপস্থিত ছিলেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ, আরএসএস প্রধান-সহ জমি মামলার অন্যতম আবেদনকারী ইকবাল আনসারি। দুই প্রবীণ বিজেপি নেতা লালকৃষ্ণ আডবাণী আর মুরলীমনোহর জোশী ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে এই পুজো দেখেন। এই অনুষ্ঠানের মূল উদ্যোক্তা রাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্ট। এই মন্দির আন্দোলনে ভর করে জাতীয় রাজনীতিতে প্রাধান্য বাড়ে বিজেপির।গত বছর নভেম্বরে বিতর্কিত ২.৭৭ একরের জমির মালিকানা দেওয়া হয় রামমন্দির ট্রাস্টকে। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে এই মামলার নিষ্পত্তি হয়। পঞ্জিকা মেনেই এদিনের অনুষ্ঠান। পাশাপাশি বুধবারের হিসেবে দেশে সংক্রমণ ১৯ লক্ষ পেরলো। অযোধ্যা শহর ছাড়াও নিউ ইয়র্কে বড় পর্দায় দেখা যাচ্ছে এই অনুষ্ঠান। ১৬১ ফুট উঁচু এই মন্দিরের তিনটি তল। সোমবার প্রকাশিত নকশায় এমনটাই দেখা গিয়েছে।এদিক , বুধবার সকাল ১১.৩০টা নাগাদ সাদা সিল্কের কুর্তা আর সাদা ধুতি পরে অযোধ্যায় নামেন। তাঁকে অভ্যর্থনা জানান উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ এবং রাজ্যপাল আনন্দীবেন প্যাটেল। পুজোর শুরুতে ৪০ কেজি রুপোর ইট পুঁতে রামমন্দির নির্মাণের সূচনা করেছেন তিনি। মোট নয়টি শিলগ্রাম শিলার পুজো চলবে অযোধ্যার মন্দির নির্মাণস্থলে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *