October 26, 2024

করোনার প্রকোপে ভার্চুয়াল জগতেই রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ে সংস্কৃত দিবস পালন।

1 min read

করোনার প্রকোপে ভার্চুয়াল জগতেই রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ে সংস্কৃত দিবস পালন।

পিয়া গুপ্তা চক্রবর্তী, উত্তর দিনাজপুরসোমবার সংস্কৃত দিবস। ভারতের ঐতিহ্য, সংস্কৃতি, ইতিহাস এবং পরম্পরাকে আমরা খুঁজে পাই সংস্কৃতের মধ্যে। প্রায় ৩৫০০ বছরের পুরনো হিন্দু সংস্কৃতি লিপিবদ্ধ করা রয়েছে এই ভাষায়। রাখি বন্ধনের দিনে সংস্কৃত দিবস পালন করা হয়।রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ে সংস্কৃত বিভাগে আলো ঝলমলে হয়ে ওঠে এই দিনটি। সংস্কৃত গান-বাজনা-উৎসবে মেতে ওঠে বিশ্ববিদ্যালয়েরপ্রাঙ্গণ।কিন্তু এই বছর চিত্রটা সম্পূর্ণ আলাদাকরোনা ভাইরাস মহামারীর কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠান না হলেও ।

রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ের সংস্কৃত বিভাগের উদ্যোগে ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে ভার্চুয়াল সংস্কৃত দিবস পালনের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষ।সংস্কৃত দিবস উপলক্ষে সোমবার দুপুর 3 টা নাগাদ গুগল মিটে চলবে একাধিক অনুষ্ঠান।

 

এদিন গুগল মিটে অনলাইন এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ব্যবস্থাপক ভাইস চ্যান্সেলার প্রফেসার অনিল ভূঁইমালি, প্রধান অতিথি হিসেবে থাকবেন শ্রী জগন্নাথ সংস্কৃত বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলার প্রফেসার হরিহর হোতা ,প্রধান বক্তা হিসেবে থাকবেন প্রফেসার দীপক কুমার রায়, এবং আই কিউ এসির ডিরেক্টর প্রফেসার কালি শঙ্কর তিওয়ারি এছাড়া রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ের সংস্কৃত বিভাগের সকল প্রফেসার ও ছাত্র ছাত্রীরা।সংস্কৃত বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক প্রশান্ত কুমার মহলা বলেন প্রতিবছর রাখী বন্ধনের এই দিনটি আমরা সংস্কৃত দিবস হিসেবে পালন করি ।

সংস্কৃত শব্দ রক্ষা বন্ধন থেকেই প্রচলিত হয়েছিল এই রাখি বন্ধন শব্ধটি। সংস্কৃত থেকেই ইংরেজি , বাংলা বহু ভাষার সৃষ্টি। প্রতি বছর বিশ্ববিদ্যালয়ে সংস্কৃত বিভাগে সংস্কৃত দিবস পালন হয়। তবে এই বছর করোনা মহামারীর প্রকোপে অনলাইনে গুগল মিটে সংস্কৃত দিবস পালন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।উল্লেখ্য সোমবার বিশ্ব সংস্কৃত দিবস। সংস্কৃত হলো ইংরেজি, বাংলা পার্সিয়ান, সমস্ত ভাষার মূল ।ভাষা এবং ঐতিহ্যকে বাঁচিয়ে রাখতে কর্ণাটকের লোকেরা এখনও সংস্কৃত ভাষায় কথা বলেন। উত্তরাখন্ডের রাজ্য ভাষা হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে সংস্কৃতকে।

বর্তমানের বিজ্ঞান, তথ্যপ্রযুক্তি এবং রাজনীতির সঙ্গে সংস্কৃতর যোগাযোগ বিষয়ে শিশুদের পাঠ দেওয়া হচ্ছে। পড়ানো হচ্ছে বেদও। উত্তরাখন্ডের সরকার মনে করেন, সংস্কৃতর সঙ্গে সারা বিশ্বের যোগাযোগ রয়েছে।সংস্কৃতের সঙ্গে যোগ রয়েছে হিন্দুস্থানী ক্ল্যাসিক্যাল এবং পপেরওএই মুহূর্তে যত শব্দ ব্যবহার হয় তার প্রায় ৭৮ কোটি শব্দ হল সংস্কৃত। সারা ভারতবর্ষ জুড়েই কীর্তন, ভজনে সংস্কৃত ব্যবহার করা হয়। চিনের গায়িকা, সা দিংদিং, সংস্কৃত ভাষায় পপ সং লেখার জন্য সারা বিশ্বে বিখ্যাত।কম্পিউটারের জন্য আদর্শসংস্কৃত ভাষা কম্পিউটারের ভাষা এবং কোড তৈরিতে ভীষণ ভাবে সাহায্য করে। নাসার বিজ্ঞানীরা সংস্কৃতকে কম্পিউটারের বন্ধু ভাষা হিসেবে নির্বাচিত করেছেন। এছাড়াও 6th এবং 7th জেনারেশনের কম্পিউটার তৈরিতে আমেরিকা সংস্কৃতকে নানাভাবে ব্যবহার করছে।এছাড়াও আয়ারল্যান্ডের বেশকিছু স্কুলেও বাধ্যতামূলক ভাবে সংস্কৃত পড়ানো হয়।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *