October 25, 2024

বিশেষ প্রতিবেদনে বিশেষজ্ঞদের মতে কোভিড ১৯ সচেতনতামূলক টিপস।

1 min read

বিশেষ প্রতিবেদনে বিশেষজ্ঞদের মতে কোভিড ১৯ সচেতনতামূলক টিপস।

জয়ন্ত বোস,কালিয়াগঞ্জ।চিকিৎসা বিজ্ঞানের বিশেষজ্ঞদের মত এই Covid এর প্রতিরোধে লক ডাউন কিংবা ঘরে থাকুন বা যাই করুন , এই রোগ প্রতিরোধ সম্ভব শুধুমাত্র আপনার ইমিউনিটি পাওয়ার যা আপনাকে কিছু রক্ষা করতে পারে। তাই এই রোগ আজ না হোক কাল হবেই ধরে নিয়ে —-পরিকল্পনা গ্রহণ করুন। মন থেকে সবরকম আতঙ্ক দূর করার চেষ্টা করুন। এই রোগ নিয়ে আতঙ্ক না করার 108 টা যুক্তি আছে , কিন্তু কোনোটাই আপনার কাজে আসবেনা , যদি না আপনি নিজে মন থেকে মানেন।

বাইরের জগৎ থেকে আতঙ্ক সরবরাহ থাকবেই।এটা খুবই সম্ভব যে আজ নেগেটিভ হল , দু’দিন পর তা পজেটিভ। তাই চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন, তে কোনো উপসর্গ দেখা দিলে তবেই চিকিৎসক কে দেখান এবং চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী টেস্ট করান , নচেৎ নয়। সমাজে Covid নিয়ে তীব্র বিরূপ প্রতিক্রিয়া হয়েছে। রোগের কথা প্রচার হলে সামাজিক বয়কট এই মুহূর্তে অন্ধকারাচ্ছন্ন অবস্থায় দাঁড়িয়েছে।তাই খুব সাবধান। বিশেষজ্ঞরা বলছেন আতঙ্কের জেড়ে পাড়া পড়শীর বড় অংশ এখন বড় গোয়েন্দা হয়ে গেছেন , কে কখন বেরোচ্ছেন নজরদারি চালাচ্ছেন। তাই দূরত্ব বজায় রাখুন নিজের , পরিবারের, সমাজের স্বার্থে। ভিড়ে বেরোলে মাস্ক অবশ্যই পরুন, দুরত্ব বজায় রাখুন। এদিকে চিকিৎসক বিশেষজ্ঞদের মতে মাস্ক পরার ক্ষতির দিকটিও আছে যেমন এতে জীবাণুও আটকায় , আবার প্রাণদায়ী অক্সিজেনও আটকে যায়। তাই রক্তে অক্সিজেন কমে যেতেই পারে , তাছাড়া আপনার নিঃশ্বাস বাইরে বেরোতে বাধা পেয়ে অনেকটা আবার শরীরে ঢুকে যায়। দিনে একবার অন্ততঃ বাইরে ফাঁকা জায়গায় যান , বা ছাদে , বা ব্যালকনি তেও ঘন্টাখানেক যান। মনে রাখবেন —-বাইরের অক্সিজেন এর থেকে ঘরে অক্সিজেন অনেক অনেক কম থাকে। আর লক ডাউনের জন্য বহু মানুষ দীর্ঘ সময় ঘরে থাকার কারণে ঘরে কার্বন ডাই অক্সাইড অনেক বেড়ে যায়। আর কার্বন ডাই অক্সাইড অনেক ভারী গ্যাস যা বাড়ির মেঝের উপর জমা হতে থাকে। আমরা শুয়ে থাকার জন্য মাটির কাছাকাছি থাকি , তখন ওই গ্যাস বড় ক্ষতি করতে পারে। তাই শুয়ে থাকা কমান। এই রোগে আক্রান্ত হলে ৯৫%হাসপাতালে এ ভর্তি হবার দরকার পড়ে। তবে মেডিক্লেম আগে থেকে থাকলে খুবই ভালো , না থাকলে করিয়ে রাখুন। মোটামুটি পরিবারের প্রত্যেকের 4-5 লাখ টাকা মতন। এই মেডিক্লেম এর অসুবিধা সাধারণত 4 বছর আগে কোনো রোগের খরচ দেয়না। একটা রিস্ক পিরিয়ড আছে। কিন্তু দুর্ঘটনা এর কোনো রিস্ক পিরিয়ড নেই , আর কোভিড এর ক্ষেত্রে এটা ১৫ দিন।
অর্থাৎ পলিসি কেনার ১৫ দিন পর রোগ হলেই খরচ পাওয়া যাবে এই পলিসি দ্রুত করে নিতে পারেন।বছর ২-৩ টেনে পরে আর নাও চালাতে পারেন।কোভিড এর ক্ষেত্রে অন্য উপসর্গ কোনো বড় সমস্যা নয়। দুটো জিনিস ছাড়া। এক অক্সিজেন ঘাটতি , আর ডিহাইড্রেশন। অক্সিজেন এর অবস্থা তো অক্সিমিটার দিয়ে জানতেই পারছেন –হাতে সময় পাবেন। আর dehydration নিয়ন্ত্রণ করার জন্য বারবার ORS খাওয়ান অসুস্থ হলে। জ্বর খুব বেশী হলে 4 ঘন্টা অন্তর প্যারাসিটামল দিন। শ্বাস কষ্ট হলে মুখ দিয়ে জোরে জোরে শ্বাস নিন। যতটা পারেন হাওয়া টেনে নিন , তারপর যতটা পারেন ওই হাওয়া ধরে রাখুন , তারপর খুব ধীরে ধীরে শ্বাস ছাড়ুন। আবার ওই রকম করুন।এরকম শ্বাস নেবার সাথে সাথে Levo Salbutamol জাতীয় inhaler নিন। এটিও সবাই ঘরে রাখুন , সব ওষুধের দোকানেই পাবেন , অনেক নামে পাওয়া যায় , তবে “Levoline” নামে বেশি দেখা যায়। এসব ই প্রাথমিক চিকিৎসা। যাতে hospital খোঁজার মতন সময় অনেকটা পাওয়া যায়। প্রাথমিক হলেও , এগুলোই life saving হতে পারে বলে মত প্রকাশ করেছেন চিকিৎসক বিশেষজ্ঞরা।তাই ,ভালো থাকুন , আর হ্যাঁ , ভয়মুক্ত হয়ে আনন্দে থাকুন। সবাই একটু পড়ুন ও যথাযথ পদক্ষেপ নিন। সবশেষে একটাই কথা আপনার ইমিউনিটি পাওয়ার বাড়ান। অযথা আতঙ্কিত হবেন না। আপনার পরিবারে, সমাজে সচেতনতা বৃদ্ধি করুন।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *