October 26, 2024

নদীর স্রোতের জলে ভেসে গেল রাস্তা

1 min read

নদীর স্রোতের জলে ভেসে গেল রাস্তা

নদীর স্রোতের জলে ভেসে গেল অস্থায়ী রাস্তা, চরম দুর্ভোগে পাঁচটি অঞ্চলের হাজার হাজার মানুষ। ঘটনার ২৪ ঘন্টা পেরিয়ে গেলেও দেখা মেলেনি স্থানীয় পঞ্চায়েত বা জেলা প্রশাসনের আধিকারিকদের। ক্ষোভে ফেটে পড়লেন বাসিন্দারা। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর দিনাজপুর জেলার রায়গঞ্জ ব্লকের রামপুর গ্রামপঞ্চায়েতের মহারাজা এলাকায়। প্রশাসনের চরম উদাসীনতায় বিক্ষুদ্ধ গ্রামের বাসিন্দারা নিজেরাই চাঁদা তুলে অর্থ সংগ্রহ করে স্বেচ্ছাশ্রম দিয়ে নদীর উপর অস্থায়ী বাঁশের সাঁকো নির্মানের কাজ শুরু করলেন।স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার দুপুর নাগাদ কাঞ্চন নদীর জলের স্রোতে আচমকাই ভেসে চলে যায় রায়গঞ্জ ব্লকের মহারাজা এলাকায় একটি অস্থায়ী রাস্তা। রাস্তাটি সম্পূর্ণ ভেঙে নদীর জল প্রবল বেগে ঢুকতে শুরু করে গ্রামগুলিতে।

এই অস্থায়ী রাস্তা জলের তোড়ে ভেঙে যাওয়ায় রায়গঞ্জ ব্লক সদরের সাথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে রামপুর, বিন্দোল, মহীপুর সহ পাঁচটি গ্রামপঞ্চায়েতের বহু গ্রাম। এলাকার বাসিন্দাদের ২৬ কিলোমিটার দীর্ঘ পথ ঘুরে আসতে হচ্ছে ব্লক সদর রায়গঞ্জ শহরে।  স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, দীর্ঘ সময় পার হয়ে যাওয়ার পর কোনওরকম প্রশাসনিক উদ্যোগ বা ব্যাবস্থা গ্রহন না করায় পাঁচটি অঞ্চলের সাথে রায়গঞ্জ ব্লক সদরের বিচ্ছিন্ন যোগাযোগ অস্থায়ীভাবে গড়ে তুলতে গ্রামবাসীরা নিজেরাই উদ্যোগ নিলেন। গ্রামের বাসিন্দারা প্রশাসনের উপর আস্থা হারিয়ে নিজেরাই চাঁদা তুলে অর্থ সংগ্রহ করে নদীর উপর অস্থায়ী বাঁশের সাঁকো নির্মান শুরু করেছেন। এদিকে কাঞ্চন নদীর জলস্তর ক্রমশ বাড়তে থাকায় প্রবল বেগে জল ঢুকছে সংশ্লিষ্ট এলাকার গ্রামগুলিতে। প্রশাসন দ্রুত ব্যাবস্থা গ্রহন না করলে বাড়িঘর সহ জমির ফসল ডুবে যাওয়ার আশঙ্কায় রয়েছেন দুর্গত বাসিন্দারা। গ্রামের বাসিন্দা কৈলাশ সাহা ও সাধন কুমার রায় বলেন, গ্রামপঞ্চায়েত বা প্রশাসন কোনও উদ্যোগ না নেওয়ায় গ্রামের বাসিন্দাদের কাছ থেকে চাঁদা তুলে অর্থ সংগ্রহ করে নদীর উপর অস্থায়ী বাঁশের সাঁকো নির্মানের কাজ শুরু করেছি আমরা।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *