October 26, 2024

দেহাবন্ধের বিধান সরকার তার জমিতে ড্রাগন ফলের চাষ শুরু করে সারা ফেলে দিয়ে বাড়তি রোজ গারের নুতন দিশা পেয়েছে-

1 min read

দেহাবন্ধের বিধান সরকার তার জমিতে ড্রাগন ফলের চাষ শুরু করে সারা ফেলে দিয়ে বাড়তি রোজ গারের নুতন দিশা পেয়েছে-

তপন চক্রবর্তী-কালিয়াগঞ্জ(উত্তর দিনাজপুর)২৭জুলাই:আসলে ইচ্ছা থাকলে উপায় হয় এটা একটা প্রবচন আছে আমরা সবাই জানি।সেই প্রবচনকে বাস্তবে রূপ দিয়ে দেখিয়ে দিলেন দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার কুশমন্ডি ব্লকের দেহাবন্ধের যুবক চাষী বিধান চন্দ্র সরকার।জানা যায় বিগত তিন বছর ধরে এই নুতনএই নুতন ধরনের ড্রাগন ফলের চাষ শুরু করে বিধান সরকার রীতিমত সারাফেলে দিয়েছেন।বিধানবাবু বলেন এই ড্রাগন ফল অত্যন্ত সুস্বাদু ও পুষ্টি গুনে সমৃদ্ধ বর্তমানে দেশ বিদেশে ভীষন জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে।বিধান সরকার বলেন দেহাবন্ধের কচড়া গ্রামে তাদের পূর্বপুরুষদের কংস দীঘি নামে ৩৩বিঘার জলা ভূমি আছে।সেখানেই নানান কৃষি প্রকল্পের সাথে তিনি ড্রাগন ফলের চাষ শুরু করে দিয়েছেন।কংস দিঘির পশ্চিম পারে ২০ শতক জমিতে তিনি পরীক্ষামূলক ভাবে ড্রাগন ফলের চাষ শুরু করেছেন।

বিধান সরকার বলেন দুই বছর আগেও জানতাম না ড্রাগন ফল কেমন জিনিষ।কিন্তু তাকে এই চাষে প্রথম উৎসাহিত করেন দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বদলপুরের বাবলু মাহাতো।তিনিই আমাকে কয়েকটা ড্রাগন গাছের চারা দেন জমিতে প্রাথমিক ভাবে লাগানোর জন্য।সেই থেকেই আমার উৎসাহ বেড়ে যায়।বিধানবাবু বলেন ড্রাগন ফলের চাষে কোন বাড়তি খরচ নেই শুধু জমিতে জল আর নিড়ানি দিয়ে জৈব সার দিতে হবে।বিধান সরকার বলেন এই ফল সাধারণত গরম কালেই হয়।এক একটা ড্রাগন ফলের ওজন হয় ২৫০-৩০০গ্রাম।বর্তমানে ড্রাগন ফলের কেজি ৩০০টাকা।ফলটি অত্যন্ত সুস্বাদু ও পুষ্টিকর হওয়ায় আমার বাড়ি থেকেই ড্রাগন ফল বিক্রি হয়ে যায়।।

তার জমিতে বর্তমানে ৪১৬টি ড্রাগন ফলের গাছ লাগানো হয়েছে।ড্রাগন ফলের ব্যবসা যে একটি লাভ জনক ব্যবসা তা দেরিতে হলেও তিনি বুঝতে পেরেছেন।তিনি বলেন বছরে ড্রাগন ফল থেকে সক লক্ষ টাকা আয় করা কোন কঠিন কাজ নয়।এক প্রশ্নের উত্তরে বিধান সরকার এবং তার ভাই অনিমেষ সরকার বলেন আমরা এই ব্লকে একটি নুতন ফলের চাষ করছি সে বিষয়ে কুশমন্ডি কৃষি দপ্তরের কোন ইতিবাচক ভূমিকা নেই বলে জানান।বিধান সরকারের ভাই অনিমেষ সরকার বলেন আমরা শুধু ড্রাগন চাষ করেই বসে থাকিনা।

আমাদের সুবিশাল কংসদিঘির পারে উত্তর পশ্চিম পারে খাঁকি ক্যাম্বেল হাঁসের খামার করেছি, সারা বছর ধরে আমরা মৎস চাষ করে থাকি।আমাদের মাছ উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন স্থানে আমরা পাঠিয়ে থাকি।অনিমেষ বাবু বলেন আমরা দুই ভাই মিলে এই ধরনের ব্যবসা করে আসছি। কালিয়াগঞ্জ ধনকোল মহিমা চন্দ্র বিদ্যাভবনের শিক্ষক ডঃ কাঞ্চন দে বলেন আমার সম্প্রতি দক্ষিণ দিনাজপুরের দেহাবন্ধের কচড়া গ্রামের কংসদীঘিতে যাবার সৌভাগ্য হয়েছিল।আমি সেই দীঘির চারধারে যে ভাবে খাঁকি ক্যাম্বেল হাঁসের খামারে হাঁসের খামারে কাজ হচ্ছে,যেভাবে দীঘিপারে ড্রাগন ফলের চাষের সাথে মৎস চাষ করছে বিধান সরকার ও অনিমেষ সরকার। তা দেখে অবাক হয়েছি।এই ধরনের উদ্যোগ গ্রামের যুবকরা নিতে পারলে এবং সরকার থেকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে তাদের উৎসাহিত করতে পারলে তাতে করে সরকারেরই লাভ হতে পারে বলে কাঞ্চন বাবু মনে করেন।কারন বর্তমানে বেকার সমস্যা দিনকে দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে তাতে গ্রামে গঞ্জে এই সমস্ত চাষে যুবকদের উৎসাহ দেওয়ার প্রয়োজন সরকারের।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *