October 26, 2024

দিল বেচারা মুক্তির রাতে সুশান্ত কি কি বলে গেলেন ?? ডিরেক্টর রাজ চক্রবর্তীর প্রসংসা কুঁড়ানো শিক্ষক তথা এক লেখক কে ।

1 min read

দিল বেচারা মুক্তির রাতে সুশান্ত কি কি বলে গেলেন ?? ডিরেক্টর রাজ চক্রবর্তীর প্রসংসা কুঁড়ানো শিক্ষক তথা এক লেখক কে ।

পিয়া গুপ্তা চক্রবর্তী,সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর প্রায় একমাস কেটে গেছে। ১৪ জুনের দুপুরে তার রহস্যমৃত্যু নিয়ে আজ অগনিত মানুষ আকুল ।সুশান্ত সিং রাজপুত বেঁচে নেই। তবে ভক্তদের মন জুড়ে আজীবন থাকবেন তিনি। সশরীরে উপস্থিত না থাকলেও প্রতিদিন সুশান্ত সিং রাজপুত বাঁচবেন অগুনতি মানুষের মনে। সুশান্ত সিং কে নিয়ে এবারে নিজের ভাবনার বহিঃপ্রকাশ করলেন মালদার বিশিষ্ট শিক্ষক তথা লেখক সুজিত দেবনাথ। যিনি এর আগে ও সুশান্ত সিং কে নিয়ে ভাবনার বহিঃপ্রকাশ ঘটিয়ে বেশ জনপ্রিয়তা কুঁড়িয়েছেন ।তিনি দাবী করেন যেকোন কিছুর প্রতি ১০০ শতাংশ কনসেন্ট্রেশন দিলে তা সত্যি ই যেনো সামনে চলে আসে । তাঁর নিজস্ব ভাবনার বহিঃপ্রকাশ অনু্যায়ী –যা যা বলে গেলো সুশান্ত দিলবেচারা রিলিজ হওয়ার রাতে ।

ঘড়িতে তখন বাজে রাত ৩ টা । রাত তিনটের দিকে হসপিটালের সিড়ি বেয়ে গড়িয়ে নেমে আসা রক্তস্রোত যদি দেখেন , আপনি যতটা আঁতকে যাবেন আমি প্রথমে তার থেকে ও অধিক আঁতকে উঠেছিলাম । যেনো ভাবনায় সুশান্ত কিছু বলে গেলো । যা বলে গেলো -আমি তোমাদের ভালোবাসার সুশান্ত সিং রাজপুত । আমি কষ্টে নেই , আমি ভালো আছি । কারন আমি জীবনের প্রধান লক্ষ্য অর্জন করে ফেলেছি । আমি সারাজীবন ভর যা চাইতাম , তা পেয়ে গেছি । সেটা তোমাদের ভালোবাসা ।বেঁচে থাকতে কখনোই অভিযোগ করিনি তোমাদের কাছে ।

তোমরা ই তো আমাদের ভগবান । তোমরা আমাদের সিনেমা দেখো বলেই আমরা স্টার । বড় বড় ব্যান্ড্রদের বিরুদ্ধে করা অভিযোগ যদি তোমরা হেলায় উড়িয়ে দিতে , তাহলে সিনেমার স্বপ্ন টাই হারিয়ে যেতো । তাই জীবনের শেষদিন পর্যন্ত লড়ে গেছি । আমি অনেক পিছন থেকে শুধু লড়াই করে ওদের পাশাপাশি দৌড়াতে শুরু করেছিলাম । ইন্ড্রাস্ট্রির একগুচ্ছ হিংসুক চোখ এভাবে আমার উথান টা মেনে উঠতে পারেনি ।ওদের পদে পদে বাধা ডিঙ্গিয়ে অপেক্ষাকৃত কম নামি দামী প্রোডিউসার দের সাথে কাজ করে ই তোমাদের কাছে পৌছাতে চাইতাম । যদি তোমরা আমার সিনেমাটাকে আবার ও ধোনীর বায়োপিকের মতো ভালোবেসে ফেলো । তাহলে ই তো আমি বলিউড কে দেখাতে পারতাম । মানুষ শুধু ব্রান্ড নয় , প্রতিভা আর সংগ্রামের দাম বোঝে ।কতো লড়াই করে যদিও বা কোন একজন প্রডিউসার এর সাথে চুক্তি করলাম । তাতে অনেক সময় ওদের পরোক্ষ চাপে সেই চুক্তি বাতিল করে দিতো । কিন্তু আমি থেমে থাকিনি । আমি যেহেতু ছিলাম সাধারন ঘরের ছেলে তাই আমার প্রতিভা কেও ওরা সাধারন করে দেখতো ।যেনো আমি উড়ে এসে ওদের স্টার বুদ্ধিজীবি সমাজের মধ্যে ঢুকে পড়েছি । পৃথিবীতে দুই রকম বুদ্ধিজীবি হয় ।

রাজনৈতিক বুদ্ধিজীবী এবং অরাজনৈতিক বুদ্ধিজীবি। আর্টিস্ট জগতের মানুষরা অরাজনৈতিক বুদ্ধিজীবি দের মধ্যেই পড়ে । আর এদের মধ্যে যাদের রাজনৈতিক বুদ্ধিজীবিদের সাথে ভালো সম্পর্ক তারা সর্বদা ক্ষমতা দেখায় ।দু চার টা রাজ্যের অ্যাম্বাসাডর ছিলাম না । অথচ আমার প্রতি মূহুর্তে লড়াই ছিলো তাদের বিরুদ্ধে যারা সব বড় বড় নেতা মন্ত্রীর কাছের লোক । তাই প্রতি মূহুর্তে মুখ খুলবো খুলবো করে খুলে উঠতে পারিনি । জানতাম কখনো ওদের প্রতি অভিযোগ আনলে আমার ক্যারিয়ার টাই শেষ হয়ে যেতো ।তাই সকল প্রতিকুলতা ঠেলে সংগ্রামে জয়ী হওয়ার স্বপ্ন দেখতাম । দিল বেচারাতে ও আমার ই মতো সংগ্রাম করে আসা সঞ্জনার সাথে প্রানপন চেষ্টা করেছিলাম তোমাদের ভালোবাসা পাবার ।প্লীজ তোমরা এই কম ব্রান্ড্রেড প্রতিভাবান শিল্পীদের পাশে থেকো । ছোট ছোট প্রডিউসার রা নতুন দের নিয়ে ঝুঁকি নিলে তাদের পাশে থেকো । শুধু উঁচু মান নয় শিল্পীর উঁচু মন টাকেও বিচারের তালিকায় রেখে রেটিং করো । নাহলে আর নেপোটিজম নেপোটিজম করে কি লাভ হবে । যারা আছে , মাথা চিরকাল তারাই দখলে রাখবে । নাহলে আমার মতো নাম না জানা আরো অনেক প্রতিভা অকালে ঝড়ে যাবে ।সবার ই বড় উদ্দেশ্য থাকে তোমাদের ভালোবাসা ।আর বলবো না । অার আমার মৃত্যুরহস্যের উদঘাটনের দায়ভার গ্রহন করেছে তোমাদের ভালোবাসা । দায়ভার নিয়েছে আমার ভারতমাতা । দায়ভার নিয়েছে দিদি সীমা সমরিধি ।দায়ভার নিয়েছে প্রতিবাদী দিদি কঙ্গনা রানাওয়াত।। মন খারাপ করো না আর ,সিনেমা দেখে আর জল ঝড়িয়ো না । এই ভারতবাসী আমায় যা দিলো তা অফুরন্ত । যদি ও বাস্তবতায় নেই , তবে কল্পনার মনে তো আছি ।অবশেষে আমি সুখী , অবশেষে আমি সুখী , অবশেষে জিতেছি আমি তোমাদের ভালোবাসা । প্লীজ এ ভালোবাসা থেকে কোনদিন ও বঞ্চিত করোনা আমাকে । তোমাদের ভালোবাসা যে আমি আকাশের তারা হয়েই দেখতে পাই । অভিযোগ করেছি বলে দূর করে দিও না ; সত্য শুনতে অনেক সময় দৃষ্টিকটু মনে হতে পারে । তাই ভালোবাসার মানুষদের প্রতি ক্ষমাপ্রার্থী , যদি না জেনে কোনরুপ কারো মনে আঘাত করে থাকি । বেঁচে থাকতে ও এটাই করে গেছি । শত আঘাত সহ্য করেও অভিযোগ করিনি । অন্যকে আঘাত না করেই নিজের স্বপ্নের জন্য ছুটেছি । বিজ্ঞান গবেষনা ভুললাম যে লড়াইয়ে , সেই লড়াই এ হারতে কে ই বা চাইবে । উজার করে দিয়েছি নিজেকে । এবার আমার বুকের ভালোবাসা ও তোমাদের জন্য উজার করে দিলাম । ভারতবাসী তোমারা এ তারার জগতে আমার সাথেই আছো । রাতের অন্ধকারে কখনো আধখানা চাঁদের দিকে তাকিয়ে আমায় ডেকো , আমি তোমার সাথে আবার কথা বলবো । তারপর ই যেন তারায় মিলিয়ে গেলো ।উল্লেখ্য এর আগে ও অভিনেতা ও সাধারণ মানুষ কে নিয়ে মনের ভাব প্রকাশ করে , প্রশংসা কুড়িয়েছেন লেখক সুজিত দেবনাথ নারায়ন । সম্প্রতি রাজ চক্রবর্তী কে নিয়ে সুজিত বাবুর লেখা”রাজকাহিনী ” সোশ্যাল সাইডে বহু ভাইরাল হয়। সুজিত বাবুর লেখা ” , ডাইরেক্টর রাজ চক্রবর্তী তার অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে পোস্ট করে সুজিত বাবু কে তার এই লিখার জন্য অনেক ভালোবাসা ও ধন্যবাদ জানিয়েছেন ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *