October 25, 2024

বর্ষায় স্বমহিমায় আত্রেয়ী, পূর্নভবা ও ইচ্ছামতি,আতঙ্কিত নদী তীরবর্তী এলাকাবাসী:

1 min read

বর্ষায় স্বমহিমায় আত্রেয়ী, পূর্নভবা ও ইচ্ছামতি,আতঙ্কিত নদী তীরবর্তী এলাকাবাসী

মান্না চন্দ, দক্ষিণ দিনাজপুর :গত তিন দিন ধরে প্রবল বর্ষনের ফলে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার আত্রেয়ী, পূর্নভবা ও ইচ্ছামতি নদী ফের উত্তাল হয়ে উঠেছে। ফলে নদীগুলির পার্শ্ববর্তী এলাকার বাসিন্দারা আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন। এবছর বর্ষার শুরুর দিকে বৃষ্টিপাতের মাত্রা অধিক হওয়াতে একাধিকবার জেলার নদীগুলি ভরে উঠে ও পার্শ্ববর্তী বেশ কিছু এলাকা জলমগ্ন হয়ে ওঠে।

তবে বৃষ্টিপাত হ্রাস পাওয়ায় নদীর জলস্তর কমতে থাকায় স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলে এলাকাবাসী। কিন্তু গত তিনদিন ধরে ধারাবাহিক ভাবে প্রবল বৃষ্টির ফলে আত্রেয়ী, পূর্নভবা ও ইচ্ছামতি নদী ফের উত্তাল হয়ে ওঠে ও নদীর উপকূলের কিছু কিছু এলাকায় জল ঢুকতে শুরু করে। সেই এলাকা গুলির মধ্যে অন্যতম হলো আত্রেয়ী নদীর পার্শ্ববর্তী কুমারগঞ্জের সাফানগর অঞ্চল, পূর্নভবা নদীর তীরে গঙ্গারামপুরের শুকদেবপুর,বেলবাড়ি, গোয়াল পাড়া ও ইচ্ছামতি নদীর তীরবর্তী বেশকিছু এলাকা।

আত্রেয়ী নদীর তীরবর্তী কুমারগঞ্জের বাসিন্দা তথা স্বনির্ভর দলের কর্মী যিনি পোলট্রি ফর্মের মুরগি খামার করে সরকারি ভাবে মুরগি সরবরাহ করে থাকেন সেই শ্রী কৌশিক সাহা জানান “গত তিন দিন ধরে প্রবল বৃষ্টির ফলে নদীর জল হঠাৎ করে এতটা পরিমাণে বৃদ্ধি পাবে তা পূর্বে অনুমান করতে না পারায় ফার্মে রাতে নদীর জল ঢুকে পড়ে এরফলে ফার্মে কয়েক হাজার মুরগি রাতারাতি মারা যায়। সাথে ফার্মে চাষরত কিছু ছাগল ও মারা যায়। এই অতর্কিত জল ঢোকার ফলে খামারের কোনো প্রানীকেই অন্যত্র সরানোর সুযোগ পাইনি।

 

 

যার এখন লক্ষাধিক টাকার লোকসানের মুখোমুখি দাড়িয়ে আছি।” তবে বিপদের এই মূহুর্তে স্থানীয় ব্লক পর্যায়ের তথা জেলা পর্যায়ের প্রানী আধিকারিকগন ড: কল্যাণ দে ও ড: সমীর কুমার মোদক এক্ষেত্রে সবরকম সাহায্যর হাত বাড়িয়ে দেবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন বলে জানান কৌশিক বাবু।বর্ষার এইবাকি দিনগুলিতে নদীমাতৃক জেলা হিসেবে পরিচিত দক্ষিণ দিনাজপুরের এই নদী গুলির উপকূলবর্তী এলাকাবাসীরা কিভাবে নদীগুলির জলরুদ্র রুপ গ্রহন করে তা দেখার বিষয়।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *