করোনা আবহে রায়গঞ্জ শহরে পথ চলতি মানুষ কে সজাগ করতে পুলিশের ভূমিকা।
1 min readকরোনা আবহে রায়গঞ্জ শহরে পথ চলতি মানুষ কে সজাগ করতে পুলিশের ভূমিকা।
জয়ন্ত বোস ও কৃতিমান বিশ্বাস, রায়গঞ্জ।আতঙ্ক কিছুতেই পিছু ছাড়ছে না তবুও জেনেশুনেও জনগন নিজেদের সুরক্ষিত রাখতে পারছে না।
কিন্তু সর্বস্তরের জনগনকে করোনা সংক্রমনের হাত থেকে সুরক্ষিত রাখতে ইতিমধ্যেই উত্তর দিনাজপুর জেলার সদর শহর রায়গঞ্জে পৌর প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, জেলা প্রশাসন এবং স্বাস্থ্য প্রশাসন যৌথ উদ্যোগে এক আলোচনা সভায় সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ইতিমধ্যে রায়গঞ্জ শহরে নতুন করে যেভাবে মানুষ করোনা ভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছেন সেখানে নতুন করে আরো সংক্রমন ছড়িয়ে না পরে তারজন্য সোমবার থেকে রায়গঞ্জ শহরে স্বাভাবিক জীবন যাত্রায় কিছুটা রাশ টানা হয়েছে প্রশাসনিক ভাবে।
এই উপলক্ষে প্রশাসনিক বার্তা দেওয়া হয়েছে সকলের উদ্দেশ্যে মুখে মাস্ক ব্যবহার বাধ্যতামূলক এবং সোশ্যাল দূরত্ব বজায় রাখার আহ্বান। বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া অযথা বাড়ির বাহিরে বের হয়ে বেশী লোকসমাগম না ঘটানো।
সকলকে সচেতন করার প্রয়াসে এরই আগাম প্রস্তুতি হিসেবে দেখা গেল রবিবার সকাল থেকেই রায়গঞ্জের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ রাস্তার পয়েন্টে রায়গঞ্জ থানার আই,সি সুরজ থাপার নেতৃত্বে বিশাল পুলিশ বাহিনী রাস্তায় মাস্ক বিহীন পথ চলতি জনগনকে সজাগ করছেন এমনকি জনগনকে মাস্ক ব্যবহার করার অনুরোধের পাশাপাশি পথ চলতি জনগনকে মাস্ক পরিয়ে দিয়ে এক নজীরবিহীন দৃষ্টান্তের সাক্ষী হয়ে রইলেন।
পুলিশ যে সমাজের শত্রু নয় , তারা পরম বন্ধু রবিবারে রায়গঞ্জ শহরের বিভিন্ন রাস্তার মোড়ে মোড়ে সেই চিত্র ফুটে উঠলো বর্তমানের কথা ফেসবুক লাইভে। এই পরিপ্রেক্ষিতে সকল স্তরের পথ চলতি মানুষ, দোকানদার একবাক্যে রায়গঞ্জ থানার পুলিশের ভুয়সী প্রসংশা করলেন এবং পুলিশের নিরলস এই সচেতনতামূলক কার্যক্রম কে কুর্নিশ জানালেন।
রায়গঞ্জ থানার আই,সি সুরজ থাপা প্রতিবেদক দের জানালেন তাদের একমাত্র লক্ষ্য কিভাবে মারন ভাইরাস করোনার হাত থেকে সকলকে সুরক্ষা রাখা যায় তার জন্যেই এই কর্মকাণ্ড। পাশাপাশি রায়গঞ্জ পৌর কর্তৃপক্ষ রায়গঞ্জ শহরের বিভিন্ন ওয়ার্ডে তাদের দৈনন্দিন পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন ও স্যানেটাইজেশন এর কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন বলে পথ চলতি রায়গঞ্জ শহরের বাসিন্দা ও দোকানদাররা জানালেন।
ইতিমধ্যেই রায়গঞ্জ জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর থেকেও করোনা পজিটিভ জনগনকে তাড়াতাড়ি সুস্থ করে তুলতে চিকিৎসার ত্রুটি রাখছেন না। রায়গঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার সুমিত কুমারের নেতৃত্বে একাধিক সচেতনতামূলক কার্যক্রমে রায়গঞ্জ থানার পুলিশ প্রশাসন যেভাবে নিজেদের জীবন বিপন্ন করে করোনা সংক্রমনের হাত থেকে সকলকে রক্ষা করতে সচেতনতামূলক কাজে ঝাঁপিয়ে পরেছেন তা নজীরবিহীন। এই পরিস্থিতিতে রবিবারের রায়গঞ্জ শহরে জনসমাগম নেই বললেই চলে। তবে সকলের বক্তব্য করোনা সংক্রমনের হাত থেকে রক্ষা পেতে গেলে নিজেদের সচেতন হওয়া একান্ত জরুরী। আর এই জরুরী ভিত্তিতে মুখে মাস্ক, সোশ্যাল দূরত্ব বজায় রাখা এবং স্যানেটাইজার ব্যবহার আবশ্যিক হয়ে পরেছে বলে সর্বস্তরের জনগণ মনে করছেন।