উত্তর দিনাজপুর জেলা আদালতে রায়গঞ্জে P.O.C.S.O মামলায় শাস্তি ঘোষণা।
1 min readউত্তর দিনাজপুর জেলা আদালতে রায়গঞ্জে P.O.C.S.O মামলায় শাস্তি ঘোষণা।
কৃতিমান বিশ্বাস ,রায়গঞ্জ।যৌন নিগ্রহ অত্যন্ত ঘৃণ্যতম ও দণ্ডনীয় অপরাধ। গত ইং ১০ জুলাই ২০২০ তে উত্তর দিনাজপুর জেলা আদালতে রায়গঞ্জে P.O.C.S.O মামলায় P.O.C.S.O আদালতের বিচারপতি শাস্তি ঘোষণা করেন । অভিযোগকারীনি গত ১৪ আগস্ট ২০১৬ তে হেমতাবাদ থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন যার কেস নং :- ২০৪/১৬, যেখানে অভিযোগকারীনি জানান যে তার ১৩ বৎসরের নাবালিকা কন্যা কে যৌন নিগ্রহ করার অভিযোগে অভিযুক্ত করেন তাদেরই এক প্রতিবেশী কে।
অভিযোগকারিণী এই অভিযোগের ভিত্তিতে হেমতাবাদ থানায় একটি মামলা রুজু করেন ।এবং সেই মামলায় চার বছর পরে আদালতের মাননীয়া বিচারপতি মহোদয়া শ্রীমতি ইন্দ্রিলা মুখোপাধ্যায় মিত্র এই মামলার মূল অভিযুক্তের বিরুদ্ধে গত ইং ১০ জুলাই ২০২০ তে শাস্তি ঘোষনা করেন। উক্ত মামলায় আসামি পক্ষের আইনজীবী ছিলেন শ্রী শুভঙ্কর দাস ও আইনজীবী শ্রী জয়ন্ত ব্যানার্জি ( রানা)। এই বিষয়ে Spl. P.O.C.S.O P.P তথা উত্তর দিনাজপুর জেলা বার এসোসিয়েশনের সম্মানীয় সভাপতি শ্রী শুভাশিষ পাল (শেখর) জানান যে গত ১৪ আগস্ট ২০১৬ তে উক্ত মামলার অভিযোগকারিণী হেমতাবাদ থানায় অভিযোগ দায়ের করেন এবং সেই অভিযোগে অভিযোগকারিণী জানান যে ঐদিন অর্থাৎ গত ১৪-০৬-২০১৬ তে অভিযোগকারিণী বিকেল ৩ টা নাগাদ বাড়ি ফিরছিলেন এবং তার বাড়িতে ছিল কেবলমাত্র ১৩ বছরের নাবালিকা কন্যা। বাড়িতে একা ঐ নাবালিকাকে পেয়ে তাদেরই এক প্রতিবেশী ১৩ বছরের নাবালিকা কন্যাকে যৌন নিগ্রহ করার চেষ্টা করেছিল। অভিযোগকারিণী তার মেয়ের চিৎকার শুনে ঘটনাস্থলে পৌঁছানো মাত্রই ঘটনাস্থল থেকে এই মামলার অভিযুক্ত আসামি পলায়ন করে। তার ১৩ বছরের নাবালিকা মেয়ের কাছ থেকে বিস্তারিত ভাবে সমস্ত ঘটনা শুনে অভিযুক্তর সঠিক শাস্তির দাবিতে অভিযোগকারিণী আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য হেমতাবাদ থানায় লিখিত অভিযোগ করেনএবং বর্তমান P.O.C.S.O আইন মোতাবেক ৩৭৬,৫১১ (IPC) ধারা এবং P.O.C.S.O ধারা ৮ দিয়ে হেমতাবাদ থানার পুলিশ মামলাটি শুরু করেন।সরকারি পক্ষ থেকে মোট ১০ জনের সাক্ষী নেওয়া হয়েছিল। এবং গত ১০ জুলাই মাননীয় আদালত মামলার মূল আসামি কে P.O.C.S.O আইন ধারায় চার বছরের জেল ,১০ হাজার টাকা ফাইন ও অনাদায়ে আরো ৬ মাসের সাজা ঘোষণা করেছেন। এই সাজা ঘোষণায় একদিকে যেমন উক্ত মামলায় অভিযোগকারিণী ও তার পরিবার আইনের উপর সম্পূর্ণভাবে আস্থা রেখে খুশী হয়েছেন তেমনি এই ধরনের জঘন্য অসামাজিক মূলক কার্যকলাপের বিরুদ্ধে নতুন বার্তা বহন করতে সক্ষম হয়েছে।