‘চাকরি ছেড়ে অবিলম্বে ত্রিপুরা ফিরে যান। সেটা না করলে বিপদে পড়বেন।’
1 min readরিয়া হক, মালদহ :-এমনই হুমকি পেতে হল এক অধ্যাপককে। যা নিয়ে ফের তোলপাড় গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়। পরীক্ষার ফল বিভ্রাট থেকে ছাত্র বিক্ষোভ, কখনও আবার কেন্দ্রীয় প্রকল্পের টাকা খরচ নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ। পদাধিকারীদের ঘনঘন ইস্তফা। একের পর এক বহু বিতর্কে জড়িয়েছে মালদহের এই বিশ্ববিদ্যালয়। এবার বিতর্ক একটু অন্য ধরণের।
এক অধ্যাপক চাকরি ছাড়লে অন্যজনের প্রমোশন জুটবে। আর এমন আকাঙ্খা থেকেই অধ্যাপককে হুমকি দিয়ে চাকরি ছাড়ানোর অপচেষ্টা চলছে বলে অভিযোগ ওঠায় সরগরম জেলার শিক্ষা মহলও।
গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক শুভময় চৌধুরীকে চাকরি ছেড়ে চলে যাওয়ার হুমকি দেওয়া হয়েছে বলে তিনি ইংলিশবাজার থানার পুলিশের কাছে একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। অধ্যাপক শুভময় চৌধুরীর অভিযোগ, বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের মধ্যেই তাঁকে চাকরি ছাড়ার জন্য হুমকি দেওয়া হয়েছে।
গত ২৮ ফেব্রুয়ারি তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগে কাজ করছিলেন। সেই সময় একজন যুবক তাঁর দফতরে আচমকা ঢুকে পড়ে। ওই যুবক তাঁকে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করার পাশাপাশি হুমকি দিয়ে বলে যে, এখানে তাঁকে চাকরি করতে দেওয়া হবে না। অধ্যাপককে তাঁর পুরনো কর্মস্থল ত্রিপুরায় ফিরে যেতে হবে। নইলে তাঁর পদেপদে বিপদ ঘটবে। এমনকী ওই যুবকটি অধ্যাপককে শাসিয়ে বলেছে, এটা তার ‘অর্ডার’। আর তার অর্ডারেই নাকি এখন গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় চলছে! মালদহের ইংলিশবাজার থানার পুলিশের কাছে পেশ করা অভিযোগপত্রে অভিযুক্ত যুবকের নাম উল্লেখ করেননি রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক শুভময় চৌধুরী। তবে তাঁর দাবি, ওই যুবককে তিনি চিনতে পেরেছেন। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে তিনি এই হুমকির বিষয়ে একটি অভিযোগ পেশ করেছেন।
সেখানে ‘হুমকিদাতা’ ও নেপথ্যে থাকা এক অধ্যাপকের নাম উল্লেখ করেছেন। সূত্রের খবর, অভিযুক্ত ওই যুবক তৃণমূলের জেলাস্তরের এক নেতার ঘনিষ্ঠ অনুগামী হিসাবে পরিচিত। গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের যেকোনও বিষয়েই শাসকদলের সেই গোষ্ঠী ছড়ি গোরাচ্ছে বলে অভিযোগ।
অধ্যাপক শুভময় চৌধুরীর জন্মভিটে মালদহতেই। ইংলিশব
াজার শহরের বুড়াবুড়িতলায় তাঁদের আদিবাড়ি। বর্তমানে তিনি ইংলিশবাজারের ২ নম্বর গভর্নমেন্ট কলোনির বাসিন্দা। দীর্ঘ প্রায় ১০ বছর ধরে শিক্ষকতা পেশায় রয়েছেন। প্রথম আড়াই বছর দার্জিলিং জেলার একটি কলেজে চাকরি করেন। তারপর ত্রিপুরা বিশ্ববিদ্যালয়ে টানা ৭ বছর চাকরি করার পর বছর খানেক আগে গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগে অ্যাসোসিয়েট প্রফেসর হিসাবে কাজে যোগ দেন। নিয়ম অনুযায়ী এখানে এক বছর কাজ করার পরই তাঁর চাকরির কনফার্মেশন হয়ে যাবে।
াজার শহরের বুড়াবুড়িতলায় তাঁদের আদিবাড়ি। বর্তমানে তিনি ইংলিশবাজারের ২ নম্বর গভর্নমেন্ট কলোনির বাসিন্দা। দীর্ঘ প্রায় ১০ বছর ধরে শিক্ষকতা পেশায় রয়েছেন। প্রথম আড়াই বছর দার্জিলিং জেলার একটি কলেজে চাকরি করেন। তারপর ত্রিপুরা বিশ্ববিদ্যালয়ে টানা ৭ বছর চাকরি করার পর বছর খানেক আগে গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগে অ্যাসোসিয়েট প্রফেসর হিসাবে কাজে যোগ দেন। নিয়ম অনুযায়ী এখানে এক বছর কাজ করার পরই তাঁর চাকরির কনফার্মেশন হয়ে যাবে।
এখনও তাঁকে সেই কনফার্মেশন দেওয়া হয়নি। তিনি চাকরি ছেড়ে দিলে অন্য কোনও অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসরের পদন্নতি পেতে সুবিধা হবে। সেই লক্ষেই তাঁর পিছনে দুষ্কৃতী লাগানো হয়েছে বলে অভিযোগ শুভময় চৌধুরীর। এক দল দুষ্কৃতী তাঁর বাড়িতে গিয়েও একই হুমকি দিয়ে এসেছে। সপরিবারে তিনি আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন। পুলিশের কাছে নিজের ও পরিবারের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার আবেদন জানিয়েছেন তিনি। এই ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও আধিকারিকরা। ইংলিশবাজার থানার আইসি পূর্ণেন্দু কুণ্ডু জানিয়েছেন, অধ্যাপকের অভিযোগটি পুলিশ খতিয়ে দেখছে। তদন্তসাপেক্ষে পরবর্তী পদক্ষেপ করবে পুলিশ।