পিয়া গুপ্তা  শুনেছেন কি কখন চায়ের দোকানে চৈত্রসেলহ্যা এবার আবাককরার মতো গল্পহলেও সত্যি একটিঘটনা সবার সামনেই ঘটতে চলেছে উত্তরদিনাজপুর জেলার কালিয়াগঞ্জ ব্লকের প্রতন্ত্য একটি গ্রামেযেখানে সারা চৈত্র মাস জুড়ে পাওয়া যাবে টাকায় ১কাপচা সাথে একটিবিস্কুট শুধু তাই নয় সারা চৈত্রমাস জুরেই দোকানের সামনে লিখা থাকবেগরীব টি স্টলতাই যে যেখানেই চা খাই না কেন ওই সময় একটুওই দোকানের চায়েরস্বাদ খেয়ে আসা যেতেই পারে প্রতিবছর চৈত্র মাসের সেল অফার দেওয়া হয় জামা কাপড়ের উপর


মানুষ অত্যন্ত কম দামে সেই জামাকাপড় কিনে দোকানে দোকানে ভীড় জমান কিন্তু এবার জামাকাপড় বাদেও একটুঅন্য স্বাদ পেতেচলেছে সাধারন মানুষচৈত্র সেলে টাকায় দুধ চায়েরসাথে বিস্কুট খেয়েআর মাত্র কয়েকটা দিন বাকি কিন্তু এত মধ্যেই হৈ হৈ কান্ড চায়েরদোকানদার কে নিয়ে আর চৈত্রমানেই পুরোনো কে বিদাই জানানোর পালা

গ্রামের মানুষদের বলতে শোনাগেল শুধু টাকাথাকলেই বড় মানুষের পরিচয় হয় না বড় মানুষের পরিচয়পাওয়া যায় বড় মন থেকে যে বড় মনের পরিচয়এবার দিতে যাচ্ছে এই
ায়ের
দোকানদার তাই সাধারন মানুষঅনেকদিন মনে রাখবে কালিয়াগঞ্জ ব্লকের প্রত্যন্ত একটি গ্রামের বলাইদাস তাই এখন তার দোকান সাজানোর প্রস্তুতি সেরে ফেলেছেন জোর কদমে ইতিমধ্যে তিনি গরীব টি স্টল নাম দিয়েফেল্কশ  বানানোর জন্যএকটি প্রেসে অডার দিয়ে দিয়েছেন বলাই দাস এক সাক্ষাৎকারে জানান,তার বাড়িতে টি গরু আছেসেই গরুরদুধ যেমন প্রতিদিন বাজারে বিক্রি করেনতেমনি সারাবছর সেই গরুর দুধ দিয়ে নিজের চায়েরদোকানের সামলান 

এবারতার মনে হয়েছেমানুষ সব যখন পারে তখন তিনি কেন পারবেনাতাই একটু অন্যরকম চায়ের দোকাননিয়ে এবার চৈত্রমাসে কিছু করারইচ্ছা আচ্ছে তার মানুষের মন জয় করার জন্য তাই সেই চিন্তা ভাবনাথেকেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি যে এবার চৈত্র সেলেমানুষ কে কাছেটানবেন  তার দোকানের চা খাইতে তাই তিনিএমন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি একটুরসিকতার সাথে বলেনচৈত্র মাসে যে চা মানুষকে খাওয়াবেন সেই চা খাওয়ার পর সাধারন মানুষকে আর ফিরে তাকাতে হবে না বৈশাখমাসে বেশী দাম হলেও সেই চা খেতে  তারা আসবেন তার দোকানে


তাই তিনি সকলকে অনুরোধ করেন চৈত্রের সেলেরজামা কাপড় কিনেতার দোকানের চা সাথে বিস্কুট খেয়েযাওয়ার জন্য মানুষের উদ্দ্যেগে কে সফল করে তুলবে বলে তার প্রত্যাশাতাই সবাই আসুন বলাই বাবুরচৈত্র সেলের চা খেয়ে যান

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *