সমস্ত শারীরিক প্রতিবন্ধকতাকে পেছনে ফেলে এবছর উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা দিচ্ছে রায়গঞ্জের শক্তিনগরের বাসিন্দা সোনু গুপ্তা
1 min readতন্ময় দাস, বর্তমানের কথা, রায়গঞ্জ: মঙ্গলবার থেকে শুরু হলো এবছরের উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা।পরীক্ষাকে ঘিরে কড়া নিরাপত্তার ব্যাবস্থা করেছে সংসদ।সমস্ত শারীরিক প্রতিবন্ধকতাকে পেছনে ফেলে এবছর মোহোনবাটী হাই স্কুল থেকে। মোহনবাটি হাই স্কুলের ছাত্র সোনুর এবছর উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার সিট পড়েছে কাশিবাটি বিবেকানন্দ উচ্চ বিদ্যাপীঠে। শারীরিক প্রতিবন্ধকতা যে একমাত্র বাধা হতে পারে না তা প্রমাণ করে দেখিয়ে দিচ্ছে রায়গঞ্জ শহরের শক্তিনগরের ছাত্র সোনু গুপ্তা।
তার বাবা বাবলু গুপ্তার বাড়িতেই রয়েছে ছোট্ট একটি মুদির দোকান। কোনরকমে দিন চলে তাদের। সোনুর একটি ছোট বোনও রয়েছে। ২০১৬ সালে মাধ্যমিক পরীক্ষায় ভালো ফলাফল নিয়ে উত্তীর্ণ হওয়ার পর জোরকদমে পড়াশোনা চালিয়ে যায় সোনু। পরিবারের আর্থিক দুরাবস্থার কারণে কলাবিভাগেই ভর্তি হয় সে। এলাকার কাউন্সিলার বরুণ ব্যানার্জী,রায়গঞ্জ শহরের বিশিষ্ট সমাজসেবী কৌশিক ভট্টাচার্য সহ অনেকেই তার দিকে সহযোগিতায় হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন বিভিন্ন ভাবে। বিদ্যালয়ে ও টিউশনে নিয়ে যাওয়া ও নিয়ে আসা থেকে শুরু করে যাবতীয় দায়িত্ব সামলাতে হয় বাবা বাবলু গুপ্তাকে। শারীরিক প্রতিবন্ধকতা থাকলেও ছেলেকে নানাভাবে উত্সাহিত করেছেন বাবলুবাবু। তার আশা সোনু একদিন নিজের পায়ে দাঁড়াবেই। আজ কাশিবাটি বিবেকানন্দ উচ্চ বিদ্যাপীঠে সোনু বাবার সাথে পরীক্ষা কেন্দ্রে পৌছালে তাকে সংবর্ধনা দেন সমাজসেবী কৌশিক ভট্টাচার্য। তিনি সোনুর সাফল্য কামনা করেন।পরীক্ষা কেন্দ্র থেকে বেরিয়ে সোনু জানায়,আজ বাংলা পরীক্ষা ভালোই হয়েছে আজ তাঁর। বৃহস্পতিবার রয়েছে ইংরাজী পরীক্ষা। তাই বাড়িতে ফিরেই ইংরাজী পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি শুরু করে। অন্যদিকে মোহনবাটী হাই স্কুলের শিক্ষক তীর্থ দাস জানান, একদিকে শারীরিক প্রতিবন্ধকতা এবং অন্যদিকে আর্থিক দুরাবস্থাকে আমল না দিয়েই সোনু পড়াশোনা চালিয়ে যাচ্ছে। তার এই জীবন সংগ্রাম কোনদিনই বিফলে যাবে না। সাফল্য তার আসবেই। আজ পরীক্ষা কেন্দ্রে বাবলুবাবুর পাশাপাশি তার স্ত্রীও সোনুর সাথে উপস্থিত ছিলেন।