
কালিয়াগঞ্জ মহেশডাঙ্গি জুনিয়র হাইস্কুলে সবকিছু থেকেও বন্ধ হবার পথে জেলা শিক্ষা দপ্তরের অবহেলায়
তপন চক্রবর্তী,কালিয়াগঞ্জ,২৫ এপ্রিল:স্রেফ প্রশাসনিক অবহেলায় উত্তর দিনাজপুর জেলার কালিয়াগঞ্জ ব্লকের মহেশডাঙ্গি জুনিয়র হাইস্কুলে বিদ্যালয়ের পুরু পরিকাঠামো থাকা সত্ত্বেও স্রেফ প্রশাসনিক কারনে এই মহেশ ডাঙ্গি জুনিয়র হাইস্কুলটি প্রায় বন্ধ হতে বসেছে।বিগত ৮ বছর ধরে এই বিদ্যালয়টি চালিয়ে যাচ্ছেন ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা মৌমিতা সরকার বলেন ২০২৫ সালে এই বিদ্যালয়ের ছাত্র ছাত্রীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে মাত্র ৫ জন।যার মধ্যে ষষ্ঠ শ্রেণীতে একজন সপ্তম শ্রেণীতে দুইজন এবং অষ্টম শ্রেণীতে দুইজন ছাত্রছাত্রী মিলে এই বিদ্যালয়ের পড়ুয়ার সংখ্যা বর্তমানে পাঁচজন। এই বিদ্যালয়ে আগে তিনজন শিক্ষিকা থাকলেও দুইজন বদলি হয়ে গেলেও পরবর্তীতে উত্তর দিনাজপুর জেলার শিক্ষা দপ্তরের পরিদর্শক তার কোন দায় দায়িত্ব ছিল না যে এই বিদ্যালয়টি চালাতে হবে।হয়তোবা জেলা শিক্ষা পরিদর্শকের মনেই ছিলনা শিখার এই ডামাডোলের অবস্থার কারণে।
এই বিদ্যালয় দ্বিতল ভবন মিড ডে মিলের ঘর বিদ্যালয়ের সাংস্কৃতিক মঞ্চ কি নেই সবকিছুই আছে শুধু শিক্ষিকা শিক্ষক নেই ছাত্রছাত্রীরা নেই। আর না থাকলেও চিন্তার কোন কারণ নেই জেলা শিক্ষা দপ্তরের হয়তোবা তাদের এই বিদ্যালয়ের কথা মনে নাও থাকতে পারে । এই বিদ্যালয়ে ভারপ্রাপ্ত দিদিমণি বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের পড়াশোনার কোন বালাই নেই তার সে মাস গেলেন পাচ্ছেন মোটা মাইনা। এই ভাবে বিদ্যালয়টি চলার ফলে এলাকার অভিভাবকরা তাদের ছেলেমেয়েদের এই বিদ্যালয় থেকে নাম কেটে অন্য বিদ্যালয়ে নিয়ে যাচ্ছে অথচ এই এলাকার যারা সরকার প্রতিনিধির দায়িত্বে আছেন তাদেরও কোন চিন্তা ভাবনা নেই।আসলে এই বিদ্যালয় থাকলেই কি কারো না থাকলেই বা কি সাথে তাদের কোন যায় আসে না। তাদের এসব নিয়ে কোন মাথা ব্যাথা নেই।জানা যায় মহেশডাঙ্গি যুনিয়ার হাইস্কুলে একজন কম্পিউটার ইন্সট্রাক্টর এবং একজন পিয়ন আছেন যাদের কাজই হচ্ছে বসে বসে মাইনা নেওয়া। আট বছর ধরে এই একই অবস্থায় যে বিদ্যালয়টি চলেছে এতদিন বাদে কালিয়াগঞ্জ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি হিরন্ময় সরকার বলেন তিনি মাধ্যমিক শিক্ষা দপ্তরের জেলা পরিদর্শককে এই বিদ্যালয়ের কথা জানাবেন বলে জানান।