ভারত বাংলাদেশের মৈত্রী বন্ধনে এবার ইন্টারন্যাশনাল হাট তৈরি হতে চলছে উত্তর দিনাজপুর জেলার মালোনে, পরিদর্শনে এলেন রায়গঞ্জের সংসদ ও প্রাক্তন মন্ত্রী দেবশ্রী
1 min readভারত বাংলাদেশের মৈত্রী বন্ধনে এবার ইন্টারন্যাশনাল হাট তৈরি হতে চলছে উত্তর দিনাজপুর জেলার মালোনে, পরিদর্শনে এলেন রায়গঞ্জের সংসদ ও প্রাক্তন মন্ত্রী দেবশ্রী
তপন চক্রবর্তী উত্তর দিনাজপুর,২৫,এপ্রিল:ভারত বাংলাদেশের মৈত্রী বন্ধনে এবার সীমান্ত এলাকার অর্থনীতির উন্নয়নে ভারত বাংলাদেশ সীমান্তে যৌথ ভাবে পাঁচটি ইন্টারন্যাশনাল হাট তৈরী হতে চলেছে ।এর মধ্যে উত্তর দিনাজপুর জেলার হেমতাবাদ ব্লকের মালন এর বাংলাদেশের জিরো পয়েন্টে এ পাইলট প্রকল্প হিসেবে প্রথম আন্তর্জাতিক সীমান্ত হাট চালুর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে।
আজ এই সীমান্ত এলাকার হাট নিয়ে পরিকাঠামো দেখতে সীমান্ত এলাকা গিয়ে খতিয়ে দেখেন রায়গঞ্জ এর সাংসদ তথা প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী দেবশ্রী চৌধুরী।যখন তিনি সীমান্ত এলাকায় গিয়ে সীমান্ত গেটের ওপাড়ে যান তখন সংসদ এর সাথে ছিলে সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর আধিকারিকরা।পড়ে এই প্রতিবেদক কে বলেন,এই আন্তরজাতিক হাট চালু হলে এই রাজ্যের যেমন বিভিন্ন সামগ্রী বিক্রী হবে তেমনি পাওয়া যাবে বাংলাদেশের সামগ্রী।
মূলতঃ বাজার তৈরীর জন্য দুই দেশের জমি অধিগ্রহন করা হবে। জিরো পয়েন্টে বাংলাদেশের ৭৫মিটার জমি ও পশ্চিমবঙ্গের ৭৫মিটার জমি অধিগ্রহন করে যৌথভাবে তৈরী হবে এই হাটবাজার।
দুই দেশের সীমান্ত এলাকার পাঁচ কিলোমিটারের মধ্যে বসবাসকারী বাসিন্দারা এই বাজারে তাদের পন্য সামগ্রী বিক্রী করতে পারবে। দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী থাকবে এর নিরাপত্তার দায়িত্বে। রায়গঞ্জ এর সাংসদ দেবশ্রী চৌধুরী বলেন আত্মনির্ভর ভারত গড়ার লক্ষ্যে মোদী সরকারের এমন উদ্যোগ। বাঙালিরা খুব সহজেই বাংলার ইলিশ পাবে। আর বাংলাদেশের বাসিন্দাও সহজে পশ্চিমবঙ্গের সামগ্রী পাবে।
এলাকার মানুষরা বলেন এমনটা হলে সীমান্ত অপরাধ অনেকটাই কমে যাবে। আত্মসামাজিক উন্নতি হবে। অর্থনৈতিক উন্নতি ঘটবে এলাকার বাসিন্দাদের। এমন বাজারে খুশি সীমান্ত এলাকার বাসিন্দারা।
তারা জানান জমিতে উৎপাদিত ফসল আর দুরে কোথাও নিয়ে যেতে হবে না। বাংলাদেশের কাপড় তারা ক্রয় করতে পারবে। সীমান্ত এলাকার পরিবর্তন ঘটবে।উল্লেখ্য এই হাট বাজারে কাঁচা সবজি ছাড়াও খাদ্যশস্য,মিষ্ট,মাছ,মাংস,ডিম যেমন বিক্রী হবে তেমন প্ল্যাস্টিকজাত সামগ্রী বিক্রী হবে। শুধ তাই নয় জামা ,কাপড় ,শাড়ি সহ একাধিক সামগ্রী বিক্রীর সুপারিশ রয়েছে সরকারী তালিকায়।