কোর্টে কাঁদলেন কুণাল, বললেন, ‘চিটফান্ড-ঘনিষ্ঠ এখন মন্ত্রী, উডবার্নে কয়েদী’, ওঁদের জেলে ভরুন
1 min readকোর্টে কাঁদলেন কুণাল, বললেন, ‘চিটফান্ড-ঘনিষ্ঠ এখন মন্ত্রী, উডবার্নে কয়েদী’, ওঁদের জেলে ভরুন
যত বলছেন ততই যেন তৃণমূলের অন্দরে বিরোধের ছবি প্রকট হচ্ছে! এসএসসি নিয়ে তাঁর মন্তব্যকে কেন্দ্র করে বিতর্কের মধ্যেই সোমবার সল্টলেকের এমপি-এমএলএ আদালতে কার্যত বিস্ফোরণ ঘটালেন রাজ্য তৃণমূলের অন্যতম সাধারণ সম্পাদক। আবেগপ্রবণ হয়ে কেঁদেও ফেললেন।এদিন আদালতে কারও নাম না করলেও কুণাল বুঝিয়ে দিলেন তাঁর নিশানায় কে বা কারা। সারদা মামলায় জেলে থাকার সময়ে কুণাল আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন বলে অভিযোগ। ঘুমের ওষুধ খেয়েছিলেন তিনি। সেই মামলাতেই এদিন এমপি-এমএলএ কোর্টে হাজিরা দেন কুণাল। তিনি বলেন, ‘আইকোর মডেলকে যিনি তুলে ধরেছিলেন, আইকোরের মঞ্চে উঠে বক্তৃতা করেছিলেন তিনি আজ মন্ত্রী।
তিনিই তখন আমাকে পাগল বলেছিলেন। তিনি এখন দিব্যি ঘুরে বেড়াচ্ছেন। তাঁকে ঘাড় ধরে জেলে ঢোকানো উচিত।”এখানেই কি শেষ? এরপর কুণাল বলেই চলেন। বলেন, তিনি কখনও সিবিআইকে এড়িয়ে যাননি। যখন ডেকেছেন তদন্তকারীরা তখনই হাজিরা দিয়েছেন। কুণালের কথায়, ‘এসএসকেএম হাসপাতালের উডবার্ন ওয়ার্ড এখন কয়েদীদের জায়গা।’ এখন প্রশ্ন হচ্ছে আইকোর প্রসঙ্গ আর উডিবার্নের কথা তুলে কুণাল কাদের নিশানা করতে চাইলেন? অনেকের মতে, আইকোর মামলায় নাম রয়েছে রাজ্যের শিল্প ও পরিষদীয় মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের।
তাঁকে তদন্ত এজেন্সি তলবও করেছিল। আর গরু পাচার মামলায় সিবিআই দফতরে যেতে গিয়েও অসুস্থ হয়ে এসএসকেএম হাসপাতালের উডবার্ন ওয়ার্ডে চিকিত্সাধীন তৃণমূলের বীরভূমে জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। ঘটনা হল সম্প্রতি এই দু’জনের সম্পর্কে মন্তব্য করেই সংঘাতের আবহ তৈরি করেছেন কুণাল। বগটুই কাণ্ড নিয়ে বলেছিলেন, ‘অনুব্রত মণ্ডল বেশি বোঝেন। উনি বড় নেতা।’ পাল্টা অনুব্রত বলেছিলেন, ‘কে কুণাল?’ গত সপ্তাহে এসএসসি দুর্নীতি নিয়ে কুণালের মন্তব্য তোলপাড় ফেলে দিয়েছিল। কুণাল বলেছিলেন, এসএসসির দুর্নীতি পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের আমলে হয়েছিল, ব্রাত্য বসুর সময়ে নয়। তারপর পার্থর পাশে ববি হাকিমের দাঁড়ানো, পার্থর নাকতলার বাড়িতে কুণালের ছুটে যাওয়া, রবিবার ববির বিরুদ্ধে তৃণমূল মুখপাত্রর ফের তোপ দাগা—সব মিলিয়ে গোটা ব্যাপারটা ঘেঁটেই ছিল। এদিন সেটাকে যেন আরও অন্যমাত্রা দিলেন কুণাল।