নবম ও দশম শ্রেণির সহকারী শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি নিয়েও সিবিআই তদন্তের নির্দেশ হাইকোর্টের
1 min readনবম ও দশম শ্রেণির সহকারী শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি নিয়েও সিবিআই তদন্তের নির্দেশ হাইকোর্টের
কলকাতা হাইকোর্টে ফের বড় ধাক্কা খেল নবান্ন (Nabanna)। গ্রুপ ডি নিয়োগে দুর্নীতির তদন্তভার কদিন আগেই সিবিআইয়ের (CBI) হাতে তুলে দিয়েছে উচ্চ আদালত (SSC High Court)। বৃহস্পতিবার বিচারপতি অভিজিত্ গঙ্গোপাধ্যায় তাঁর রায়ে জানিয়ে দিলেন, নবম ও দশম শ্রেণির জন্য সহকারী শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়াতেও স্বচ্ছতার অভাব রয়েছে বলে তিনি মনে করছেন।এই মামলার তদন্তও করবে সিবিআই। আদালতের তরফে সিবিআইকে বলা হয়েছে নবম দশম শ্রেণির সহকারী শিক্ষক নিয়োগ মামলায় বৃহস্পতিবারই এফআইআর দায়ের করতে হবে। প্রাথমিক রিপোর্ট জমা করতে হবে শুক্রবার। সহকারী শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে হাইকোর্টে পৃথক মামলা দায়ের হয়েছে।
সেই মামলার শুনানি ছিল এদিন (SSC High Court)। ওই মামলার শুনানির পর বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় মামলাকারীদের নির্দেশ দিয়েছেন, তাঁরা যেন এ ব্যাপারে যাবতীয় নথি সিবিআইয়ের হাতে তুলে দেয়। এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে ২৭ এপ্রিল। নবম ও দশম শ্রেণির সহকারী শিক্ষকের দুর্নীতি মামলা নিয়ে হাইকোর্টে মামলা করেছিলেন অনিন্দিতা বেরা। ইংরেজির সহকারী শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছেন তিনি। সেই প্রসঙ্গে আরও ২৭টি উদাহরণ এদিন তুলে ধরা হয় আদালতের কাছে।
মামলাকারী সরাসরি কাঠগড়ায় তুলেছেন এসএসসির প্রাক্তন উপদেষ্টা শান্তিপ্রসাদ সিনহাকে, বলেছেন তিনি ডাহা মিথ্যে বলছেন। আদালতকে এসপি সিনহারা ভুল পথে চালিত করছেন বলে এদিন হাইকোর্টে দাবি করেছেন মামলাকারীরা। এদিকে গ্রুপ ডি নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে ইতিমধ্যে স্কুল সার্ভিস কমিশনের (SSC High Court) প্রাক্তন উপদেষ্টা শান্তিপ্রসাদ সিনহা ও কমিটির বাকি চার সদস্যকে জেরা করেছে সিবিআই।
তাঁদের জেরা করে সিবিআই প্রাথমিক ভাবে যা জানতে পেরেছে তা শুক্রবার আদালতে পেশ করতে হবে কেন্দ্রীয় এজেন্সিকে। এমনিতে স্কুল সার্ভিস কমিশনের মাধ্যমে শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে অভিযোগের অন্ত নেই। এই দুই মামলা ছাড়াও হাইকোর্টে আরও কিছু মামলা ঝুলছে। সে সবেরই তদন্ত ক্রমে সিবিআইয়ের হাতে যাবে কিনা তা নিয়ে এখন কৌতূহল তৈরি হয়েছে। সিবিআই তদন্তের ব্যাপারে হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চ তথা অভিজিত্ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে গিয়েছিলেন উপদেষ্টা কমিটির সদস্যরা। কিন্তু তাতে খুব একটা স্বস্তি তাঁরা পাননি। এখন দেখার বৃহস্পতিবার কলকাতা হাইকোর্ট যে নির্দেশ দিয়েছেন, তাও চ্যালেঞ্জ করে কিনা স্কুল সার্ভিস কমিশন।