চলছে চায়ের পেয়ালায় তুফান,ধরা হচ্ছে মোটা অঙ্কের বাজি,কে হতে চলেছে কালিয়াগঞ্জের প্রথম নাগরিক
1 min readচলছে চায়ের পেয়ালায় তুফান,ধরা হচ্ছে মোটা অঙ্কের বাজি,কে হতে চলেছে কালিয়াগঞ্জের প্রথম নাগরিক
তপন চক্রবর্তী,কালিয়াগঞ্জ,৫ মার্চ:বুধবার উত্তর দিনাজপুর জেলার কালিয়াগঞ্জ পৌর ভোটের ফলাফল ঘোষণা হতেই শহরের হাটে বাজারে,চায়ের দোকনে একটাই আলোচনার বিষয় কে পেতে চলেছেন পাঁচবছর জন্য কালিয়াগঞ্জ এর এক নম্বর নাগরিকের সন্মান।বুধবার এই প্রথম সবুজ ঝর কালিয়াগঞ্জ শহরের উপর দিয়ে বয়ে গেছে। ১৭টিতে ১০টি শাসক তৃণমূল দল,৬ টি গেরুয়া শিবির এবং ১টি নির্দল এর ঝুলিতে গেছে। সংখ্যাগরিষ্ঠতা একক ভাবে পেয়ে গেছে এবারই কালিয়াগঞ্জ পৌর সভায় প্রথম শাসক তৃণমূল দল।এই মুহূর্তে শাসক তৃণমূল দলের প্রথম ও প্রধান কাজের সাথে চ্যালেঞ্জ নিতে হবে আগামী পাঁচ বছর সুষ্ঠভাবে নাগরিক পরিষেবার।সেই পরিষেবার গুরু দায়িত্ব পালন করবার মত ব্যাক্তিটি কে।
সবার লক্ষ্য একটাই।তাকিয়ে আছে সেই যোগ্য মানুষটিকে দেখার অপেক্ষায় কালিয়াগঞ্জ পৌর শহরের উৎসুক মানুষজন।বুধবার পৌর ভোটের ফল প্রকাশের পর দেখা যায় ১৭ নম্বর ওয়ার্ড থেকে এবার দিয়ে ৬,বারের জয়ী তথা প্রাক্তন উপ পৌর পিতা ও বিদায়ী পৌর প্রশাসক মন্ডলীর উপ পৌর প্রশাসক বসন্ত রায় জয়ী হয়েছেন।বসন্ত বাবু মৃদুভাষী,পৌর সভার অভিজ্ঞ্ তার নিরিখে তার নাম সম্ভাব্য পৌর পিতা হবার আলোচনায় উঠে এসেছে। উঠে এসেছে শাসক দলের আনকোরা নুতন মুখ হিসাবে ১৫নম্বর থেকে শাসক দলের জয়ী প্রার্থী রাম নিবাস সাহার নাম।
রাম নিবাস বাবু এই প্রথম রাজনীতিতে এলেও সমাজসেবার কাজে যথেস্টই অভিজ্ঞ।এছাড়া একজন ভালো মানুষ ও স্বচ্ছ ভাবমূর্তির মানুষ বলেই তার ব্যাপক পরিচিতি আছে।জানা যায় ১৩নম্বর ওয়ার্ডের জয়ী শাসক তৃণমূল প্রার্থী তথা বিদায়ী পৌর প্রশাসক মন্ডলীর উপ পৌর প্রশাসক ঈশ্বর রজক। জানা যায় কালিয়াগঞ্জ তৃণমূল দলের পক্ষ থেকে তিন জনের সম্ভাব্য পৌর পিতার নামের একটি তালিকা রাজ্য স্তরে পাঠানো হলেও এই পাঠানো তালিকার মধ্যে থেকেই যে পৌর পিতা ও উপ পৌর পিতার নাম কার্যকর হবে এমনটি নিশ্চিত ভাবে নাকি বলা যাবেনা। আর এই নিয়েই কালিয়াগঞ্জ শহরে চলছে মোটা অংকের বাজি ধরার খেলা।কালিয়াগঞ্জ অধিকাংশ মানুষের মুখে একটাই আলোচনা। কারন হিসাবে চায়ের পেয়ালায় অথবা হাটে বাজারে ও শহরের বিশিষ্ট মানুষজন বলছে অপেক্ষা করুন খেলা হতে যাচ্ছে।তাদের বিশ্বাস কালিয়াগঞ্জ পৌর নির্বাচনে বিজেপি দল থেকে যারা জয়ী হয়েছেন তাদের মধ্যে থেকে তৃণমূল দলে যে যাবেনা এমন কোন গ্যারান্টি নেই। আর বিজেপি থেকে তৃণমূলে গেলেই শাসক তৃণমূল দলের পাঠানো পূর্বের তালিকার কোন গুরুত্ব থাকবেনা বলেই অনেকেরই ধারনা। শেষ মুহূর্তে দাবার গুটির চালে কে আসবে আর কে চলে যাবে সেই মুহূর্তের জন্য অপেক্ষা করতেই হবে।যদিও কালিয়াগঞ্জ এর শাসক তৃণমূল দল এবং বিজেপির নেতারা মুখে কুলুপ এঁটে বসে আছে। কারো মুখে নেই কোন কথা।