December 25, 2024

কালিয়াগঞ্জ এর বিধায়ক সৌমেন রায় কে ছাড়াই পিকনিক করল কালিয়াগঞ্জ শহর তৃণমূল নেতৃত্ব।

1 min read

কালিয়াগঞ্জ এর বিধায়ক সৌমেন রায় কে ছাড়াই পিকনিক করল কালিয়াগঞ্জ শহর তৃণমূল নেতৃত্ব।

তন্ময় চক্রবর্তী ।।।।বিধায়ককে ছাড়াই পিকনিক করল কালিয়াগঞ্জ এর তৃণমূল নেতৃত্ব। শহর জুড়ে তীব্র গুঞ্জন তৃণমূল স্তরের কর্মীদের মধ্যে । পৌরসভা নির্বাচনের দিন যতই এগিয়ে আসে ততই যেন কালিয়াগঞ্জ শহর তৃণমূল নেতৃত্ব বিতর্কিত ঘটনা ঘটিয়ে খবরের শিরোনামে চলে আসছে প্রতিনিয়ত। কখনো তৃণমূল স্তরের কর্মীদের গর্জন চরম আকার নিচ্ছে। কখনো আবার তৃণমূলের দলীয় কর্মীরা সম্মান পাচ্ছেন না দলের মধ্যে এই নিয়ে চলছে চরম প্রতিবাদ  চলছে দলের অন্দরে ই । কখনো আবার পৌরসভার একতরফা সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সরব হচ্ছে প্রশাসন শচীন সিংহ রায়ের উপর প্রশাসক মন্ডলীর সদস্যরা সরব হছেন ।

এর ফলস্বরূপ পৌরসভার বোর্ড মিটিংয়ে প্রশাসক মন্ডলীর সদস্য উপস্থিত হচ্ছেন না কখনো। ফলে দলের অন্দরে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব এই মুহুর্তের চরম আকার নিয়েছে। অনেককে ঠাট্টা করে বলতে শোনা যাচ্ছে যেভাবে পৌরসভার চলছে তাতে মনে হচ্ছে পৌর প্রশাসক তার নিজের সম্পত্তি মনে করছেন পৌরসভাকে। আর তাই নিজের খেয়াল-খুশি মতো চালাচ্ছেন পৌরসভার পৌর প্রশাসক। আর যার ফলে প্রতিনিয়ত প্রশাসক সচিন সিংহ রায়ের সিদ্ধান্তের তীব্র প্রতিবাদ করে যাচ্ছেন প্রশাসক মন্ডলীর অন্যতম সদস্য রাজীব সাহা, কমল ঘোষ এবং বসন্ত রায়।

বারেবারে জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব কালিয়াগঞ্জ গেলেও এই চরম গোষ্ঠী দ্বন্দ্ব মেটাতে ব্যর্থ হয়ে ফিরে যেতে হয়েছে । এরই মাঝে গতকাল আবার রাতে তৃণমূল শহর কংগ্রেসের নেতৃত্বে একটি পিকনিকের আয়োজন করা হয় সেখানে ও  আবার নাকি বিতর্ক দেখা দিয়েছে সেই পিকনিক কে কেন্দ্র করে। তার কারণ একটাই জেলা নেতৃত্ব যখন বারেবারে বলছেন বুথের কর্মীরা আমাদের প্রকৃত সম্পদ এরাই ভোট করায় ভোটের দিন।

কিন্তু গতকালের পিকনিকে দেখা গেল অনেক বুথ স্তরের  কর্মীরাই সেখানে ঠাঁই পেলেন না। ফলের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কর্মীরা বলেন আমরা দলের প্রতিষ্ঠাতার প্রথম দিন থেকে দল করলেও এখন আর আমরা দলে সম্মান পায় না। এখন ডিজিটাল কায়দায় কালিয়াগঞ্জ তৃণমূল কংগ্রেস চলছে। যা রাজ্যের অন্যান্য জেলা থেকে একটু আলাদাভাবে।

এখানে কেউ কারো কথার গুরুত্ব দেয় না। নিজেরা নিজেদের মর্জিমাফিক সিদ্ধান্ত নেন। যার ফলস্বরূপ অনেক সময় তৃণমূল কংগ্রেসকে হতাশ হতে হয়েছে কর্মীদের দাম না দেওয়ার ফলে। আর তাই না হলে যখন পিকনিক করা হচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে তখন আমরা বঞ্চিত থেকে গেলাম কেন।

এই পিকনিকে কর্মীদের থেকে তৃণমূলের নেতাদের সংখ্যাই বেশি দেখা গেল। অনেক বুথ স্তরের  কর্মীরাই বঞ্চিত থেকে গেলেন। অন্যদিকে গত কালকের পিকনিক কে কেন্দ্র করে আরও একটি বিতর্ক সৃষ্টি হয় যা  রীতিমতো চিন্তার ভাঁজ ফেলে দিয়েছে ইতিমধ্যে কালিয়াগঞ্জ শহর তৃণমূল কংগ্রেসের নেতৃত্ব দের মধ্যে। তার কারণ একটাই বর্তমান  বিধায়ককে ছাড়াই এখানে পিকনিক করল তৃণমূল কংগ্রেস।

তৃণমূল কর্মীরা এটাকে ভাল চোখে মেনে নিতে পারেননি। তাদের একটাই কথা আমাদের কালিয়াগঞ্জ এর বিধায়ক সৌমেন রায় কে বাদ দিয়ে কেন করা হল পিকনিক। সেখানে তো প্রাক্তন বিধায়ক তপন দেব সিংহ থেকে তৃণমূলের শহর ও গ্রামের সব নেতৃত্ব উপস্থিত ছিল কিন্তু শুধুমাত্র বাদ পরল বর্তমান বিধায়ক সৌমেন রায়।

তৃণমূলের কর্মীদের মধ্যে অনেকেই আজ সকালে এই প্রতিবেদককে টেলিফোন করে বলেন এখন কালিয়াগঞ্জ শহরে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে ভরে গিয়েছে।  কি করতে হবে আর কি করতে হবে না সেটা তারা বুঝতে পারছে না।

বিধায়ক যেহেতু তার বাড়ি ফালাকাটায় গিয়েছেন তাই তিনি কালিয়াগঞ্জ আসলেই তখনই পিকনিক করতে পারতেন কালিয়াগঞ্জ শহর তৃণমূল কংগ্রেস। । আর তখন সকলের উপস্থিতিতে দলের একটা ভালো বার্তা পৌঁছে যেত সবার মধ্যে।

কিন্তু এটা না করে বিধায়ক কে বাদ দিয়ে পিকনিক করে নতুন করে আবারও যে দলের মধ্যে অন্তর্দ্বন্দ্ব প্রকাশ পেল কালিয়াগঞ্জে তার কিন্তু পরিষ্কার ফুটে উঠল। এখন দেখার বিষয় আগামী দিনে তৃণমূল কংগ্রেসের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের আকার কোন পর্যায় যায় সে দিকে তাকিয়ে রয়েছেন তৃণমূলের বহু কর্মীরাই।এদিকে করোনা দ্রুত সংক্রমণের বিরুদ্ধে রাজ্য সরকারের সচেতনতায় আংশিক লকডাউন শুরুর আগের দিন রাতে মহাধুমধামে কালিয়াগঞ্জ শহর তৃণমূল কংগ্রেসের কার্যালয় এর আসর বসাতে অনেকেই হতবাক হয়ে গিয়েছেন।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *