পৌর প্রশাসন এর মঞ্চে থেকে মাইকে কালিয়াগঞ্জ পৌরসভা ও তৃণমূল কংগ্রেসের প্রচার হওয়ায় ক্ষুব্ধ কালিয়াগঞ্জ এর সাধারণ মানুষ।
1 min readপৌর প্রশাসন এর মঞ্চে থেকে মাইকে কালিয়াগঞ্জ পৌরসভা ও তৃণমূল কংগ্রেসের প্রচার হওয়ায় ক্ষুব্ধ কালিয়াগঞ্জ এর সাধারণ মানুষ।
তনময় চক্রবর্তীকালিয়াগঞ্জ পৌরসভার পক্ষ থেকে সমগ্র কালিয়াগঞ্জ বাসিকে জানাই ছট পুজোর অভিনন্দন। পাশাপাশি অভিনন্দন জানাই বিদ্যুৎ দপ্তর কে এবং দমকল বাহিনীকে। সবাই করোনা সতর্কতা বিধি মেনে চলুন। এরপর অনুষ্ঠান প্রচারে বিঘ্ন ঘটায় আমরা দুঃখিত। হ্যাঁ এটা বলতে চেয়েছি এই কারণেই আজ যখন কালিয়াগঞ্জ শ্রীমতি ঘাটে ছট পুজো চলছিল ঠিক তখন কালিয়াগঞ্জ পৌর প্রশাসন এর পক্ষ থেকে যখন মাইকিং করা হচ্ছিল। তখন দেখা গেল মাইকে এই কথাগুলো বলতে। এই কথাগুলো বলার পর আবার বলতে শোনা গেল মাইকে কালিয়াগঞ্জ বাসিকে কালিয়াগঞ্জ শহর তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে অভিনন্দন জানাই সৌজন্যে সুজিত সরকার কালিয়াগঞ্জ শহর তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি।
হ্যাঁ এমন ভাবেই প্রচার হচ্ছিল মাইকে কালিয়াগঞ্জ এর শ্রীমতি ঘাটে ছট পূজা কে কেন্দ্র করে পৌরসভার পক্ষ । পথচলতি অনেক মানুষ তখন নিজেদের মধ্যে বলাবলি করছিল যে পৌরসভা তো একটা প্রশাসন তা হলে প্রশাসনের প্রচার করতে গেলে কি শেষে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রচার করতে হবে এমনটাই কি নির্দেশ এসেছে নবান্ন থেকে। পথচলতি মানুষরা ঠাট্টা তামাশা করতে করতে বলতে বলতে যাচ্ছিল কালিয়াগঞ্জ পৌরসভা যেভাবে চলছে তাতে তারা নিজেরাই গুলিয়ে ফেলছে কোনটা প্রশাসন কোনটা দল। আর তা না হলে প্রশাসনের প্রচারে কিভাবে তৃণমূল কংগ্রেসের নাম ব্যবহার করতে পারে তারা।
অনেকেই এই ঘটনার জন্য কালিয়াগঞ্জ এর বর্তমান তৃণমূল নেতৃত্ব কেই দায়ী করেছে। তাদের বক্তব্য কালিয়াগঞ্জ শ্রীমতি ঘাটে যখন প্রশাসনের পক্ষ থেকে বা পৌরসভার পক্ষ থেকে জনগণের উদ্দেশ্যে বার্তা দেওয়া হচ্ছে তখন সেখানে নিরপেক্ষভাবে বার্তা দেওয়া উচিত ছিল। তা না করে পৌরসভার প্রচার করা হলো তৃণমূল কংগ্রেসের ব্যানারে।
ছট পূজা কে কেন্দ্র করে রাজনীতি। অনেক পথচলতি মানুষ কে বলতে শোনা গেল রাজ্যে এখন যে সমস্ত পৌরসভা গুলি রয়েছে তারমধ্যে কালিয়াগঞ্জ পৌরসভা উল্লেখযোগ্যভাবে প্রতিনিয়ত নানান ধরনের ঘটনা ঘটিয়ে ইতিমধ্যে নজর কেড়ে ফেলেছে। আর যদি তাই না হতো তাহলে কালিয়াগঞ্জ এর শ্রীমতি ঘাটে কালিয়াগঞ্জ পৌরসভা ও তৃণমূল কংগ্রেসের নামে জনগণের উদ্দেশ্যে বার্তা একই মঞ্চ থেকে তারা দিতে পারত না। কারণ প্রশাসন এক জিনিস দল আরেক জিনিস।
অনেক মানুষকে বলতে শোনা গেল তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে তারা মানুষকে সচেতন করতেই পারতেন এবং অভিনন্দন জানাতে পারতেন তবে পৌরসভার সঙ্গে নয় আলাদা ভাবে। শুধু তাই নয় কালিয়াগঞ্জ এর শ্রীমতি ঘাটে আরেকটি নক্কারজনক ঘটনা ঘটিয়ে ইতিমধ্যে কালিয়াগঞ্জ শহর তৃণমূল কংগ্রেস খবরের শিরোনামে চলে এসেছে। সেই ঘটনাটি হল শ্রীমতি ঘাটে কালিয়াগঞ্জ এর শহর তৃণমূল সভাপতি সুজিত সরকার, প্রাক্তন বিধায়ক তপন দেব সিংহ, বর্তমান কালিয়াগঞ্জ পৌরসভা র প্রসাশক শচীন সিংহ রায়ের ছবি লাগানো ফ্লেক্স এর মাধ্যমে ছট পুজো উপলক্ষে জনগণের উদ্দেশ্যে শুভেচ্ছা বার্তা দেওয়া হলেও সেখানে আশ্চর্যজনকভাবে স্থান পেল না কালিয়াগঞ্জ এর জনপ্রিয় বিধায়ক সৌমেন রায়।এখানেই প্রশ্ন তবে কি মন থেকে এখনো বিধায়ক সৌমেন রায় কে কালিয়াগঞ্জ এর তথাকথিত তৃণমূল নেতৃত্ব মেনে নিতে পারেননি নাকি এর পিছনে অন্য কোন রহস্য রয়েছে। তা না হলে প্রাক্তন বিধায়ক এর জায়গা হলেও বর্তমান বিধায়ক সৌমেন রায় এর জায়গা হল না কেন শ্রীমতি ঘাটে ছট পুজো তে। এই ঘটনা সামনে আসতেই তৃণমূলেরই অনেক নেতাকর্মীরা অবাক হয়ে গিয়েছেন। তার তীব্র নিন্দা করে বলেন ,বিধায়কের শুভেচ্ছা বার্তা শ্রীমতি ঘাটে আর পাঁচজনের মতন করেই দেওয়া উচিত ছিল। তিনি তো বিধানসভার একজন আইনপ্রণেতা। তার হাত ধরে আগামী দিনে কালিয়াগঞ্জ অনেক বড় বড় কাজ হতেই পারে। তাই বিধায়কের জায়গা না পাওয়াটা সত্যি খুবই দুঃখজনক ঘটনা। তাই ছট পুজো কালিয়াগঞ্জ সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হলেও কালিয়াগঞ্জ এর তৃণমূল নেতৃত্তের বিভিন্ন ধরনের কার্যকলাপ এর মাধ্যমে নতুন করে শহরে তৃণমূল কংগ্রেসের মধ্যে যে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব শুরু হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে সেই ব্যাপার কিন্তু কোন সন্দেহ নেই। সামনেই পৌরসভা নির্বাচন। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যখন সকলকে নিয়ে কাজ করার মানসিকতা নিয়ে এগিয়ে যাওয়ার বার্তা নিচুতলার কর্মীদের দিচ্ছেন ঠিক তখন উল্টো ছবি ধরা পরল কালিয়াগঞ্জ শহরে তৃণমূল কংগ্রেস এর সৌজন্যে। এখন দেখার পালা ছট পূজা কে সামনে রেখে যেভাবে অসৌজন্য র রাজনীতির ছবি ধরা পরল কালিয়াগঞ্জ শহরে তৃণমূল কংগ্রেসের উদ্যোগে তার ক্ষতের প্রলাপ কিভাবে মেটাবে তারা সেটাই এখন দেখার বিষয়।