কালিয়াগঞ্জে বিজেপির ধস নামিয়ে অনন্তপুর গ্রাম পঞ্চায়েত আবার তৃণমূল দখল নিতে চলেছে
1 min readকালিয়াগঞ্জে বিজেপির ধস নামিয়ে অনন্তপুর গ্রাম পঞ্চায়েত আবার তৃণমূল দখল নিতে চলেছে
তপন চক্রবর্তী, কালিয়াগঞ্জ,২৬ অক্টোবর:উত্তর দিনাজপুর জেলার কালিয়াগঞ্জ ব্লকের বিজেপির গ্রাম পঞ্চায়েতগুলি একের পর এক দখল নিতে তৃণমূল মরিয়া হয়ে মাঠে নেমে পড়েছে।এবার কালিয়াগঞ্জ ব্লকের ১ নম্বর অনন্তপুর গ্রাম পঞ্চায়েত দখল করতে ইতিমধ্যেই বিজেপি পরিচালিত অনন্ত পুর গ্রাম পঞ্চায়েতে ধস নামানোর প্রক্রিয়া তৃণমূলের পক্ষ থেকে শুরু করা হয়েছে বলে তৃণমূল দলীয় সূত্রে জানা যায়।এদিন অনন্তপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বিজেপি সদস্য রাম চরণ হেমরম কালিয়াগঞ্জের তৃণমূলের দলীয় কার্যালয়ে এসে তৃণমূলের কালিয়াগঞ্জ ব্লক সভাপতি নিতাই বৈশ্য ও কালিয়াগঞ্জ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি দীপা সরকারের হাত থেকে তৃণমূলের দলীয় পতাকা গ্রহণ করে তৃণমূলে যোগদান করেন।দল বদলের পূর্বে কালিয়াগঞ্জ অনন্তপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের পঞ্চায়েত উপ সমিতির সঞ্চালক কমিটির বিরুদ্ধে অনাস্থা পেশ করেন তৃণমূলের সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যরা কালিয়াগঞ্জ বিডিও অফিসে।কালিয়াগঞ্জ ব্লকের অনন্তপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা আনার আগে অনন্তপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের উপ সমিতির দখল নেবার তোড়জোড় শুরু হয়ে যায়।জানা যায়
কালিয়াগঞ্জ ব্লকের বিজেপি পরিচালিত গ্রাম পঞ্চায়েতের মোট সদস্য সংখ্যা-১৬ জন।জানা পঞ্চায়েতের আইন অনুযায়ী তৃণমূল কংগ্রেসের তিনজন নির্বাচিত পঞ্চায়েত সদস্য ভোট দানে অংশ নিতে পারবে।হিসাব অনুযায়ী গ্রাম পঞ্চায়েতের উপ সমিতি দখল নিতে হলে ম্যাজিক ফিগার প্রয়োজন ১০জন।জানা যায় ইতিমধ্যেই তৃণমূলের সেই ম্যাজিক ফিগার সংগ্রহ করা হয়েছে।ফলে ১০জনের উপ সমিতির সঞ্চালকের বিরুদ্ধে অনাস্থা আনা হয়।কালিয়াগঞ্জ ব্লক তৃণমূল সভাপতি নিতাই বৈশ্য মঙ্গলবার এক প্রশ্নের উত্তরে জানান তারা তৃণমূল দলের পক্ষ থেকে গ্রাম পঞ্চায়েতের উপ সমিতির দখল নেবার জন্য অনাস্থা পেশ করেছেন।পরবর্তীতে তারা অনন্তপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা আনার প্রক্রিয়া শুরু করে দিয়েছে।তৃণমূলের ব্লক সভাপতি নিতাই বৈশ্য বলেন অনন্তপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের মোট সদস্য সংখ্যা-১৬।এই ১৬সদস্য বিশিষ্ট গ্রাম পঞ্চায়েত দখল করবার জন্য ম্যাজিক ফিগার -৯।
বর্তমানে অনন্তপুর গ্রাম পঞ্চায়েত দখল করতে তৃণমূলের মাত্র ১জন সদস্য প্রয়োজন।নিতাই বাবু বলেন খুব শীঘ্রই তাদের তৃণমূল দলে সেই ভাগ্যবান সদস্য সিপি আই এম দল থেকে আসার জন্য সমস্ত দলীয় প্রক্রিয়া শেষ হয়েছে।এখন যে কোন দিন সেই ব্যক্তি আমাদের দলে আসছেন।এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা মাত্র। ফলে বিজেপি পরিচালিত অনন্তপুর গ্রাম পঞ্চায়েত যে তৃণমূল দখল করেছে এ বিষয়ে কোন সন্দেহের অবকাশ নেই বলে জানান।যদিও কালিয়াগঞ্জ শহর বিজেপি মন্ডল সভাপতি ভবাণী চরণ সিংহ বলেন তৃণমূল দলটি এমন ভাবে তৈরি যে দলের নেতাদের একটাই কাজ যেমন তেমন করে গণতন্ত্রকে হত্যা করে যারা নির্বাচিত হয়ে এসেছিল তাদেরকে ভয় ভীতি দেখিয়ে অন্য দল থেকে টেনে হেঁচড়ে নিজের দলের সংখ্যা বৃদ্ধি করা।এতে আমরা ভীত নয়।এটা তৃণমূলের একটা রোগে পরিণত হয়েছে বলা যেতে পারে।এই রোগেরও ঔষুধ বের হবে খুব শীঘ্রই।এরা এই করেই পশ্চিমবঙ্গের সর্বত্র দুই নম্বরি গণতন্ত্রের প্রতিষ্ঠা করে চলেছে।আর এই দলের এই একটাই কাজ।এরা চায়না এই রাজ্যে অন্য কোন দলের অস্তিত্ব থাক।তবে এসব করে বেশিদিন এই ধরনের রাজত্ব কায়েম করা যাবেনা।সব কিছুরই একটা শেষ বলে কিছু আছেই।এত ভোটে জিতেও কেন তালিবানি শাসন প্রথা চালাতে হবে।তবেকি এই জয়ের পেছনে অন্য কোন রসায়ন আছে?