গ্রামে আর রাখাল নেই, কিন্তু শত বর্ষ প্রাচীন এই দুর্গা রাখাল দের হাতেই পূজো নিয়ে আসছেন।
1 min readগ্রামে আর রাখাল নেই, কিন্তু শত বর্ষ প্রাচীন এই দুর্গা রাখাল দের হাতেই পূজো নিয়ে আসছেন।
পিয়া গুপ্তা চক্রবর্তী, উত্তর দিনাজপুরগ্রামে আর রাখাল নেই, কিন্তু শত বর্ষ প্রাচীন রাখাল মেলা রয়ে গেছে করনদীঘি ব্লকের বারডাঙ্গী গ্রামে । দুর্গা পুজো শেষ হওয়ার 7 দিন পর গ্রামে শুরু হয় ভান্ডানি মায়ের পুজো।৫০ বছরের ও বেশি পুরোনো এই পুজো । কথিত আছে এখানে অনেক আগে রাখল বালকের জঙ্গল ছিল । একদা এক রাখাল গরু চড়িয়ে বাড়ি ফিরছিলেন। ওই সময় দেবী দুর্গা সন্তানদের নিয়ে কৈলাসে ফেরার সময় ঘন জঙ্গলে পথ হারিয়ে ফেলেছিলেন। এরপর তিনি সাধারণ নারীর রূপ ধরে ঘন জঙ্গলের ভেতর একটি গাছ তলায় বসে কাঁদছিলেন। রাখাল হঠাৎ সেই গভীর জঙ্গলে একা একটি মেয়েকে কাঁদতে দেখে রাতে নিজের বাড়িতে নিয়ে গিয়ে আশ্রয় দেন।
এরপরে মাঝরাতে দেবীর আসল মূর্তি ধারণ করেন। রাত্রিবেলা আশ্রয় দেওয়ার জন্য রাখালকে বর চাওয়ার আদেশ দেন তিনি। রাখাল বলেন ঘন জঙ্গলের চাষ করতে পারেন না কেউ। তাই খাদ্যাভাবে ভুগতে হয়। তাই গোটা এলাকাকে শস্য-শ্যামলা করে দেওয়ার বর চান রাখাল। রাখালের কথা শোনা মাত্রই দেবী তুষ্ট হয়ে বর দেন। পরের দিন সকালে সেই এলাকা মায়ের কৃপায় শস্য-শ্যামলা হয়ে ওঠে। তখন থেকেই রাখাল সম্প্রদায়ের লোকেরাই মায়ের পুজো শুরুর ইচ্ছা প্রকাশ করেন। আর তবে থেকেই এই পুজো রাখালদের হাতেই প্রথম সূচনা হয়। পঞ্চাশ বছরেরও বেশি পুরনো এই পুজো করণদিঘি ব্লকের বারডাঙ্গা গ্রামে হয়ে আসছে। দেবী দুর্গা এখানে ভান্ডানী রূপে পূজিত হন। পুজো কে ঘিরে বড়ো মেলার আয়োজন করা হয়।এই পুজো পরিদর্শন করতে এদিন দেখা যায় করনদীঘি বিধানসভার স্থানীয় বিধায়ক গৌতম পালকে। তিনি এদিন দুর্গা মা কে প্রণাম করে পুজো কমিটির সদস্যদের হাতে এবং পুজারথি দের হাতে মাস্ক ও সেনিটাইজার তুলে দেন এবং পুজো কমিটির সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে মন্দিরের চারপাশ পরিদর্শন করেন । এই দিন উপস্থিত ছিলেন করনদীঘির বিধায়ক গৌতম পাল, সুভাষ সিনহা, পুজো কমিটির সদস্যরা।পুজো কমিটির সেক্রেটারি জয়ন্ত সিংহ বলেন বারডাঙ্গী রাখালদেবী দুর্গাপুজো এই পুজোটি ঐতিহাসিক পুজো এই পুজোটি দুর্গাপুজোর দশমীর 7 দিন পরেই হয় এই পুজো ৩ দিন ব্যাপী চলে । একদিন পুজো হয় আর দুই দিন মেলা বসে গান বাজনা হয়ে শেষ হয় ।