প্রাচীন বলি প্রথা বন্ধ করায় কোনো অমঙ্গল হবে না তো? উদ্বিগ্ন কালিয়াগঞ্জ বাসী
1 min readপ্রাচীন বলি প্রথা বন্ধ করায় কোনো অমঙ্গল হবে না তো? উদ্বিগ্ন কালিয়াগঞ্জ বাসী
পিয়া গুপ্তা চক্রবর্তী , কালিয়াগঞ্জ উত্তর দিনাজপুর জেলার কালিয়াগঞ্জ এর মা বয়রা কালী মন্দিরে কালীপুজোয় দেড়শো বছরেরও পুরোনো পশু বলি প্রথা অবশেষে ভেঙে দেওয়ার সমালোচনার ঝড় ফেসবুক জুড়ে। জানা যায় কালিয়াগঞ্জ এর বহু পশুপ্রেমী সংগঠন থেকেই বলির বিরুদ্ধে আওয়াজ উঠছিল বছর খানেক ধরেই এই বলি প্রথা কে নিয়ে চলছিল নানা বিবাদ। তাই বৃহস্পতিবার রাতে উত্তর দিনাজপুর জেলার কালিয়াগঞ্জ এর মা বয়রা কালী পূজা কমিটির বার্ষিক সাধারণ সভায় মা বয়রা কালী মন্দিরে বলি প্রথা বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় পুজো কমিটির পক্ষ থেকে।
এই সিদ্ধান্ত ঘোষণা হতেই ফেসবুক জুড়ে বহু মানুষ যেমন এর প্রশংসা করে, তেমনি এক শ্রেণীর মানুষ কঠোর সমালোচনায় মুখর হয়। উল্লেখ্যধর্মীয় আচারের বিধি হিসাবে পশুবলি দেওয়ার প্রথা বহুপুরনো।দেব-দেবীদের প্রসন্ন বা সন্তুষ্ট করার জন্য রীতি মেনে ছাগল, মহিষ, মুরগি বা অন্যান্য প্রাণী বলি দেওয়ার রীতি বহুদিন ধরে চলে এসেছে হিন্দু বহু দেব দেবীর মন্দিরে।এমন এক প্রথার পক্ষে ও বিপক্ষে দাঁড়ানো মানুষের সংখ্যাও প্রচুর।মা বয়রা কালীমন্দিরে কালীপুজোয় ধর্মীয় আচারের অঙ্গ হিসাবে বহুদিন ধরে চলা পশুবলি প্রথা বন্ধ হওয়ায় স্বাভাবিকভাবেই উঠেছেঅনেক প্রশ্ন।
সোশ্যাল মিডিয়ায় একজন মন্তব্য করে বলেছেন,এটা একটা ভালো উদ্যোগ কিন্তু একতরফা কেন!!??? হিন্দু দের পূজা নিয়ম নিয়েই দেখছি এখন সবার সমস্যা অন্য দিকে কুরবানী তে গরু হত্যা সেটা কী বন্ধ হবে না?অন্যদিকে অন্য একজন ব্যঙ্গ করে বলেছেন, কালিয়াগঞ্জ এর সব রকম মাংসের দোকান পার্মানেন্টলি বন্ধ করার আবেদন জানানো হচ্ছে, পশু দের এরূপ নির্মম হত্যা পশুপ্রেমী সংগঠনের মনে চরম দুঃখ সঞ্চার করে চলেছে।
আবার এক পক্ষের বক্তব্য এতদিন রীতি ভেঙে ফেলা ঠিক হবে না। তারা আশঙ্কায় আছেন যদি কোন অমঙ্গল হয়। অন্যদিকে আরেক পক্ষের বক্তব্য মায়ের নামে পশুর প্রাণ কেড়ে নিয়ে কিসের আবার মঙ্গল-অমঙ্গল? বলি প্রথা বা কোরবানি নিয়ে সময়ে সময়ে সোচ্চার হয়েছে বিভিন্ন পশুপ্রেমী সংস্থা। কিন্তু লাভের লাভ তেমন কিছু হয়নি। তবে অবশেষ পশুপ্রেমী দের সিদ্ধান্ত মেনে নিয়ে বয়রা কালি মন্দিরে কালি পুজোয় বলি প্রথা বন্ধের এই ঐতিহাসিক রায়ে বহু মানুষই প্রসন্ন হয়েছেন।আজ থেকে তিন বছর আগে ঠিক একইভাবে ভারতের প্রতিবেশী রাষ্ট্র শ্রীলঙ্কার হিন্দু মন্দিরগুলোতে পশুবলি নিষিদ্ধ হয়। শ্রীলঙ্কার সরকার এ বিষয়ে অনন্য সিদ্ধান্ত নেয়।।ভারতের প্রতিবেশী রাষ্ট্র শ্রীলঙ্কায় মোট জনগণের 13 শতাংশ হিন্দু। তবে সেখানকার হিন্দুরাও সরকারের বলি প্রথা নিষেধের সেই সিদ্ধান্ত সেই সময় মেনে নেয়।