কালিয়াগঞ্জে প্রতিমা বিসর্জন ঘাটে পৌরসভার উপ-পৌর প্রসাশক এক তৃণমূল নেতাকে সামনের চেয়ার থেকে উঠে যেতে বলায় ব্যাপক বিতর্ক তৃণমূলেই
1 min readকালিয়াগঞ্জে প্রতিমা বিসর্জন ঘাটে পৌরসভার উপ-পৌর প্রসাশক এক তৃণমূল নেতাকে সামনের চেয়ার থেকে উঠে যেতে বলায় ব্যাপক বিতর্ক তৃণমূলেই
তপন চক্রবর্তী, কালিয়াগঞ্জ ১৭,অক্টোবর:আসলে উত্তর দিনাজপুর জেলার কালিয়াগঞ্জ পৌর সভায় হটাৎ করে তৃণমূল কংগ্রেসের ঈশ্বর রজক উপ-পৌর প্রশাসকের দায়িত্ব পাওয়ায় কাকে কি বলছেন,কার চাকরি খাচ্ছে,কাকে গ্রেপ্তার করার অভিসন্ধি করছে্ন -এসব কাজ করার ফলে অনেক সময় ভারসাম্য হারিয়ে ফেলছেন তিনি।কালিয়াগঞ্জ পৌর সভার উপ-পৌর প্রসাশক আবার একটা অঘটন ঘটিয়েছেন কালিয়াগঞ্জে প্রতিমা বিসর্জন ঘাটে।বিসর্জন ঘাটে পৌর সভা থেকে প্রতিবারের ন্যায় এবারও টেন্ট খাটানো হয়েছিল বিশিষ্ট ব্যক্তি তথা বিশিষ্ট তৃণমূল নেতাদের জন্য।
সেই টেন্টে গিয়ে পশ্চিমবঙ্গ সি এস পি ওয়ার্কস এসোসিয়েশনের রাজ্য প্রচার সম্পাদক জয়ন্ত বোস উপপৌর পিতা ঈশ্বর রজকের পাশের চেয়ারে বসা মাত্রই তিনি তৃণমূল নেতা তথা রাজ্য প্রচার সম্পাদক জয়ন্ত বোসকে বলেন আপনি এখানে নয় পেছনের চেয়ারে গিয়ে বসুন ।এখানে সব বিশিষ্ট ব্যক্তিরা এসে বসবেন।জয়ন্ত বাবু বলেন ঘাটেও চেয়ার নিয়ে টানাটানি এই কথা বলে সেখান থেকে বেরিয়ে আসেন।পরবর্তীতে কলকাতায় রাজ্য সংগঠনের নেতৃত্বদের এই ঘটনা জানালে তারা এই ধরনের অপমানজনক ঘটনার কথা শুনে হতবাক হয়ে যান।তারা সমস্ত ঘটনার লিখিত অভিযোগ জয়ন্ত বাবুর কাছে চেয়ে পাঠিয়েছেন।সংগঠনের চেয়ারম্যান বাবলা রায় উক্ত বিষয়ে জয়ন্ত বোস এর নিকট চেয়ে পাঠিয়েছেন ।
এ ব্যাপারে কালিয়াগঞ্জ পৌর সভার পৌর প্রসাশক শচিন সিংহ রায কে এই ঘটনার সত্যতা জানার জন্য ফোন করলে তিনি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে দুঃখ প্রকাশ করেন।পৌর প্রসাশক শচিন সিংহ রায় বলেন আমি পৌর প্রসাশক হয়ে সবাইকে বিসর্জন ঘাটে আসবার জন্য আবেদন করছি আর আমাদেরই পৌর সভার উপ-পৌর প্রসাশক ঈশ্বর রজক তিনি বিশিষ্ট ব্যাক্তিকে চেয়ার থেকে উঠিয়ে দিয়ে বলছেন এই চেয়ার আপনার জন্য নয় এগুলি বিশিষ্ট ব্যক্তিদের জন্য।আপনি পেছনের চেয়ারে গিয়ে বসেন । এটা কোন ভদ্রতা হলো?এমন কথা কেউ বলতে পারে?আমি এর জন্য ব্যক্তিগতভাবে দুঃখিত।এই ঘটনার জন্য উভয়পক্ষকে নিয়ে বসে মান অভিমানের পালা মিটিয়ে দেবেন বলে শচিন সিংহ রায় জানান।
এই ঘটনায় কালিয়াগঞ্জের মানুষ উপ-পৌর প্রশাষক তথা বিশেষ ক্ষমতার অধিকারী ঈশ্বর রজকের কাজের তীব্র সমালোচনা করেন।তারা বলেন কালিয়াগঞ্জ পৌর সভার ইতিহাসে এমন ধরনের দায়িত্বজ্ঞানহীন মানবিকতাহীন উপ-পৌর প্রসাশক এর পূর্বে কখনো দেখেনি বা ভবিষ্যতেও দেখতে চান না বলে সর্বত্রই গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে।তবে এও শোনা যাচ্ছে লক্ষী পূজার ছুটির পর মনে হয় এখন যারা পৌর সভা নিজের ব্যক্তিগত সম্পত্তি মনে করে যা খুশি ভাবে চালাচ্ছে তাদের হাতে পূরসভা পরিচালনা করবার সুযোগ হাতে খুব কমই থাকবে বলে মনে করছে কালিয়াগঞ্জ বাসী।