“পিপিলিকার শহর”থিমে পিপিলিকার মতই মানুষের সারি পড়বে নসিরহাট-হরিহর পুর দুর্গৎসবে-
1 min read“পিপিলিকার শহর”থিমে পিপিলিকার মতই মানুষের সারি পড়বে নসিরহাট-হরিহর পুর দুর্গৎসবে-
তপন চক্রবর্তী, কালিয়াগঞ্জ ৭ অক্টোবর: করোনা আবহ থেকে কিছুটা মুক্তি পেতেই বাঙ্গালীদের মন করছে উচাটন এবারের শারদ উৎসবে আনন্দ উৎসব করার জন্য।কারন মহালয়ার ভোর মানেই দুয়ারে আগমনী। দিকে দিকে তাই খুশির হাওয়া। আকাশে সাদা মেঘের ভেলা আর মাটিতে দুলছে কাশফুলের দোলা। সবকিছুই যেন জানিয়ে দিচ্ছে মা আসছে মর্তে।তাই এখন ধরা ধামে পুজো উদ্যোক্তারা ভীষণ ব্যস্ত তাদের পুজো প্রস্তুতিতে। একে অপরকে টেক্কা দিতে তৈরি হচ্ছে বিভিন্ন জায়গায় থিমের পূজা। এমনই একটি পুজো হচ্ছে উত্তর দিনাজপুর জেলার কালিয়াগঞ্জ এর নসিরহাট -হরিহরপুর সার্বজনীন দুর্গাপূজা কমিটি দুর্গোৎসবে।
যে পূজা এবার ৫২ তম বর্ষে পদার্পণ করল।
প্রতিবছরই এই পুজো কমিটি জেলার মধ্যে একটা বিশেষ স্থান অর্জন করে থাকেই। প্রতিবছরই এই পুজোতে দেখা যায় থিমের চমক। এলাকার বিশিষ্ট সমাজসেবী তথা এই ক্লাবের সম্পাদক সুকুমার সরকার (স্বপন) বলেন, সারাবছর যে যার কাজ নিয়ে ব্যস্ত থাকলেও পুজোর সময় এই পুজোকে নিয়ে আমরা খুব দারুন ভাবে মেতে উঠি। প্রতিবছরই আমরা থিমের পূজার মাধ্যমে দর্শনার্থীদের চমক দিয়ে থাকি।
এবারও তার ব্যতিক্রম নয়। তিনি বলেন এবার পুজোয় তাদের থিম “পিপিলিকার শহর”। পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় পিঁপড়ের অবদান প্রচুর। কিভাবে তারা পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করছে সেটা তারা এবার তাদের পুজো মণ্ডপে ফুটিয়ে তুলবে।
দীর্ঘ দুই মাস আগে ত্থেকে এই থিমকে ফুটিয়ে তোলার জন্য মালদা থেকে আবু কালাম শেখ ১৯জন শিল্পী দের নিয়ে অক্লান্ত পরিশ্রম করে চলেছে আবুল কালাম শেখ শুধু একটু মানুষের আশীর্বাদ আর ভালোবাসা পাবার জন্য।তিনি বলেন উত্তরবঙ্গে এই ধরনের থিম এবারই প্রথম কালিয়াগঞ্জ শহরের মানুষ উপভোগ করবে বলে জানান।
সুকুমার বাবু বলেন এবার যে থিম নিয়ে তারা পূজা করছে তাতে তারা আশা করছেন প্রতিবারের মত এবারও তাদের পুজো দেখতে প্রচুর মানুষের ঢল নামবে তাদের পুজোমণ্ডপে।তিনি বলেন পিপিলিকার কাছ থেকে আমাদের অনেক কিছু শেখার আছে।কিন্তূ আমরা তাদের সব সময় অবহেলার চোখে দেখে থাকি।তাদের মধ্যে যে শৃঙ্খলা আছে আমাদের মধ্যে তার সিকি ভাগও নেই।এবার কিছু না হয় আমরা সবাই ওদের কাছ থেকে কিছু শিখে।নিই বলে জানান।