ইটাহার ডঃমেঘনাদ সাহা কলেজের কৃতীদের সম্মান দিলেন উপাচার্য-
1 min readইটাহার ডঃমেঘনাদ সাহা কলেজের কৃতীদের সম্মান দিলেন উপাচার্য-
তপন চক্রবর্তী,কালিয়াগঞ্জ,২৫ সে সেপ্টেম্বর:ইটাহারের ড. মেঘনাদ সাহা কলেজ বরাবরই ব্যতিক্রমধর্মী ও গঠনমূলক কাজ করে গৌড়বঙ্গ তথা পশ্চিমবঙ্গের উচ্চ শিক্ষা জগতে সাড়া ফেলেছে। সম্প্রতি এই কলেজ ন্যাক থেকে বি গ্রেড পেয়ে জাতীয় স্তরে নিজের জায়গা করে নিয়েছে। কলেজের পঠন-পাঠন এবং পরিকাঠামোগত উন্নয়ন ক্রমান্বয়ে বেড়েই চলেছে। কলেজের পড়ুয়াদের উৎসাহ দেওয়ার লক্ষ্য নিয়ে প্রতিবছরই কলেজ কর্তৃপক্ষ এ ধরনের সম্মাননা জ্ঞাপনের অনুষ্ঠান আয়োজন করে থাকে বলে জানালেন কলেজের আই কিউ এ সির কো ওর্ডিনেটর অধ্যাপক অঞ্জন সোম। সাধারণত মেঘনাদ সাহার জন্মদিনে অথবা কলেজের জন্মদিনে এই উৎসব করা হয়। এবছর দুটি দিনই সরকারি ছুটি থাকায় ২৫ সেপ্টেম্বর শনিবার কৃতিদের সম্মান দেওয়ার অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক শান্তি ছেত্রী। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য ২০০০ সালে ড. মেঘনাদ সাহা কলেজ প্রতিষ্ঠিত হবার পর এই প্রথম অ্যাফিলিয়েটিং ইউনিভার্সিটির উপাচার্য কলেজে এলেন। ফলে ছাত্র, শিক্ষক, শিক্ষা কর্মী এবং প্রাক্তন ছাত্রদের মধ্যে সাড়া পড়ে যায়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কলেজের প্রশাসক অধ্যাপক সুব্রত সাহা, উপাধ্যক্ষ ড. মুকুন্দ মিশ্র,বার্সার অধ্যাপক জয়গোপাল বিশ্বাস, টিচার্স কাউন্সিলের সেক্রেটারি অধ্যাপিকা অনন্যা রায় চৌধুরীসহ বহু শিক্ষক শিক্ষিকা, শিক্ষা কর্মী এবং সম্মান প্রাপ্ত বিভিন্ন বিভাগের স্থান অধিকারীরা।
মুলত বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক স্তরের চূড়ান্ত পরীক্ষার ফলাফলের নিরিখে এই সম্মাননা অনুষ্ঠান। উপাচার্যের ভাষণে কলেজের সার্বিক উন্নয়ণের প্রসঙ্গ উঠে এল। বর্ত্তমান সময়ের সাথে সাযুজ্য রেখে আগামী দিনে ছাত্রদের নিজেকে যোগ্য করার পরামর্শ দিলেন তিনি। কলেজেএ ধরণের অনুষ্ঠান আয়োজনের ভূয়সী প্রশংসা করেন উপাচার্য। জানা গেল, মোট ৪০ জন পড়ুয়া কৃতি সম্মান পান। সর্বচ্চ নাম্বার পাওয়া ছাত্রীকেও বিশেষ সম্মান জানানো হয় এদিন। তাদেরকে পুষ্পস্তবক মানপত্র, স্মারক সম্মান এবং মিষ্টি দেওয়া হয়। কৃতি সম্মান পেয়ে সকলে খুশি। সম্মান প্রাপক অভিজিৎ সরকার জানান, এই সম্মান পেয়ে খুবই খুশি হয়েছি।
ভাবতেই পারিনি এই রকম একটি সম্মান কলেজের পক্ষ থেকে পাব। তবে আক্ষেপ, প্রায় তিন বছর ধরে এই কলেজে পড়েছি। দেখেছি কিভাবে এই কলেজ নানা দিক থেকে উন্নতিলাভ করছে। আর হয়তো আসতে পারবো না। এই কলেজের সম্মান রাখার চেষ্টা করব।কলেজের উপাধ্যক্ষ ড. মুকুন্দ মিশ্র জানান, গ্রামীণ ছেলেমেয়েরা এই মহাবিদ্যালয়ে পঠন পাঠন করে।
তাদেরকে উৎসাহিত করার জন্যই এই ধরনের আয়োজন। সকলের সহযোগিতায় কলেজকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে করবো। এই কৃতী ছাত্র ছাত্রীরাই আমাদের কলেজের সম্পদ। ওরা সমাজের সর্বক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠিত হলে আমাদের সার্থকতা। সমগ্র অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন সঞ্চয়িতা পাল চক্রবর্তী।