আদিবাসী সমাজ ও লোক সংস্কৃতি কল্যাণ মঞ্চের উদ্যোগে পালিত হলো “বিশ্ব আদিবাসী দিবস পালন” কৃতী ছাত্র-ছাত্রীদের সংবর্ধনা ও সমাজ গুরুকে সন্মান প্রদান।
1 min readআদিবাসী সমাজ ও লোক সংস্কৃতি কল্যাণ মঞ্চের উদ্যোগে পালিত হলো “বিশ্ব আদিবাসী দিবস পালন” কৃতী ছাত্র-ছাত্রীদের সংবর্ধনা ও সমাজ গুরুকে সন্মান প্রদান।
লোকনাথ সরকার, কুশমন্ডি ১০ -ই আগস্ট কুশমন্ডি আদিবাসী সমাজ ও লোক সংস্কৃতি কল্যাণ মঞ্চের উদ্যোগে পালিত হলো “বিশ্ব আদিবাসী দিবস পালন”। কুশমন্ডি থানায় এদিন প্রদীপ প্রজ্বলন এবং সিধু, কানু ও বিরসা মুন্ডার প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের শুভ আরম্ভ করেন, কুশমন্ডি বিধানসভার বিধায়িকা শ্রীমতি রেখা রায় মহাশয়া। ও গঙ্গারামপুর মহকুমার এস. ডি. পিও দীপ কুমার দাস সহ, কুশমন্ডি থানার বড়বাবু উত্তম কুমার ঘোষ মহাশয়। অনুষ্ঠানে মাদল বাজিয়ে নৃত্য পরিবেশন করেন, আদিবাসী সমাজ ও লোক সংস্কৃতি কল্যাণ মঞ্চের আদিবাসী লোক শিল্পীরা।এদিন অনুষ্ঠানে ২০২০-২০২১ শিক্ষা বর্ষের মাধ্যমিকের কৃতী ছাত্র ছাত্রীদের সংবর্ধনা জ্ঞাপন করা হয়। আদিবাসী সম্প্রদায়ের তিন জন ছাত্র-ছাত্রীকে অজয় হেমর, রঙ্গিন হাসদা ও চন্দনা চৌরেকে এই সংবর্ধনা জ্ঞাপন করেন, আদিবাসী সমাজ ও লোক সংস্কৃতি কল্যাণ মঞ্চ।এ বিষয়ে কৃতী ছাত্র-ছাত্রীরা জানান।
আমরা এই সন্মান পেয়ে ভীষণ খুশি, আপ্লুত এবং আনন্দিত। আজ আমাদের এই সন্মান দেওয়াতে আমরা যতটা খুশি, ঠিক ততটাই খুশি সকল ছাত্র-ছাত্রীরা। আগামী দিনে এর প্রভাব ভীষণ ভালো ভাবে পড়বে বলে জানান কৃতি ছাত্র-ছাত্রীরা। এও জানান, এই সন্মান পাওয়াকে দেখে আমাদের ছোটো ছোটো ভাই-বোনেরা আরো পড়াশুনায় মনোযোগী হবে, এবং পড়াশুনায় ভীষণ আগ্রহী হবে। আমরা এই সংস্থার আরো উজ্জ্বল ভবিষ্যত কামনা করি।
আরো ভালো জায়গায় যাতে এই সংস্থা পৌছতে পারে।একি সাথে আদিবাসী সম্প্রদায়ের ৮ জন “সমাজ গুরুরকে” আদিবাসী সমাজ ও লোক সংস্কৃতি কল্যাণ মঞ্চের পক্ষ থেকে সন্মাননা প্রদান করা হয়। সন্মান প্রাপ্ত সমাজ গুরুরা জানান। এই বয়সে এসে আমরা যে আজ এই সন্মান পাবো তা আশা করিনি। আজ এই সন্মান পেয়ে আমরা গর্বিত এবং আনন্দিত। এই সংস্থার দীর্ঘায়ু কামনা করি।এদিন অনুষ্ঠানে কুশমন্ডি বিধানসভার বিধায়িকা রেখা রায় জানান, আদিবাসী সমাজ আগে বহু পিছিয়ে ছিলো। সেই হিসেবে আজ তারা অনেক এগিয়ে, বর্তমান সরকার তাদের জন্য সব রকম সাহায্যের ব্যবস্থা করেছেন।
সেই সুযোগ সুবিধা যাতে তিনারা গ্রহন করেন। আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষের এগিয়ে আসার জন্য আমি সব রকম ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।এস.ডি.পি.ও দীপ কুমার দাস জানান। এই অনুষ্ঠানে আসতে পেরে আমি গর্বিত। আদিবাসী সমাজের মানুষের আগের তুলনা এগিয়ে এলেও, তবুও বলবো তারা এখনো পর্যন্ত ভালো জায়গায় এসে পৌছতে পারেনি। রাজনৈতিক দলের জন্য যেমন সব রকম ব্যবস্থা গ্রহণ করে, তাদের সব কিছুর সফল করা হয়।
ঠিক তেমনি আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষের জন্যও সব রকম ব্যবস্থা আছে। তোমরা এগিয়ে এসো আমরা সব রকম সাহায্য করবো। তিনি আরো বলেন, শিক্ষার দিক থেকে যাতে এই সম্প্রদায়ের কোনো শিশু পিছিয়ে না থাকে, সেই দিকে সকলকে নজররাখতে হবে, এবং এগিয়ে আসতে হবে।
খেলা ধুলা থেক সব কিছুতে আমরা সব রকম ভাবে সাহায্য করবো বলে আশ্বাস দেন এস.ডি.পি.ও দীপ কুমার দাস।কুশমন্ডি থানার বড়বাবু উত্তম কুমার ঘোষ বলেন। সিধু, কানুর মতো বুক ফুলিয়ে এগিয়ে আসতে হবে এই সম্প্রদায়ের মানুষকে। তোমরা এগিয়ে এসো আমরা তোমাদের
পাশে থেকে সব রকম সাহায্য করবো।এদিন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কুশমন্ডি বিধানসভার বিধায়িকা রেখা রায় মহাশয়া, গঙ্গারামপুর মহকুমার এস.ডি.পি.ও দীপ কুমার দাস মহাশয়, কুশমন্ডি থানার বড় বাবু উত্তম ঘোষ, আদিবাসী সমাজ ও লোক সংস্কৃতি কল্যাণ মঞ্চের সভাপতি বুধন হেমরম, সংস্থার সদস্যরা সহ, আদিবাসী লোক শিল্পীরা।