কেন্দ্র, রাজ্য ও জাতীয় সড়ক কর্তিপক্ষের কাছে কোটের রিপোর্ট তলব
1 min read
তপন চক্রবর্ত,–উত্তর দিনাজুর--,কলকাতার বারাসত থেকে ডালখোলা পর্যন্ত বেহাল রাস্তা নিয়ে কলকাতা উচ্চ আদালত রিপোর্টা তলব করলো।শুক্রবার কলকাতা উচ্চ আদালতে শুনানির সময় , রাজ্য, কেন্দ্র ও জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের কাছে বিচারক জানতে চাইলো ২০০৬সালে জাতীয় সড়কের কাজ শুরু করা হলেও বিগত ,১৩ বছর পার হয়ে গেলেও ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কের কাজ শেষ করা হয়নি?শুধু তাই নয় ফারাক্কা থেকে ডালখোলা পর্যন্ত বেহাল রাস্তাটির সংস্কারের কাজেও কি কারনে ঢিলেমি করা হচ্ছে?
কলকাতা উচ্চ আদালতের মাননীয় বিচারপতি বিশ্বনাথ সমাদ্দার শুনানির সময় ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন আগে কলকাতা থেকে শিলিগুড়ি যেতে মাত্র-৯ ঘন্টা সময় লাগতো।মানুষ আশা করেছিল ফোর লেন হয়ে গেলে সময় অনেক কম লাগবে।অথচ ফারাক্কা থেকে ডালখোলা যেতে সময় লাগে১৪ঘন্টা।ফারাক্কা থেকে ডালখোলার ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক উত্তর পূবাঞ্চলের লাইফ লাইন।যে রাস্তাটি দিয়ে লক্ষ লক্ষ যানবাহন চলাচল করে,লক্ষ লক্ষ যাত্রীকে এই সড়কের উপর নির্ভর করতে হয় অথচ সেই রাস্তাটি নিয়ে কিসের জন্য সরকারের এত ঢিলে ঢালা কাজ।কেনই বা এই গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা সংস্কারের ব্যাপারে কোন সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়নি বলে বিচারক বিশ্বনাথ সমাদ্দার প্রচন্ড ক্ষোভ প্রকাশ করেন। মাননীয় বিচারক বিশ্ব নাথ সমাদ্দার কেন্দ্রীয় সরকারের সলিসিটর জেনারেল কৌশিক চন্দকে জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা করে আদালতকে অবিলম্বে রিপোর্ট পেস কর্বস্র নির্দেশ দেন বলে জানা যায়।
একই সাথে রাজ্যকেও এই সড়ক নির্মাণের ব্যাপারে কোন রকম জমি অধিগ্রহনের কোন সমস্যা থাকে সে ব্যাপারেও আদালতকে অবহিত করবার নির্দেশ দেন বিচারক বিশ্ব নাথ সমাদ্দার।১৫,ই জসনুয়ারী মামলার পরবর্তী শুনানির দিন রাজ্য ও কেন্দ্রকে তাদের লিখিত রিপোর্ট জমা দিতে হবে বলেও বিচারক বিশ্বনাথ সমাদ্দার নির্দেশ দেন।
শুক্রবার মামলাকারী দেবেশ সাহার পক্ষে কলকাতা উচ্চ আদালতের বিশিষ্ট আইনজীবী কল্যাণ কুমার চক্রবর্তী ও কাশীনাথ ভট্টাচার্য্য শুনানির দিন আদালতে মাননীয় বিচারককে জানান ফারাক্কা থেকে মালদা পর্যন্ত জাতীয় সড়ক সম্প্রসারনের কাজ চলছে।কিন্তূ যে ভাবে সম্প্রসারণের কাজ চলছে তাতে এলাকার সাধারণ মানুষদের প্রচন্ড সমস্যার মধ্যে পড়তে হচ্ছে।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
বিক্ষিপ্ত ভাবে কিছু কিছু স্থানে কাজ হলেও বহু স্থানে কাজ বন্ধ আছে।রাস্তা স্মরসারনের কাজ বন্ধ থাকার ফলে মালদা বাইপাস চালু করা কোন ভাবেই সম্ভব হচ্ছেনা বলে বিশিষ্ট আইনজীবী কল্যাণ কুমার চক্রবর্তী মাননীয় বিচারকের কাছে অভিযোগ করেন।
আদালত সূত্রে জানা যায় বারাসত শিলিগুড়ি ফোর লেনের সড়ক নির্মাণের জন্য কেন্দ্র ১৯৯৯ সালে এই প্রকল্পটি করবার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে।কেন্দ্রীয় সরকার ন্যাশনাল হাইওয়ে অথিরিটিকে এই কাজের দায়িত্ব দিলে ২০০৬সালে এই কাজ শুরুও হয়ে যায়।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
কিন্তূ ১৪বছর অতিক্রান্ত হয়ে গেলেও আজও কাজের কোন রকম অগ্রগতি না হবার কারনে কলকাতা উচ্চ আদালতের মাননীয় বিচারক বিশ্বনাথ সমাদ্দার রাজ্য ও কেন্দ্রের কাজে প্রচন্ড উষ্মা প্রকাশ করেন।পরবর্তীতে কেন্দ্রের সলিসিটর জেন্সরেল ও রাজ্যের আইনজীবী দুই পক্ষই মাননীয় বিচারকের কাছে উভয়ের বক্তব্য শুনে কেন্দ্র ও রাজ্যকে সড়ক সম্প্রসারনের কাজের অগ্রগতির রিপোর্ট জমা দেবার নির্দেশ আদালত থেকে দেওয়া হয়।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});