কালিয়াগঞ্জে অসীমা বন্দোপাধ্যায় স্মৃতি স্মারক বক্তৃতায় নাট্য ব্যক্তিত্ব হরিমাধ্ব-
1 min read
তপন চক্রবর্তী–উত্তর দিনাজপুর–,সোমবার উত্তর দিনাজপুর জেলার কালিয়াগঞ্জ হনুমান ভবনে অসীমা বন্দোপাধ্যায় স্মৃতি রক্ষা কমিটি আয়োজিত অসীমা বন্দোপাধ্যায় স্মারক বক্তৃতা দেন নাট্য ব্যক্তিত্ব অধ্যাপক হরিমাধ্ব মুখো পাধ্যায়।অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক দীপক কুমার রায়,কালিয়াগঞ্জ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি দীপা সরকার।স্বর্গিয়া অসীমা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতিকৃতিতে মাল্যদান ও প্রদীপ প্রজ্বলনের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সূচনা হয়।অনুষ্ঠানে উদ্বোধনী সঙ্গীত পরিবেশন করেন ব্রততী দাস।অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন স্বর্গীয় অসীমা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সুযোগ্য পুত্র অধ্যাপক সৌরেন বন্দোপাধ্যায়।তিনি তার বক্তব্যে বলেন তার ইচ্ছা তার প্রয়াত মায়ের স্মরণে সারা বছর ধরেই তিনি অনুষ্ঠান করবেন।
প্রখ্যাত নাট্য ব্যক্তিত্ব অধ্যাপক হরিমাধ্ব মুখোপাধ্যায় স্নারক বক্তৃতা দিতে গিয়ে উত্তরবঙ্গের নাট্যচর্চা সম্পর্কে বলতে গিয়ে বলেন উত্তরবঙ্গ নাট্য জগতে বর্তমানে অনেকটাই জায়গা দখল করতে পেরেছে।যদিও এই জায়গা দখল করার পেছনে অনেক কাঠখড় পোড়াতে হয়েছে,অনেক ঘাম ঝরেছে,যুবকদের নাটকমুখী করে তুলতে হয়েছে।
যাদের এক সময় হাতধরে নাটকে এনেছিলাম তারা বর্তমানে শক্ত পোক্ত ভীতের উপর দাঁড়িয়ে সারা রাজ্যে নাটক করে উত্তরবঙ্গের সুনাম ছড়িয়ে দিয়েছে।এটাইতো চেয়ে ছিলাম।উত্তরবঙ্গের নাটকের একটা আলাদা বৈশিষ্ট্য হল খুব সমস্যায় না পড়লে নিজেদের তৈরী নাটক ছাড়া অন্যের লিখা নাটক উত্তরবঙ্গের নাট্য দলগুলি সাধারণত করেনা।
উত্তরবঙ্গের শিলিগুড়িতে অমল চক্রবর্তী যেমন অভিনয় করে তেমনি নাটক রচনাতেও সমান পারদর্শী।উত্তরবঙ্গে নাটককে সমৃদ্ধ করবার পেছনে বালুরঘাটের ত্রিতীর্থের ভূমিকাকে কখনোই ছোট করে দেখা যাবেনা বলেও তিনি মনে করেন।কেও অস্বীকার করলে কারো কিছু যায় আসেনা।
নাট্য ব্যক্তিত্ব হরিমাধ্ব মুখোপাধ্যায় বলেন লুপ্ত প্রায় রাজবংশী সমাজের খন লোকনাট্যকে আমরা যদি আরো উন্নত মানের করতে পারি তাহলে উত্তরবঙ্গের নাটক সারা ভারত বর্ষে আলাদা স্থান করে নেবে বলেই তার দৃঢ় ধারণা।: অনুষ্ঠানে অধ্যাপক ডঃ সৌ রেন বন্দোপাধ্যয় রচিত রবীন্দ্র বিষয়ক প্রবন্ধ গ্রন্থ “রবি কিরনে”পুস্তকটির উদ্বোধন করেন রায়গঞ্জ বিশ্নবিদ্যালয়ের অধ্যাপক দীপক কুমার রায়। পুস্তকটি উদ্বোধন করে বলেন রবীন্দ্র নাথেরএকাল সেকাল বলে কিছু নেই। তিনি আমাদের পৃথিবীতে চীর কাল থাকবেন।রবীন্দ্রনাথের সৃষ্টি চিরদিনের জন্য।
আমাদের সারা দিনেরই শুধু সাথীই নন তিনি আমাদের চীরদিনের।অনুষ্ঠানে চার গুণীজনদের বিশেষ সম্মাননা দেওয়া হয় যাদের মধ্যে আছেন বিচিত্রা নাট্য সংস্থার অরিন্দম ঘোষ,অনন্য থিয়েটারের সম্পাদক বিভু ভূষণ সাহা,যাত্রীক নাট্য সংস্থার সম্পাদক দেবাশিস পাল ও মঞ্চ২১শের সম্পাদক দুলাল ভদ্র।অনুষ্ঠানে স্থানীয় শিল্পীগণ সঙ্গীত ও আবৃত্তি করে উপস্থিত দর্শকদের মুগ্ধ করেছেন।