ভালোবাসা আর প্রতারনার গল্প ….
1 min read
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
শ্যামল সেন কখনো ভাবতে পারিনি আবার আমাদের দেখা হয়ে যাবে। শেষবার যখন তার কাছ থেকে বিদায় নিয়ে ছিলাম তখন কথা দিয়েছিলাম, আর কখনোই তার সামনে গিয়ে দাড়াবো না আমি।
তারপর কেটে গেছে দশবছর । সময়ও বদলে গেছে অনেক। আমিও বদলে গিয়েছি।
আজ হঠাৎ করেই আবার দেখা হয়ে গেল দুজনার। অফিস ছুটির পর ফুটপাত ধরে হাটতে ছিলাম। হঠাৎ করেই এক নারী আমার সামনে এসে দাড়িয়ে বলে, তুমি! কোথায় যাচ্ছ?
আমি তার দিকে তাকিয়ে খুব অবাক হই। সোফিয়ার শ্যামলা মুখে মিষ্টি হাসির রেখা। বয়স ওর যৌবনে ছাপ ফেলতে পারেনি। তেমনি রয়ে গেছে যেমনটা দেখেছিলাম দশ বছর আগে। চোখে দুষ্টামীর সেই হাসি এখনো আছে। দ্রুত চোখ ফিরিয়ে নিই। আমার বুকের ভেতর যে লুকায়িত অশ্রুর সমুদ্র আছে, সেখানে প্রলয় উঠল যেন। মনে হল চারপাশের ব্যস্ত নগরের সকল কোলাহল থেমে গিয়েছে। নিশ্চুব দাড়িয়ে রইলাম। সোফিয়া খানিকটা ঝুকে এসে বললো, কি হল আমাকে তুমি চিনতে পারো নাই?
ফ্যাকাসে হেসে বললাম, চিনবো না কেন ? তুমি ভাল আছ?
ও ম্লান হেসে দীর্ঘশ্বাস চেপে বললো, হুম ভাল আছি!
সোফিয়াকে আমি অনেক ভালবেসে ছিলাম। যতটা ভাল পৃথিবীর কেউ কোনদিন বাসেনি। আমার শরীরের প্রতিটি রক্ত কনিকায় ও মিশে গিয়েছিল। আমার সমস্ত হৃদয় জুড়ে ছিল কেবল সোফিয়া আর সোফিয়া। আকাশেও তত তারা নেই যতবার তাকে আমি ভালবাসি বলেছি। অথচ ও একদিন বিনা নোটিশেই আমার জীবন থেকে সরে গেল। কি অভিযোগ ছিল ওরে হাজার বার জিজ্ঞাসা করেও তার উত্তর পাইনি। বুঝতে পারিনি কি ভুল ছিল আমার।
ওর ওমন রহস্যময়ী আচরন তখন আমার সাজানো পৃথিবীটাকে নরক বানিয়ে ফেলে ছিল। নিষেধ সত্বেও ওর জন্য রাস্তায় দাড়িয়ে থাকতাম। বেহায়ার মত ওদের বাড়িতে অকারন গিয়ে উপস্থিত হতাম। ও আমার দিকে ফিরেও তাকাতো না। চারপাশের সব মানুষ আর প্রকৃতি তেমনি ছিল। শুধু ও একাই বদলে গিয়েছিল। অপমানের যন্ত্রনায় নীল হয়ে গিয়ে ছিলাম। ঋতুর পরিবর্তনে পুরানো পাতারা যেমন করে গাছ হতে ঝরে পড়ে তেমনি করে আমি ওর জীবন থেকে নিঃশব্দে ঝরে পড়েছিলাম।
সোফিয়ার হাসির শব্দে চমকে উঠি। ও বলে তুমিতো এখনও তেমনি আছ, ভাবুক টাইপের। এখনো কবিতা- টবিতা লিখো নিশ্চয়?
আমি উত্তর না দিয়ে ম্লান হাসি। আমার খুব অভিমান হয়। ইচ্ছে হয় দৌড়ে চলে যাই। ওর সাথে কথা বলতে ভারি ক্লান্তি লাগে। ১০ বছর ধরে অভিমানের যে পাহাড় বুকের ভেতর লুকিয়ে রেখেছি তা আজ আর প্রকাশ করার ইচ্ছে আমার নেই।
প্রকৃতি সব সময় শূন্যস্থান পুরন করে নেয় বলে শুনেছি। কিন্তু ওর বিরহে আমার মনের ভেতর যে গভির ক্ষতের সৃষ্টি হয়েছে তা তেমনি রয়ে গেছে। শুনে ছিলাম নারীরা নাকি মায়াবতী হয়। কিন্তু কি আশ্চর্য ও যখন হটাৎ করেই বলে দিল অনেক হয়েছে আর নয়। তখন ওর মুখের দিকে তাকিয়ে মনে হয়েছিল ও যেন শক্ত পাথরের প্রতিকৃতি।
আমি বোধহয় তখন পাগল হয়ে গিয়ে ছিলাম। বারবার মনে হত বেচে থেকে কি লাভ? আমি পারিনি, কিছুই করতে পারিনি। শূন্য পকেট। ধুসর বাস্তবতা আর হতাশার কুয়াসায় ঢেকে গিয়ে ছিল আমার পৃথিবী।
সোফিয়া হটাৎ করেই আমার হাত ধরে । যেন আমাদের মাঝে কোন দেয়াল নেই। যেন কিছুই হয়নি। কিন্তু ওর হাতের ছোয়া আগের মত আমাকে আর পুলকিত করলো না। সাপের মত শিতল মনে হল। ও বলে, কি করছো? ব্যবসা নাকি জব?
– চাকুরী করছি। ঐযে নীল ভবনটা দেখছো ওর ছয় তলায় আমার অফিস।
ও আমার হাত অনুসরন করে তাকায়। ‘তুমি ঢাকায় কী করছো?’ পাল্টা প্রশ্ন করি। ও অন্যমনস্ক হয়ে যায়। হাতের উল্টো পিঠ দিয়ে কপালের ঘাম মুছে। দীর্ঘ নিঃশ্বাস ছাড়ে। হতাশা আড়ালের বৃর্থা চেষ্টা করে। মৃদ্য হেসে বলে, গৃহবধু ছিলাম তিন বছর। তারপর সেপারেশন হয়ে গেল। বড় আপার উৎসাহে চাকুরি করছি। এনজিও কোম্পানি। বদলীর চাকুরী। সারা দেশ ঘুরেছি। এখন মাস দুই হল ঢাকায় আছি।
সোফিয়ার মুখে ক্লান্তি আর বিষন্নতার ছায়া দেখি।
– চল সামনের রেষ্টুরেন্টে বসি।
ও মাথা দুলিয়ে বলে চল।
কি খাবে? প্রশ্ন করি। ও হেসে বলে, তোমার যা খেতে ভাল লাগে তার অর্ডার দাও। ওর কথা শুনে বলি, এই প্রথম আমার যা পছন্দ তাতে তুমি সম্মতি দিলে।
কেন অর্যথা লজ্জা দিচ্ছ?
সরি । থাকছো কোথায়?
ফার্মগেট কর্মজীবী মহিলা হোস্টেলে।
হটাৎ করেই আমার মোবাইলে রিং বেজে উঠে। বন্ধু আনিস আর আমি একই ফ্লাটে থাকি। ও বলে, কি হল আমিতো নিউ মার্কেটে দাড়িয়ে আছি। তুমি কোথায়?
কেন বলতো?
তোমাকে না বললাম আজ একটা প্যান্ট কিনবো। ভুলে গিয়াছো নাকি?
ঠিক আছে ত্রিশ মিনিট অপেক্ষা কর আমি আসছি।
ফোন রেখে ওর দিকে তাকাতেই সোফিয়া প্রশ্ন করে, কে ফোন দিল তোমার বউ নিশ্চয়।
– আরে না আমিতো বিয়েই করিনি!
শুনে ও খুব অবাক হয় যেন। বলে, কেন বিয়ে করনি। বয়স তো কম হয়নি।
আমি অন্যদিকে তাকাই এসব নিয়ে ওর সাথে কথা বলতে আমার ভাললাগেনা। অস্বস্তি হয়। ও নাছোড় বান্দা সেজে নানান প্রশ্ন করে যায়। শেষে এক সময় বলি, সোফিয়া আমি কখনো কারো শরীর পেতে চাইনি, মন পেতে চেয়ে ছিলাম। পাইনি। আমার জীবনে যে মরুভুমি তুমি সৃষ্টি করেছো তার থেকে সবুজ ভুমি সৃষ্টি আর সম্ভব নয়। তাই আমি কাউকে ঠকাতে চাইনি।
নিশ্চুব প্রহর কেটে যায়।
সোফিয়া চোখের জ্বল মুছে। তার লালচোখে দেখি অপরাধবোধ।
আমার ইচ্ছে হয় জিজ্ঞাসা করি, কেন সে আমার সাথে ওমন করে ছিল। কি দোষ ছিল আমার? কিন্তু শেষ পযন্ত নিজেকে সংযত করি।
আর নিচে নামতে ইচ্ছে করে না। রেষ্টুরেন্ট হতে বাইরে দাড়াই।
ও বলে, তোমার খুব তাড়া আছে তাই না?
কেন?
তুমি আমার সাথে একটু হাটবে। বেশি না আমার হোষ্টেল পযন্ত।
সরি, এখন আমার হাতে সময় নেই। বন্ধু আনিস আমার জন্য অপেক্ষা করছে।
ওর আহত হওয়া দেখেও আজ আমার খারাপ লাগে না। কি আশ্চার্য !
দু’জন দুই দিকের রাস্তা ধরে চলে যাই।
আমি উত্তর না দিয়ে ম্লান হাসি। আমার খুব অভিমান হয়। ইচ্ছে হয় দৌড়ে চলে যাই। ওর সাথে কথা বলতে ভারি ক্লান্তি লাগে। ১০ বছর ধরে অভিমানের যে পাহাড় বুকের ভেতর লুকিয়ে রেখেছি তা আজ আর প্রকাশ করার ইচ্ছে আমার নেই।
প্রকৃতি সব সময় শূন্যস্থান পুরন করে নেয় বলে শুনেছি। কিন্তু ওর বিরহে আমার মনের ভেতর যে গভির ক্ষতের সৃষ্টি হয়েছে তা তেমনি রয়ে গেছে। শুনে ছিলাম নারীরা নাকি মায়াবতী হয়। কিন্তু কি আশ্চর্য ও যখন হটাৎ করেই বলে দিল অনেক হয়েছে আর নয়। তখন ওর মুখের দিকে তাকিয়ে মনে হয়েছিল ও যেন শক্ত পাথরের প্রতিকৃতি।
আমি বোধহয় তখন পাগল হয়ে গিয়ে ছিলাম। বারবার মনে হত বেচে থেকে কি লাভ? আমি পারিনি, কিছুই করতে পারিনি। শূন্য পকেট। ধুসর বাস্তবতা আর হতাশার কুয়াসায় ঢেকে গিয়ে ছিল আমার পৃথিবী।
সোফিয়া হটাৎ করেই আমার হাত ধরে । যেন আমাদের মাঝে কোন দেয়াল নেই। যেন কিছুই হয়নি। কিন্তু ওর হাতের ছোয়া আগের মত আমাকে আর পুলকিত করলো না। সাপের মত শিতল মনে হল। ও বলে, কি করছো? ব্যবসা নাকি জব?
– চাকুরী করছি। ঐযে নীল ভবনটা দেখছো ওর ছয় তলায় আমার অফিস।
ও আমার হাত অনুসরন করে তাকায়। ‘তুমি ঢাকায় কী করছো?’ পাল্টা প্রশ্ন করি। ও অন্যমনস্ক হয়ে যায়। হাতের উল্টো পিঠ দিয়ে কপালের ঘাম মুছে। দীর্ঘ নিঃশ্বাস ছাড়ে। হতাশা আড়ালের বৃর্থা চেষ্টা করে। মৃদ্য হেসে বলে, গৃহবধু ছিলাম তিন বছর। তারপর সেপারেশন হয়ে গেল। বড় আপার উৎসাহে চাকুরি করছি। এনজিও কোম্পানি। বদলীর চাকুরী। সারা দেশ ঘুরেছি। এখন মাস দুই হল ঢাকায় আছি।
সোফিয়ার মুখে ক্লান্তি আর বিষন্নতার ছায়া দেখি।
– চল সামনের রেষ্টুরেন্টে বসি।
ও মাথা দুলিয়ে বলে চল।
কি খাবে? প্রশ্ন করি। ও হেসে বলে, তোমার যা খেতে ভাল লাগে তার অর্ডার দাও। ওর কথা শুনে বলি, এই প্রথম আমার যা পছন্দ তাতে তুমি সম্মতি দিলে।
কেন অর্যথা লজ্জা দিচ্ছ?
সরি । থাকছো কোথায়?
ফার্মগেট কর্মজীবী মহিলা হোস্টেলে।
হটাৎ করেই আমার মোবাইলে রিং বেজে উঠে। বন্ধু আনিস আর আমি একই ফ্লাটে থাকি। ও বলে, কি হল আমিতো নিউ মার্কেটে দাড়িয়ে আছি। তুমি কোথায়?
কেন বলতো?
তোমাকে না বললাম আজ একটা প্যান্ট কিনবো। ভুলে গিয়াছো নাকি?
ঠিক আছে ত্রিশ মিনিট অপেক্ষা কর আমি আসছি।
ফোন রেখে ওর দিকে তাকাতেই সোফিয়া প্রশ্ন করে, কে ফোন দিল তোমার বউ নিশ্চয়।
– আরে না আমিতো বিয়েই করিনি!
শুনে ও খুব অবাক হয় যেন। বলে, কেন বিয়ে করনি। বয়স তো কম হয়নি।
আমি অন্যদিকে তাকাই এসব নিয়ে ওর সাথে কথা বলতে আমার ভাললাগেনা। অস্বস্তি হয়। ও নাছোড় বান্দা সেজে নানান প্রশ্ন করে যায়। শেষে এক সময় বলি, সোফিয়া আমি কখনো কারো শরীর পেতে চাইনি, মন পেতে চেয়ে ছিলাম। পাইনি। আমার জীবনে যে মরুভুমি তুমি সৃষ্টি করেছো তার থেকে সবুজ ভুমি সৃষ্টি আর সম্ভব নয়। তাই আমি কাউকে ঠকাতে চাইনি।
নিশ্চুব প্রহর কেটে যায়।
সোফিয়া চোখের জ্বল মুছে। তার লালচোখে দেখি অপরাধবোধ।
আমার ইচ্ছে হয় জিজ্ঞাসা করি, কেন সে আমার সাথে ওমন করে ছিল। কি দোষ ছিল আমার? কিন্তু শেষ পযন্ত নিজেকে সংযত করি।
আর নিচে নামতে ইচ্ছে করে না। রেষ্টুরেন্ট হতে বাইরে দাড়াই।
ও বলে, তোমার খুব তাড়া আছে তাই না?
কেন?
তুমি আমার সাথে একটু হাটবে। বেশি না আমার হোষ্টেল পযন্ত।
সরি, এখন আমার হাতে সময় নেই। বন্ধু আনিস আমার জন্য অপেক্ষা করছে।
ওর আহত হওয়া দেখেও আজ আমার খারাপ লাগে না। কি আশ্চার্য !
দু’জন দুই দিকের রাস্তা ধরে চলে যাই।
২.
আনিস কে ফোন দিয়ে বললাম, কিছু মনে করোনা শরীরটা বড় বেশি ক্লান্ত লাগছে। আমি বাসায় ফিরছি।
বাসায় ফিরে খুব নিঃসঙ্গ লাগলো। ঘরের বাতি জ্বালাতে ইচ্ছে করলো না। বারান্দার চেয়ারে বসে রইলাম। রাস্তায় গাড়ি চলছে দ্রুত। হর্নের শব্দ। রিকসার টুংটাং শব্দ। কিছুই ভাল লাগছে না আজ।
পাশের তিনতলা ভবনের এর ছাদে গায়ে হলুদের অনুষ্ঠান চলছে। উচ্চশব্দে গান বাজিয়ে নেচে চলছে উচ্ছল তরুণ তরুণীরা। যৌবনের উচ্ছাস দেখেও ভাল লাগছে না। এত কোলাহলের ভেতরও নির্জীব পড়ে রইলাম চেয়ারে। কোন কিছুই আজ স্পর্শ করছেনা আমাকে।
সোফিয়া কি এখনও আমায় ভালবাসে? সে কি সত্যি আমাকে কোনদিন ভালবেসে ছিল, নাকি সবি ছিল তার খেলা!
নারী হৃদয় বড়বেশি বৈচিত্রময়। নারীদের মুখের কথার সাথে তাদের মনের কথার কোন মিল নেই। রহস্যের গোলক ধাধার জট আজো তেমনি রয়ে গেল।
হটাৎ করেই ঝড়ো হাওয়া বইতে শুরু করলো। তিব্র বাতাসের শো-শো শব্দে চারদিক অন্ধকার হয়ে গেল। ছাদের উপরের গান বাজনা বন্ধ হয়ে গেল। বাতাসে প্যান্ডেলের কাপড় গুলি উড়ছে। বৃষ্টির ফোটা পড়তে শুরু করলো। সব শব্দ পেড়িয়ে এখন শুধু রিমঝিম বৃষ্টির শব্দ।
আনিস কে ফোন দিয়ে বললাম, কিছু মনে করোনা শরীরটা বড় বেশি ক্লান্ত লাগছে। আমি বাসায় ফিরছি।
বাসায় ফিরে খুব নিঃসঙ্গ লাগলো। ঘরের বাতি জ্বালাতে ইচ্ছে করলো না। বারান্দার চেয়ারে বসে রইলাম। রাস্তায় গাড়ি চলছে দ্রুত। হর্নের শব্দ। রিকসার টুংটাং শব্দ। কিছুই ভাল লাগছে না আজ।
পাশের তিনতলা ভবনের এর ছাদে গায়ে হলুদের অনুষ্ঠান চলছে। উচ্চশব্দে গান বাজিয়ে নেচে চলছে উচ্ছল তরুণ তরুণীরা। যৌবনের উচ্ছাস দেখেও ভাল লাগছে না। এত কোলাহলের ভেতরও নির্জীব পড়ে রইলাম চেয়ারে। কোন কিছুই আজ স্পর্শ করছেনা আমাকে।
সোফিয়া কি এখনও আমায় ভালবাসে? সে কি সত্যি আমাকে কোনদিন ভালবেসে ছিল, নাকি সবি ছিল তার খেলা!
নারী হৃদয় বড়বেশি বৈচিত্রময়। নারীদের মুখের কথার সাথে তাদের মনের কথার কোন মিল নেই। রহস্যের গোলক ধাধার জট আজো তেমনি রয়ে গেল।
হটাৎ করেই ঝড়ো হাওয়া বইতে শুরু করলো। তিব্র বাতাসের শো-শো শব্দে চারদিক অন্ধকার হয়ে গেল। ছাদের উপরের গান বাজনা বন্ধ হয়ে গেল। বাতাসে প্যান্ডেলের কাপড় গুলি উড়ছে। বৃষ্টির ফোটা পড়তে শুরু করলো। সব শব্দ পেড়িয়ে এখন শুধু রিমঝিম বৃষ্টির শব্দ।
সোফিয়া অংক খুব ভাল বুঝতো। আমাদের ক্লাসে ও ছিল ফাষ্ট র্গাল। আমি তেমন ভাল ছাত্র ছিলাম না। তাই ওর সাহায্য সহযোগীতার প্রয়োজন হত। ও আমার প্রতিবেশি হবার সুবাদে ওদের বাড়িতে আমার অবাধ বিচরন ছিল। ওরা অনেক ধনী পরিবার ছিল কিন্তু আমাদের দু’পরিবারের মধ্যেই ভাল সর্ম্পক ছিল। ওর মা আমাকে খুব ভাল জানতো। সন্ধার পর মাঝে-মধ্যে ওদের বাড়িতে চলে যেতাম। পড়তাম গল্প করতাম। রাতে একসাথে খেয়ে রাত ১০টার দিকে বাড়িতে ফিরতাম। গ্রামে রাত দশটা অনেক রাত মনে হত। ঝিঝি পোকার ঝিঝি শব্দের ডাক। কখনো বা বাদুরের পাখা ঝাপটিয়ে হুট-হাট উড়ে যাওয়া। ডাহুকের ডাকে চমকে উঠা! একপাল শেয়ালের একসাথে কেঁদে উঠা। সব কিছু যেন স্মৃতির পাতায় ভেসে উঠছে আজ। ধীরে ধীরে বড় হচ্ছিলাম দু’জন। খেয়াল করলাম ওর হাত ধরে থাকতে ভাললাগে। ওর মুখের দিক তাকালে বুকের ভেতর কেমন যেন করে। সারাক্ষণ ওরে ভাবতে ভাল লাগে। তখনও বুঝতে পারিনি যে আমি ওর প্রেমে পড়েছি।
তারপর স্কুল জীবন শেষ করে কলেজে উঠলাম।
সেদিনটা আমি কখনই ভুলতে পারবো না। ১১টার মত বাজে। আমাদের বরহামগঞ্জ কলেজের সামনে যে সারি-সারি দেবদারু গাছ ছিল, সেখান থেকে ও আমাকে ধরে নিয়ে গেল মাঠের শেষ কোণায়। ওর হাত পা কাপঁতে ছিল। কথা বলছিল হাপিয়ে হাপিয়ে। আমি অবাক হয়ে জিজ্ঞাসা করলাম কি হয়েছে? ও বললো, আচ্ছা ফয়সাল তুই কি কখনো রাতে আমাকে স্বপ্ন দেখিস? আমি মাথা দুলিয়ে বললাম হ্যা দেখি, তো?
– তোর কি সব সময় আমাকে দেখতে ইচ্ছে করে?
হ্যা। তুই এবার যখন তোর মামাবাড়ি গিয়ে পনেরো দিন থাকলি তখন আমি শুধু রাস্তার দিকে তাকিয়ে থাকতাম। ও তখন স্বস্তির হাসি হাসলো। আমি কিছুটা বিব্রত হয়ে হয়ে ওর দিকে তাকিয়ে রইলাম। ও আমার হাত ধরে বললো, বোকা আমরা দু’জন প্রেমে পড়েছি!
আমি বিস্মিত হয়ে বললাম, সর্বনাশ! মা জানলে খবর আছে।
ড্যামকেয়ার ভাবে ও বললো, বাচ্চাদের মত কথা বলবি না। আমি তোর প্রেমিকা। মনে থাকে যেন।
তারপর নিলর্জ্জের মত বললো, আই লাভ ইউ মাই ডিয়ার ফয়সাল!
জীবনের সেই দুরন্ত প্রথম প্রেম আজ বাদল দিনে রঙ্গিন পর্দার মত চাখের সামনে ভেসে উঠলো।
হটাৎ করে মোবাইলে রিংটোন বেজে উঠায় এক ঝটকায় বাস্তবে ফিরে এলাম। বৃষ্টি এখনও নামছে অঝর ধারায়। ডিসপ্লেতে অচেনা নাম্বার। ধরতে ইচ্ছে হলনা। রুমে এসে বাতি অন করলাম। ফ্যান অফ করলাম শীত শীত লাগছে। টিভি চালিয়ে দেখি ডিস সংযোগ নেই। ঝড়ে ক্যাবল কানেকশন ছিড়ে গিয়েছে হয়ত। কি করবো? ভাল লাগছে না। আবার একই নাম্বার থেকে কল এল। রিসিভ করতেই সোফিয়ার কন্ঠ। কি করছো?
– কিছুনা। বসে আছি।
– তাহলে ফোন ধরলেনা কেন?
– খেয়াল করিনি।
– তোমাদের ওখানে খুব বৃষ্টি হচ্ছে না?
– হুম, মুষলধারে বৃষ্টিপাত হচ্ছে।
– কি ভাবছো?
সোফিয়া নিরর্থক হেসে উঠে। দুরে কোথাও বাজ পড়ার শব্দ হয়। আজ সারা রাত ধরে হয়ত এই বর্ষণ চলতে থাকবে। নামুক বৃষ্টি, ভাসিয়ে দিক শুকনো বুকের শহরটাকে। পবিত্র পানির র্স্পশে পবিত্র হোক সব। ও প্রান্ত থেকে সোফিয়া অধের্য্য হয়ে বলে, কি হলো তুমি কথা বলছো না কেন?
এখন আর কথা বলতে ইচ্ছে করছে না। তোমাকে পরে আমি ফোন দিচ্ছি।
ও দীর্ঘ নি:শ্বাস ছাড়ে। তারপর হতাশা ভরা কন্ঠে বলে, তুমি কিন্তু একবারও জানতে চাইলে না কেন সেদিন তোমাকে আমি আমার জীবন থেকে সরে যেতে বলে ছিলাম। আসলে সব কিছু জানলে তুমি…..
আমি ওরে থামিয়ে বলি, বাদ দাও বিশ্বাস কর আমার তাতে কোন কৌতুহল নেই। ওসব শুনে আর কি হবে বলো?
– তা ঠিক এখন আর আমার কিছুই যে অবশিষ্ট নেই। ও ভারী কণ্ঠে নিজের বিষন্নতা আড়াল করে।
আমার কানে বাজে ওর কথা। সত্যিই তো আজ আর কিছুই যেন অবশিষ্ট নেই। বুকের ভেতরে জমে থাকা ভালবাসা গুলি কাঁন্না হয়ে বালিশে শুকিয়ে গিয়েছে যেন। আমি ভুলে গিয়াছি আমার প্রথম ও একমাত্র ভালবাসা কে। এ হৃদয় যেন সাহারা মরুভুমি!
দরজায় ক্রমাগত কড়া নড়ার শব্দে বিছানা ছেড়ে দরজা খুলতেই কাক ভেজা হয়ে হুড়মুড় করে ভেতরে ঢুকে আনিস। আমি মুচকি হেসে বলি, কি বৃষ্টি বিলাসে মেতে ছিলে বুঝি? আনিস কপট রাগের ভাব নিয়ে বলে ভাইরে এই দুঃসময়ে সাহিত্য করোনা! শীতে কাঁপছি। জ্বর না এলেই হয়।
কিছুক্ষণ পর ও দুই মগ চা নিয়ে আমার রুমে প্রবেশ করে। চেয়ারে বসে আমার দিকে তাকিয়ে বলে, ফয়সাল তুমি কি জানো মেয়েরা আসলে কি চায়?
কেন?
আমার বউয়ের কথা ধর, তারে আমি কত ভালোবেসে ছিলাম। কত কিছু দিয়ে ছিলাম। চলে যাবার পূর্ব মুহূর্ত পযন্ত সে হাসি খুশি ছিল। সে যে আমাকে নিয়ে অসুখি একবারও তা বুঝতে দেয়নি। প্রতারক!
– বৃষ্টির রাতে এসব দুঃখের কথা মনে করে বিষন্ন হবার কি দরকার? ডিভিডি তে কালকের আনা ছবিটা চালাও। ভাল সিনেমা মন ভাল করে দেয়।
সিনেমা চলছে ফর্ম প্যারিস উইথ লাভ। গল্পে দেখা যায় নায়ক পুলিশ অফিসার আর তার নিজের স্ত্রীই তার চরম শত্রুর এজেন্ট। ছবি থেকে মন সরে যায়। আসলে চোখ ঘোরানো সহজ মনকে ঘোরানো সহজ নয়।
ভাবতে থাকি সোফিয়ার কথা। আনিসও হয়ত ভাবছে ওর চলে যাওয়া অবিশ্বস্থ বউয়ের কথা। আনিসের বউ বিয়ের ছয় মাসের মাথায় তার পুরনো প্রেমিকের হাত ধরে পালিয়ে যায়। ও প্রতিজ্ঞা করেছে বাকি জীবন আর বিয়ে করবেনা। আর আমি কী করবো তা আমার জানা নেই। সোফিয়া কি বলবে? ওকি ফিরিয়ে দিতে পারবে আমার জীবনের যন্ত্রণাময় দশটা বছর?
রাতের পর রাত ওর জন্য নির্ঘুম কাটানো আর বুকের পাজরে লুকানো নীল যন্ত্রণার সমুদ্র!
মোবাইলের ডিসপ্লেতে ওর এসএমএস ভেসে উঠে। ও লিখেছে, চলতি পথে আবার দু’জনার দেখা হল, এ নিশ্চয় সৃষ্টিকর্তার ইচ্ছে। বাকিটা পথ চল এক সাথে পাড়ি দেই।
উত্তরে আমি লিখি, শুকিয়ে যাওয়া নদীতে নৌকা চলেনা। মরুভুমি হয়ে গেছে আমার হৃদয় নহর। সেখানে আর তোমার জন্য কোন ভালবাসা নেই। তোমাকে ভুলে গিয়েছি আমি। তোমার সাথে কথা বলারও ইচ্ছে নেই আমার। ভুলে গিয়েছিলে ভুলেই থাক বাকিটা জীবন…।
বারান্দায় কান্নার শব্দ। হাউমাউ করে বাচ্চাদের মত করে কাঁদছে আনিস। ও এমন করে প্রায় কাঁদে। হায় ভালবাসা তুমি কত নিষ্ঠুর!
সোফিয়াকে কঠিন কথা গুলো শুনাতে পেরে মনটা হালকা লাগছে। পরাজয়ের যন্ত্রণা কিছুটা কমেছে।
আমি অন্ধকারে তাকিয়ে ভাবছি কে বেশি কালো অন্ধকার নাকি সোফিয়াদের হৃদয়?
তারপর স্কুল জীবন শেষ করে কলেজে উঠলাম।
সেদিনটা আমি কখনই ভুলতে পারবো না। ১১টার মত বাজে। আমাদের বরহামগঞ্জ কলেজের সামনে যে সারি-সারি দেবদারু গাছ ছিল, সেখান থেকে ও আমাকে ধরে নিয়ে গেল মাঠের শেষ কোণায়। ওর হাত পা কাপঁতে ছিল। কথা বলছিল হাপিয়ে হাপিয়ে। আমি অবাক হয়ে জিজ্ঞাসা করলাম কি হয়েছে? ও বললো, আচ্ছা ফয়সাল তুই কি কখনো রাতে আমাকে স্বপ্ন দেখিস? আমি মাথা দুলিয়ে বললাম হ্যা দেখি, তো?
– তোর কি সব সময় আমাকে দেখতে ইচ্ছে করে?
হ্যা। তুই এবার যখন তোর মামাবাড়ি গিয়ে পনেরো দিন থাকলি তখন আমি শুধু রাস্তার দিকে তাকিয়ে থাকতাম। ও তখন স্বস্তির হাসি হাসলো। আমি কিছুটা বিব্রত হয়ে হয়ে ওর দিকে তাকিয়ে রইলাম। ও আমার হাত ধরে বললো, বোকা আমরা দু’জন প্রেমে পড়েছি!
আমি বিস্মিত হয়ে বললাম, সর্বনাশ! মা জানলে খবর আছে।
ড্যামকেয়ার ভাবে ও বললো, বাচ্চাদের মত কথা বলবি না। আমি তোর প্রেমিকা। মনে থাকে যেন।
তারপর নিলর্জ্জের মত বললো, আই লাভ ইউ মাই ডিয়ার ফয়সাল!
জীবনের সেই দুরন্ত প্রথম প্রেম আজ বাদল দিনে রঙ্গিন পর্দার মত চাখের সামনে ভেসে উঠলো।
হটাৎ করে মোবাইলে রিংটোন বেজে উঠায় এক ঝটকায় বাস্তবে ফিরে এলাম। বৃষ্টি এখনও নামছে অঝর ধারায়। ডিসপ্লেতে অচেনা নাম্বার। ধরতে ইচ্ছে হলনা। রুমে এসে বাতি অন করলাম। ফ্যান অফ করলাম শীত শীত লাগছে। টিভি চালিয়ে দেখি ডিস সংযোগ নেই। ঝড়ে ক্যাবল কানেকশন ছিড়ে গিয়েছে হয়ত। কি করবো? ভাল লাগছে না। আবার একই নাম্বার থেকে কল এল। রিসিভ করতেই সোফিয়ার কন্ঠ। কি করছো?
– কিছুনা। বসে আছি।
– তাহলে ফোন ধরলেনা কেন?
– খেয়াল করিনি।
– তোমাদের ওখানে খুব বৃষ্টি হচ্ছে না?
– হুম, মুষলধারে বৃষ্টিপাত হচ্ছে।
– কি ভাবছো?
সোফিয়া নিরর্থক হেসে উঠে। দুরে কোথাও বাজ পড়ার শব্দ হয়। আজ সারা রাত ধরে হয়ত এই বর্ষণ চলতে থাকবে। নামুক বৃষ্টি, ভাসিয়ে দিক শুকনো বুকের শহরটাকে। পবিত্র পানির র্স্পশে পবিত্র হোক সব। ও প্রান্ত থেকে সোফিয়া অধের্য্য হয়ে বলে, কি হলো তুমি কথা বলছো না কেন?
এখন আর কথা বলতে ইচ্ছে করছে না। তোমাকে পরে আমি ফোন দিচ্ছি।
ও দীর্ঘ নি:শ্বাস ছাড়ে। তারপর হতাশা ভরা কন্ঠে বলে, তুমি কিন্তু একবারও জানতে চাইলে না কেন সেদিন তোমাকে আমি আমার জীবন থেকে সরে যেতে বলে ছিলাম। আসলে সব কিছু জানলে তুমি…..
আমি ওরে থামিয়ে বলি, বাদ দাও বিশ্বাস কর আমার তাতে কোন কৌতুহল নেই। ওসব শুনে আর কি হবে বলো?
– তা ঠিক এখন আর আমার কিছুই যে অবশিষ্ট নেই। ও ভারী কণ্ঠে নিজের বিষন্নতা আড়াল করে।
আমার কানে বাজে ওর কথা। সত্যিই তো আজ আর কিছুই যেন অবশিষ্ট নেই। বুকের ভেতরে জমে থাকা ভালবাসা গুলি কাঁন্না হয়ে বালিশে শুকিয়ে গিয়েছে যেন। আমি ভুলে গিয়াছি আমার প্রথম ও একমাত্র ভালবাসা কে। এ হৃদয় যেন সাহারা মরুভুমি!
দরজায় ক্রমাগত কড়া নড়ার শব্দে বিছানা ছেড়ে দরজা খুলতেই কাক ভেজা হয়ে হুড়মুড় করে ভেতরে ঢুকে আনিস। আমি মুচকি হেসে বলি, কি বৃষ্টি বিলাসে মেতে ছিলে বুঝি? আনিস কপট রাগের ভাব নিয়ে বলে ভাইরে এই দুঃসময়ে সাহিত্য করোনা! শীতে কাঁপছি। জ্বর না এলেই হয়।
কিছুক্ষণ পর ও দুই মগ চা নিয়ে আমার রুমে প্রবেশ করে। চেয়ারে বসে আমার দিকে তাকিয়ে বলে, ফয়সাল তুমি কি জানো মেয়েরা আসলে কি চায়?
কেন?
আমার বউয়ের কথা ধর, তারে আমি কত ভালোবেসে ছিলাম। কত কিছু দিয়ে ছিলাম। চলে যাবার পূর্ব মুহূর্ত পযন্ত সে হাসি খুশি ছিল। সে যে আমাকে নিয়ে অসুখি একবারও তা বুঝতে দেয়নি। প্রতারক!
– বৃষ্টির রাতে এসব দুঃখের কথা মনে করে বিষন্ন হবার কি দরকার? ডিভিডি তে কালকের আনা ছবিটা চালাও। ভাল সিনেমা মন ভাল করে দেয়।
সিনেমা চলছে ফর্ম প্যারিস উইথ লাভ। গল্পে দেখা যায় নায়ক পুলিশ অফিসার আর তার নিজের স্ত্রীই তার চরম শত্রুর এজেন্ট। ছবি থেকে মন সরে যায়। আসলে চোখ ঘোরানো সহজ মনকে ঘোরানো সহজ নয়।
ভাবতে থাকি সোফিয়ার কথা। আনিসও হয়ত ভাবছে ওর চলে যাওয়া অবিশ্বস্থ বউয়ের কথা। আনিসের বউ বিয়ের ছয় মাসের মাথায় তার পুরনো প্রেমিকের হাত ধরে পালিয়ে যায়। ও প্রতিজ্ঞা করেছে বাকি জীবন আর বিয়ে করবেনা। আর আমি কী করবো তা আমার জানা নেই। সোফিয়া কি বলবে? ওকি ফিরিয়ে দিতে পারবে আমার জীবনের যন্ত্রণাময় দশটা বছর?
রাতের পর রাত ওর জন্য নির্ঘুম কাটানো আর বুকের পাজরে লুকানো নীল যন্ত্রণার সমুদ্র!
মোবাইলের ডিসপ্লেতে ওর এসএমএস ভেসে উঠে। ও লিখেছে, চলতি পথে আবার দু’জনার দেখা হল, এ নিশ্চয় সৃষ্টিকর্তার ইচ্ছে। বাকিটা পথ চল এক সাথে পাড়ি দেই।
উত্তরে আমি লিখি, শুকিয়ে যাওয়া নদীতে নৌকা চলেনা। মরুভুমি হয়ে গেছে আমার হৃদয় নহর। সেখানে আর তোমার জন্য কোন ভালবাসা নেই। তোমাকে ভুলে গিয়েছি আমি। তোমার সাথে কথা বলারও ইচ্ছে নেই আমার। ভুলে গিয়েছিলে ভুলেই থাক বাকিটা জীবন…।
বারান্দায় কান্নার শব্দ। হাউমাউ করে বাচ্চাদের মত করে কাঁদছে আনিস। ও এমন করে প্রায় কাঁদে। হায় ভালবাসা তুমি কত নিষ্ঠুর!
সোফিয়াকে কঠিন কথা গুলো শুনাতে পেরে মনটা হালকা লাগছে। পরাজয়ের যন্ত্রণা কিছুটা কমেছে।
আমি অন্ধকারে তাকিয়ে ভাবছি কে বেশি কালো অন্ধকার নাকি সোফিয়াদের হৃদয়?
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});