December 25, 2024

কালিয়াগঞ্জ হাসপাতাল পাড়ার খেলার মাঠ এখন ঠিকাদারদের বালি পাথর রাখার কেন্দ্র,ক্ষুব্ধ এলাকার ক্রীড়া প্রেমীরা

1 min read

কালিয়াগঞ্জ হাসপাতাল পাড়ার খেলার মাঠ এখন ঠিকাদারদের বালি পাথর রাখার কেন্দ্র,ক্ষুব্ধ এলাকার ক্রীড়া প্রেমীরা

তপন চক্রবর্তী,কালিয়াগঞ্জ১৮জুন:এমনিতেই খেলা ধুলার সময় ছাত্র ছাত্রীদের কমে গিয়েছে পড়াশুনার চাপের কারনে।তার মধ্যেও সময় বের করেআগ্রহী ছেলে মেয়েরা বিকেল বেলায় যাওবা বাড়ির পাশের মাঠে একটু প্র্যাক্টিস করবার চেষ্টা করে।কিন্তু সেখানেও বাধা। উত্তর দিনাজপুর জেলার কালিয়াগঞ্জ শহরের হাসপাতাল পাড়ায় অবস্থিত দীর্ঘ দিনের পুরাতন রানিং বুলেট ক্লাবের নিঃস্ব একটি খেলার মাঠ আছে।যে মাঠে এক সময় হরেন্দ্র মেমোরিয়াল শিল্ডের ফুটবল টুর্নমেন্টের খেলা হত।কিন্তু এই মাঠে বর্তমানে তেমন কোন বড় টুর্নামেন্টের খেলা না হলেও ক্রিকেট কোচিং ক্যাম্প প্রতিদিন চলছে।বিকেল বেলায় ছেলেমেয়েরা অনেকেই মাঠে খেলা ধুলায় অংশগরহন করে।

অথচ দেখা যাচ্ছে কালিয়াগঞ্জের হাসপাতাল পাড়ার রানিং বুলেট ক্লাবের ফুটবল মাঠটি ধীরে ধীরে ইট,বালু,পাথর ব্যবসায়ীদের দখলে চলে যেতে বসেছে।মাঠের মধ্যে ফুটবল খেলার জায়গা ধীরে ধীরে সংকুচিত হয়ে আসছে ইট,বালি পাথর রাখবার কারনে। মাঠটি ধীরে ধীরে দখল হবার কারনে খেলা ধুলার প্রসারও কমতে শুরু করে দিয়েছে এলাকার মানুষদের বক্তব্য থেকে জানা যায়।কালিয়াগঞ্জ হাসপাতাল পাড়ার রানিংবুলেট ফুটবল খেলার মাঠের মালিক তথা ক্লাব সম্পাদক সুজিত দত্ত এক প্রশ্নের উত্তরে বলেন মাটি দীর্ঘদিন থেকেই এলাকার মানুষরা বিভিন্ন গৃহ নির্মান সরঞ্জাম রেখেছে।তিনি বলেন যারা মাঠের মধ্যে গৃহ নির্মাণের সরঞ্জাম রেখেছেন তাদেরকে বারবার করে বলা হয়েছে মাঠ থেকে সমস্ত জিনিস তুলে নিয়ে যেতে। কিন্তু কে কার কথা শোনে? ফলে আগে যেমন বিদ্যালয় থেকে এসেই ছেলেমেয়েরা মাঠে আসতো,এখন সেই উৎসাহ হারিয়ে ফেলেছে।তবুও আমরা চেষ্টা করছি আগামিতে যাতে মাঠে থেকে বালি পাথর উঠিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় তার চেষ্টা করা হচ্ছে বলে সুজিত দত্ত জানান।হাঁসপাতাল পাড়ার বাসিন্দা তথা প্রাক্তন প্রধান শিক্ষক দিলীপ দাস বলেন এলাকার ছেলেমেয়েদের স্বার্থের কথা ভেবেই খেলার মাঠটি পরিস্কার রাখা উচিৎ।

7 thoughts on “কালিয়াগঞ্জ হাসপাতাল পাড়ার খেলার মাঠ এখন ঠিকাদারদের বালি পাথর রাখার কেন্দ্র,ক্ষুব্ধ এলাকার ক্রীড়া প্রেমীরা

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *