কালিয়াগঞ্জ পৌর সভার তিন প্রসাশক মন্ডলীর সদস্য পৌর সভার কোন কাজে না লাগলেও কেন রাখা হয়েছে-জনগণের অভিযোগ
1 min readকালিয়াগঞ্জ পৌর সভার তিন প্রসাশক মন্ডলীর সদস্য পৌর সভার কোন কাজে না লাগলেও কেন রাখা হয়েছে-জনগণের অভিযোগ
তপন চক্রবর্তী, কালিয়াগঞ্জ,২৭ডিসেম্বর:একটা প্রচলিত গান আছে আমার ছেলে বড় চাকরি করে।তার কত ক্ষমতা। সে হাত তুললেই সব গাড়ি দাঁড়িয়ে পরে।ঠিক আমাদের কালিয়াগঞ্জের পৌর সভায় কয়েকজন পৌর প্রসাশক মন্ডলীর সদস্য আছেন যাদের বিশাল ক্ষমতা।তারা কালিয়াগঞ্জের নাগরিকদের উন্নয়নের জন্য পৌর সভার মিটিংএ না গেলে মিটিং হয়না,কত ক্ষমতা,সরকারি ঘরের টাকা পৌর সভায় চাইতে গেলে মহিলাকে গ্রেপ্তার করিয়ে দেবার ক্ষমতা রাখে।এখানেই শেষ নয় তাদের এতই ক্ষমতা মহিলার সামান্য একটি চাকরি পৌর ওয়ার্ডের স্বাস্থ্য কর্মীর সেটাকেই কেড়ে নিয়ে পেটে লাথি মারতে পারে।আবার মহিলাটি চাকরি ফিরিয়ে দেবার বার বার আবেদন করলেও তারা তা না শোনার ক্ষমতার অপব্যবহার করার অসাধারন ক্ষমতার অধিকারী।তবুও এরা পৌর সভার প্রসাশক মন্ডলীর গুরুত্বপূর্ন সদস্য বলে নিজেদের জাহির করে থাকে।কালিয়াগঞ্জের বেশ কিছু নাগরিকদের বক্তব্য তাহলে এই ধরনের কমিশনারদের কালিয়াগঞ্জ পৌর সভায় রাজ্য সরকারের পৌর দপ্তর কোন কাজের জন্য রেখেছেন?জনৈক কালিয়াগঞ্জ পৌর সভার নাগরিক বললেন কেন এই কাজ গুলি করবার জন্য।
এই ধরনের প্রসাশক মন্ডলীর সদস্যদেরই এই সব কাজ করবার জন্য প্রয়োজন।সবাইকে দিয়ে সব কাজ হয়না।যার যেমন কোয়ালিটি তাদের দ্বারা সেইসব কাজই হয় বলে পৌর সভার নাগরিকটি জানালেন।যাদের দ্বারা এই ধরনের খারাপ কাজ করবার ক্ষমতা সরকার না দিলেও তাদের যেমন যোগ্যতা তেমনি কাজ তারা করে যাচ্ছেন।এই সব পৌর প্রশাসকদের সমাজের খারাপ কাজ ছাড়া ভালো কাজের দৃষ্টান্ত একটিও খুঁজে পাবেন না বলে জানান কালিয়াগঞ্জের পৌর নাগরিক বৃন্দ। কালিয়াগঞ্জের সাধারণ মানুষের অভিযোগ পাঁচ জন পৌর প্রসাশক মন্ডলীর সদস্যদের মধ্যে জনসাধারণের ভোটে নির্বাচিত কমিশনার ছিলেন দুই জন।বাঁকি পৌর প্রসাশক যারা হয়েছেন যাদের কোন দিন সমাজের ভালো কাজে কালিয়াগঞ্জের মানুষ দেখেননি করতে। নেই কোন দৃষ্টান্তও।যাকে বলে ঝরে বগ মারার মত ঘটনা এই সমস্ত পৌর প্রসাশকদের ক্ষেত্রে ঘটেছে বলে তিনি ব্যাঙ্গছলে জানালেন। কালিয়াগঞ্জ পৌর সভার এই তিন প্রসাশক যারা পৌর সভায় কোন দিন যান না।কিন্তূ বিভিন্ন অনুষ্ঠানে যান প্রসাশক মন্ডলীর সদস্যের নামে শোভা বর্ধন করবার জন্য যান যেখানে তাদের কোন কাজ থাকেনা।আর যেখানে কাজ থাকে সেখানে তারা একটি বারের জন্য পা মারায় না।পৌর ভোট কিন্তূ দুয়ারে উকি ঝুঁকি মারছে।তবে ভোট নিয়ে কথা হতেই মহেন্দ্রগঞ্জে একটি চায়ের দোকানে এদের নিয়ে আলোচনা হতেই একজন বলেই ফেললেন মুখ ফস্কে। এদের একজনেরও এবার কমিশনার হবার ভাগ্যে নেই।এরা ভোটের আগে যতই হম্বিতম্বি করুক। মানুষ এই কয়েক মাসেই এদের ভালো করে বুঝে নিয়েছে এদের যদি মানুষ কোন ভাবে জয়ী করে তাহলে সেই এলাকার মানুষদের কপালে অশেষ দুঃখ আছে। তবে এবার কিন্তু কাকের বাসায় কোকিলের ডিম পাড়ার ঘটনা ঘটবে না।এবার যার যার বাসায় তাকে তাকেই ডিম পেরে প্রমান করতে হবে কমিশনার হবার দৌড়ে।